নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বরিশাল নগরীর টপটেন মার্ট শোরুমে লুটতরাজের ঘটনায় ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। আটক ৫ জনের মধ্যে একজনের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ৫ জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ৮ মার্চ সোমবার বরিশালের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আনিছুর রহমান অভিযুক্ত সদর উপজেলার কর্নকাঠি এলাকার মৃত্যু শাহ আলমের ছেলে রাকিবের জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং ৫ জনকে হাজতে পাঠিয়ে দেন। হাজতে যাওয়া অন্য চারজন হচ্ছে বাবুগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ভূতের দিয়া গ্রামের মৃত্যু সান্টু শরীফের ছেলে উজ্জ্বল শরীফ (১৯), জামাল হোসেনের ছেলে শাহাদাত হোসেন (১৯), নথুল্লাবাদ শের ই বাংলা সড়কের বাসিন্দা মশিউল আলম পলাশের ছেলে রাশিদ শাবাব রোহান (১৯) ও সদর উপজেলার মিঘিয়া এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে শাকিল আহমেদ (২২)। এরা সহ নামধারী ২১ জন ও অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন শো রুমের কর্মচারী ইমরান শেখ। অভিযোগে তিনি বলেন, প্রতিদিনের মতো তারা শো রুমে বেচা বিক্রির কাজ করছিল। বিকেল ৫ টা ২০ মিনিটের দিকে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল ভাগাভাগি করে শো রুমে প্রবেশ করে শার্ট প্যান্ট কিনবে বলে জানায়। তারা বিভিন্ন ধরনের মালামাল গুছিয়ে নেয়া শুরু করে। তাদের আচরণ অসন্তোষ হলে ক্যাশ কাউন্টারে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এতে তারা শো রুমের বিক্রয়কর্মীদের বিভিন্ন ধরনের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ হুমকি ধামকি দেয়। বিল চাইলে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন দেবে বলে জানায়। বিক্রয়কর্মীরা জসিম নামে কেউ বিল দেবে বলে তারা জানেনা বলে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা লুটতরাজ চালিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে লক করা কাচের দরজা ভেঙ্গে চলে যায়। এসময় ওই ৫ জনকে তারা আটক করে থানা পুলিশে খবর দেয়। কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ৫ জনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। ইমরানের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। রাকিব ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়। আদালত জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ৫ জনকে হাজতে পাঠিয়ে দেন। মামলাটি তদন্ত সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই মোঃ আশরাফ।