বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাদের কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচি এগিয়ে এনেছেন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন করা হবে।

 

মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া দেওয়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবি এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট।

কর্মসূচি এগিয়ে আনার ঘোষণা
রবিবার (১২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী কর্মবিরতি কর্মসূচি এগিয়ে আনার ঘোষণা দেন।

 

এর আগে দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকরা সোমবারের মধ্যে ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারির চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়েছিলেন। তখন তারা মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) থেকে সারা দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিলেন।

পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে কর্মসূচি এগিয়ে আনা
আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, জলকামান দিয়ে ছত্রভঙ্গ এবং লাঠিচার্জ করা হয়। কয়েকজন শিক্ষককে আটক করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষকরা তাদের কর্মবিরতি কর্মসূচি এক দিন এগিয়ে এনে সোমবার থেকে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 

দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন।

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ যুক্তরাজ্যে আসছে। এমনটাই জানালেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

বরিস জনসন অক্সফোর্ড সফরকালে গণমাধ্যমে আজ বলেন, যুক্তরাজ্য ‘এখন একটি দ্বিতীয় ঢেউয়ের মুখে, এবং এটি ‘অনিবার্য’ ছিল যে করোনা ভাইরাস আবার আঘাত হানবে।

যুক্তরাজ্যের এই প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তিনি চাননা কড়াকড়ি লকডাউন আবার জারি হোক। তবে সামাজিক দূরত্বে কঠোর বিধিনিষেধ প্রয়োজন হতে পারে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ দমিয়ে রাখতে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ব্রিটিশ এই প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে সবকিছু পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

শুক্তবার নতুন করে দেশটিতে চার হাজার ৩২২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

বরিস আরো বলেন, ব্রিটিশ জনগন চমৎকার কাজ করেছে-তারা সংক্রমণের চূড়া নেমে এনেছে শৃঙ্খলার মাধ্যমে। কিন্তু এমন করে দীর্ঘদিন ধরে থাকা দুঃসাধ্যের। স্কাই নিউজ,বিবিসি গার্ডিয়ান

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্তকৃত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শুনানির জন্য ২০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

 

 

 

আজ বুধবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসিফুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন।

 

 

 

এদিন মামলার চার্জ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। ডিআইজি মিজানের ভাগিনার আইনজীবী চার্জ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

 

 

 

গত ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ এ চার্জশিট দাখিল করেন।

 

 

 

মিজান ছাড়া চার্জশিটভূক্ত অপর আসামিরা হলেন, ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ওরফে রত্না রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান এবং ভাগনে মাহমুদুল হাসান। মাহমুদুল হাসান রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় এস আই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

 

 

 

গত ১ জুলাই হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য গেলে ডিআইজি মিজানকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। এ সময় মিজানকে তাৎক্ষণিক হাইকোর্ট পুলিশের হাতে তুলে দেন আদালত।

 

গ্রেফতারের পর তাকে শাহবাগ থানায় নেয়া হয়। পরদিন ডিআইজি মিজানের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।

 

 

 

মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়।

 

 

 

নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।

 

 

 

এরপর দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি সামনে আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ডিআইজি মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের একটি প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। ২৫ জুন মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

 

 

 

অপরদিকে, ১৮ মার্চ অবৈধভাবে তথ্যপাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য রয়েছে। বাসস

বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে গ্রিন লাইন পরিবহনকে আরো ২০ লাখ টাকা দিতে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

 

 

 

বৃহস্পতিবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন।

 

 

 

তিন মাসের মধ্যে এক সঙ্গে ২০ লাখ টাকা দিতে গ্রিন লাইনকে নির্দেশ দেয়া হয়। রাসেলকে ওই অর্থ দিয়ে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে নির্দেশ বাস্তবায়ন বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে প্রতিবেদন দিবে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ।

 

 

 

২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল যাত্রাবাড়িতে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসের চাপায় প্রাইভেটকার চালক রাসেলের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনার পর গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসটি এবং তার চালককে পুলিশ আটক করে। রাসেল জানায়, বাসটি তার গাড়িকে ধাক্কা দিলে প্রতিবাদ জানাতে বাস থামাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাস চালক তার ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেন। এতে রাসেলের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

 

 

 

রাসেলের পা হারানোর ঘটনার পর গত বছরের ১৪ মে ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী উম্মে কুলসুম। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ক্ষতিপূরণ এবং রুলসহ আদেশ দেন। গত বছরের ১২ মার্চ পা হারানো রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা দিতে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন এ হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ টাকা দিতে গ্রিন লাইনকে মাসিক হারে কিস্তিও করে দেন আদালত। রাসেল জানায়, আদালতের আদেশের পর গত বছর দুই দফায় ১০ লাখ টাকা দিয়েছে গ্রিন লাইন। আর চিকিৎসাবাবদ ৩ লাখ ৪২ হাজার টাকা দিয়েছে।

