#

ছিনতাইকারী রিক্সা চালককে খুঁজে বের করে পুলিশের হাতে ধরিয়ে সাহসীকতার প্রমান দেয়া গৃহবধূ লাইজু বেগম (৪২) কে স্বীকৃতি সরুপ সম্মাননা প্রদান করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি)।

#

গতকাল রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) নগরীর বিএম কলেজ অডিটরিয়ামে মাসিক কল্যাণ সভায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বিএমপি কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান-পিপিএম (বার)।

সম্মাননা পাওয়া গৃহবধূ লাইজু বেগম বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডস্থ উত্তর বাহেরচর গ্রামের মো. আমির হোসেনের স্ত্রী। ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করতে পুলিশকে সহযোগিতায় করে সম্মানিত হয়ে আনন্দিত ওই গৃহবধূ।

জানাগেছে, ‘গত ২৩ অগষ্ট ভোরে লঞ্চ যোগে ঢাকা থেকে বরিশালে আসেন গৃহবধূ লাইজু বেগম। তিনি রহমতপুরে মেয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য ব্যাটারী চালিত রিকশায় ওঠেন। প্রায় ২০ মিনিট চলার পরে চালক আব্দুস ছালাম কাশিপুর মহামায়ার পোলের পশ্চিমে লাদের সড়কে একটি কালভার্টের ওপর রিকশাটি থামিয়ে দেন।

গৃহবধূ রিকশা থামানোর কারণ জানতে চাইলে চালক তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার গলা চেপে ধরে এবং সাথে থাকা মালামাল ছিনিয়ে নেয়। এসময় লাইজু বেগম ভয়ে চিৎকার করলে রিকশা চালক তাকে ধাক্কা দিয়ে ময়লা আবর্জনার ড্রেনের মধ্যে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে ঘটনার দিন দুপুরে মেয়েকে সাথে নিয়ে ওই রিকশা চালককে খুঁজতে বরিশাল নগরীতে আসেন। এমনকি কাকতালিয়ভাবেই নগরীর বিবির পুকুর পাড়ে ছিনতাইকারী রিকশা চালককে খুঁজে পান তিনি। তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশকে অবগত করলে টহলরত এসআই বশিরসহ তার টিম রিকশা চালককে আটক করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।ৎ

অপরদিকে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ আটক রিকশা চালক আব্দুস সালামকে জিজ্ঞাসাবাদে ছিনরতাই কথা স্বীকার করে। পরে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গৃহবধূ লাইজু বেগমের ছিনতাই হওয়া স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করে। পাশাপাশি রিকশা চালকের বিরুদ্ধে মামলা এবং তার রিকশাটি জব্দ করে পুলিশ।

এদিকে বিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনে করছেন, রিকশা যাত্রী লাইজু বেগম সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ছিনতাইকারীকে গ্রেফতারে পুলিশকে সহযোগিতা করেছে। তাই তাঁর এই সাহসিকতার স্বীকৃতি সরুপ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here