 

 

 

 

 

পরে হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশটির বিষয়ে গ্রিন লাইনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্ষতিপূরণ বিষয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। তবে গ্রিনলাইনের পক্ষ থেকে রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ যে টাকা দেয়া হয়েছে তা এই স্থগিতাদেশের মধ্যে পড়বে না বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়।

 

 

 

হাইকোর্টে গত ৫ মার্চ রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালত গত ১৫ এপ্রিল রায়ের জন্য তারিখ ধার্য রেখেছিলেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ জনিত কারণে আদালতে সাধারণ ছুটি থাকায় ধার্য তারিখে রায়টি ঘোষিত হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করলো হাইকোর্ট।

 

 

রাজধানীর মিরপুরে বান্ধবীর বাসার তরুণী গৃহকর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সবুজ আল সাহবার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপরদিকে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত সবুজের বান্ধবী বিবি ফাতেমা ঝুমুরের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে এক তরুণী ছাত্রলীগ নেতা সবুজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ওই তরুণী ঝুমুরের বাসার গৃহকর্মী। ঝুমুর ও সবুজ দুজন ফেসবুক বন্ধু।

 

পরে রাতেই রাজধানীর একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা সবুজকে ও বিবি ফাতেমা ঝুমুরকে গ্রেফতার করা হয়। মামলায় বিবি ফাতেমাকে ধর্ষণে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

মামলার এজাহার অনুযায়ী পুলিশ জানায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ৬০ ফুট এলাকায় নিজ বাসায় নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন সবুজ।

 

 

 

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সবুজ ও সবুজের বান্ধবী ফাতেমাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে। অন্যদিকে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে সবুজের ৫ ও ঝুমুরের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

 

এ ব্যাপারে মিরপুর মডেল থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান জানান, বুধবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী এক তরুণী নিজেই বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। পরে রাতেই সবুজ আল সাহবা ও বিবি ফাতেমা নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

 

 

 

গ্রেফতারকৃতদের রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে এজন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। এখানে রাজনৈতিক পরিচয় মুখ্য নয়। তবে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

 

 

 

ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, আমরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত থাকলে সংগঠনে থাকতে পারবে না।

সাভারের চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী নীলা রায় (১৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান (২০)। বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে সে এই জবানবন্দি দেয়। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক নির্মল কুমার দাস।

 

 

 

সাভার মডেল থানা পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল দুপরে আদালতে হাজির করে। পুলিশের রিমান্ডে সে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে নানা তথ্য এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

 

গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকার জনৈক পারভেজের টিনসেড বাড়ির একটি কক্ষ থেকে মিজানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নীলা রায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়।

 

 

 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইরের চারিগ্রাম এলাকা থেকে মিজানের বাবা আবদুর রহমান চৌধুরী (৬০) ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাকে (৫০) গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)।

 

 

 

উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে রিকশাযোগে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরার পথে রিকশার গতি রোধ করে ভাইয়ের সামনে থেকে তাকে নিয়ে যায়। পরে একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে নীলাকে হত্যা করে মিজান। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাকে হত্যা করা হয়।

 

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি ৪ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

 

 

মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)। এছাড়া বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।

 

 

 

এ রায়কে সামনে রেখে সকাল থেকেই বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রতিটি ফটক ও বাউন্ডারি ঢেলে সাজানো হয়েছে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে।

 

 

 

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাতের ওপর হামলা হয়। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ঐ বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়। আলোচিত এ হত্যা মামলার রায়ের দিকে নজর থাকবে আজ গোটা দেশবাসীর।

 

 

 

যেভাবে ঘটে হত্যাকাণ্ড

 

 

 

রিফাত শরীফকে কোথায়, কখন কীভাবে হত্যা করা হয়েছিল তার একাধিক ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ভিডিও ফুটেজে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের চিত্র দেখা গেছে। কত জন কীভাবে হত্যার মিশন শুরু করে সেটিও মোটামুটি বোঝা যাচ্ছে ফুটেজ থেকে।

 

 

 

পুলিশের তদন্ত, প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজ থেকে জানা যায়, গত বছরের ২৬ জুন সকালে রিফাত শরীফ সাদা রঙের মোটরবাইকে করে বরগুনা সরকারি কলেজের গেটের সামনে আসেন। এরপর তিনি কলেজের ভেতরে প্রবেশ করেন। ভেতরে প্রবেশের কিছু সময় পর ঘটনাস্থলে আসে রিফাত ফরাজী। আরো দুই থেকে তিন মিনিট পর ঘাতকদের এক জন রিফাত ফরাজীর দুই-তিন সঙ্গী কলেজে ঢোকে।

 

 

 

একপর্যায়ে দেখা যায়, রিফাত শরীফ ও তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি কলেজ থেকে বের হন। এর একটু পর রিফাত ফরাজীর নেতৃত্বে আট থেকে ১০ জন রিফাত শরীফকে ধরে ফেলে। কিল, ঘুষি দিতে দিতে তারা তাকে ফটকের সামনের সড়ক থেকে পূর্ব দিকে নিয়ে যায়। সেখানেই প্রথম দেখা যায় নয়ন বন্ড ও অন্যদের।

 

 

 

ভিডিওতে দেখা যায়, রিফাত ফরাজী ও তার অপর এক সহযোগী দৌড়ে কাছাকাছি কোথাও লুকিয়ে রাখা দুটি রামদা নিয়ে আসে। এর একটি রামদা নয়নের হাতে দেয় রিফাত ফরাজী। এরপর তারা দুই জন মিলে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে রিফাত শরীফকে। আর তাদের দায়ের কোপ থেকে স্বামীকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেন স্ত্রী মিন্নি। তবে পরে পুলিশের তদন্তে বলা হয়েছে, মিন্নিও এই হত্যাকাণ্ডের এক জন পরিকল্পনাকারী। তাই পরে তাকেও আসামি করা হয়েছে। মিন্নি নয়নের সঙ্গে তার বিয়ের বিষয়টি গোপন করেই রিফাত শরীফকে বিয়ে করেছিলেন।

 

 

 

ভিডিওতে দেখা যায়, রিফাত শরীফকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার পর রিফাত ফরাজী ও নয়ন বন্ড রামদা হাতে সবার সামনে দিয়ে সঙ্গীদের নিয়ে ঘটনাস্থলের পশ্চিম দিকে চলে যাচ্ছে। তখন রিফাত শরীফের রক্তে ভেসে যাচ্ছে তার কাপড়চোপড়। সেখান থেকে তাকে কে বা কারা রিকশায় তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ঐদিন বিকাল ৩টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যালে মারা যান রিফাত শরীফ।

 

 

 

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ড ছিল একদম পরিকল্পিত। কেউ কিছু আঁচ করার আগেই ঘাতকরা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছিল। কীভাবে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে রিফাত শরীফের ওপর হামলা করা হবে সে ব্যাপারে তাদের মধ্যে একটি বৈঠকও হয়েছিল। তবে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় তাকে বাদ দিয়ে বাকি আসামিদের বিচার শুরু হয়।

জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিশ্রুতি কমিটির সভায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অস্বাভাবিক ও অনাকাঙ্খিত বিদ্যুৎ বিল রোধ এবং লোডসেডিং দূরীকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

 

 

কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আলী আশরাফের সভাপতিত্বে আজ বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় এ সুপারিশ কর হয়।

 

 

 

কমিটির সদস্য মো. মুজিবুল হক, গোলাম মোহাম্মদ কাদের, ফখরুল ইমাম এবং গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

 

 

 

সভায় দশম জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশন থেকে ২৩তম অধিবেশন পর্যন্ত এবং সম্প্রতি সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদের ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির বিবরণ, তা বাস্তবায়নের সর্বশেষ হালনাগাদ অবস্থা, মন্ত্রণালয় গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পসমূহের বিবরণ উপস্থাপন করা হয়। বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) উল্লেখিত মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপিত বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে মতামত প্রদানসহ সভায় বিশদ আলোচনা করা হয়।

 

 

 

সভায় সংসদের ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত প্রতিশ্রুতিগুলো যথাসময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

 

 

 

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মেগা প্রকল্পগুলোর প্রতি গুরুত্বারোপ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করার জন্য কমিটি সুপারিশ করে।

 

 

 

সভায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজন ব্যতিত গাছ কাটা বন্ধ, বেশি করে বৃক্ষ রোপণ এবং ইট ভাটাগুলো যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করে পরিচালিত হচ্ছে কিনা সেদিকে দৃষ্টি রাখাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

 

 

 

এছাড়া স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রকল্পের কাজের মানোন্নয়ন তদারকির জন্য বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) কে শক্তিশালী ভূমিকা পালনের সুপারিশ করা হয়। বাসস

অক্টোবর মাসের প্রথম দিন থেকে কুয়েত ও ঢাকার মধ্যবর্তী বিমান চলাচলের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের শহরগুলিতে ট্রানজিট ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে জাজিরা এয়ারওয়েজ। এ৩২০ নিও এয়ারক্রাফটে পরিবেশন করা এয়ারলাইনটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে এবং মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার কুয়েত থেকে এবং বুধবার ও বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

 

 

জাজিরা এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রোহিত রামচন্দ্রন বলেন, ‘আমরা যেসব কঠিন সময় কাটিয়েছি, তা কাটিয়ে উঠে ঢাকা যাওয়ার জন্য একটি পথ উন্মুক্ত করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা এই মুহূর্তে আমাদের নেটওয়ার্ককে প্রসারিত করতে সক্ষম হয়েছি এর মাধ্যমে বোঝা যায় আমাদের বিমান সংস্থার শক্তি। আমরা এখন প্রত্যক্ষ সার্ভিস দিয়ে কুয়েতে বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের সেবা করতে সক্ষম হয়েছি এবং ভবিষ্যতে আমাদের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোর প্রত্যাশা রাখছি।’

 

 

 

স্থানীয় বিক্রয় পরিচালনা করতে জাজিরা এয়ারওয়েজ বাংলাদেশে গ্যালাক্সি গ্রুপকে নিয়োগ দিয়েছে। গ্যালাক্সি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, ‘আমরা জাজিরা এয়ারওয়েজের সাথে অংশীদারিত্ব করে আনন্দিত। আমরা কুয়েতে ফ্লাইটের জন্য বিশাল সুযোগ দেখতে পাচ্ছি এবং আমাদের গ্রাহকদের সৌদি আরব এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য গন্তব্যের সাথে সংযুক্ত করছি।’

 

 

 

জাজিরা এয়ারওয়েজ তাদের বিমানটিতে সবরকমের সুরক্ষা এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এবং যাত্রীরা যাতে নিরাপদে যাত্রা করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য কুয়েতের জাজিরা টার্মিনাল টি৫ সাবধানতা অবলম্বন করেছে। সকল যাত্রীকে তাদের পুরো যাত্রা সময়ে মাস্ক এবং হ্যান্ড গ্লাভস পরতে হবে। যাত্রীরা যেন তাদের যাত্রার সময় আরো স্বাচ্ছন্দ্য ও সুরক্ষা অনুভব করে তার জন্য এয়ারলাইন্সটিতে “ডুও সিট’ ব্যবস্থাও সরবরাহ করা হয়েছে, যাত্রীরা ভ্রমণের সময় তাদের সিট ছাড়াও মাঝের সিটটিকে বুকিংয়ে সক্ষম।

গত অর্থবছর থেকে সঞ্চয়পত্র কিনতে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ব্যাংকের আমানতের চেয়ে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে বেশি সুদ পাওয়া মানুষ এদিকে ঝুঁকছিল। মূলত, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ এত বেশি আসছিল যে, তা সরকারের জন্য বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে যাচ্ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সঞ্চয়পত্র কিনতে বেশকিছু কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। যেমন, কর শনাক্তকরণ নম্বরও (টিআইএন) বাধ্যতামূলক করা। এরই মধ্যে চলতি বছরের শুরু থেকে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকে। এতে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমতে থাকে। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রির ক্ষেত্রে উলটো ঘটনা ঘটেছে।

 

 

 

মহামারি ও নানা শর্তের বেড়াজালের পরেও চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে ১৭ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে বিক্রির পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা। অর্থাত্ গত অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় বিক্রি ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

 

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যবসায়-বাণিজ্যে মন্দা, ব্যাংকে আমানতের সুদহার কম হওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে সবচেয়ে বেশি ‘নিরাপদ’ মনে করছেন। তাই বিভিন্ন শর্ত পরিপালন করেও সঞ্চয়পত্রে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা।

 

 

 

জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই ও আগস্ট মিলে মোট ১৭ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করেছে। এর বিপরীতে মূল পরিশোধ হয়েছে ১০ হাজার ১০৩ কোটি টাকা। মূল অর্থ পরিশোধের পর অবশিষ্ট অর্থ নিট বিক্রি হিসেবে গণ্য হয়। সেই হিসেবে আলোচিত সময়ে নিট বিক্রির পরিমাণ ৭ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি ছিল ৩ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। সে হিসাবে নিট বিক্রি দ্বিগুণ বেড়েছে।

 

 

 

এদিকে চলতি (২০২০-২১) অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। বিশাল ঘাটতি মেটাতে এবার সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। যা সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে বাজেটে যার লক্ষ্য ছিল ২৭ কোটি টাকা।

 

 

 

গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। যা তার আগের অর্থবছরে ছিল ৪৯ হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সেই হিসাবে গেল অর্থবছরের সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেছিল ৭১ দশমিক ১০ শতাংশ।

 

 

 

সঞ্চয় অধিদপ্তরের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, একক মাস হিসাবে আগস্টে মোট ৮ হাজার ৮৫২ কোটি ২৯ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর বিপরীতে মূল অর্থ পরিশোধ হয়েছে ৫ হাজার ১০৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগস্টে নিট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৪৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর আগের মাস জুলাইয়ে মোট ৮ হাজার ৭০৫ কোটি ৬২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করেছে। ঐ সময় নিট বিক্রির পরিমাণ তিন হাজার ৭০৫ কোটি টাকা।