বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে হামলার ঘটনায় মূল হোতাদের আটকের দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের জন্য বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কুয়াকাটা- বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই রুটে চলাচল করা যাত্রীরা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ম্যাচে হামলার মামলায় শুক্রবার রনি এবং ফিরোজ নামের পরিবহন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়। রুপাতলি বাস স্ট্যান্ড থেকে তাদের আটক করে কোতয়ালি থানা পুলিশ। তবে, মূল হোতাদের কাউকে আটক না করার অভিযোগ তুলেছে শিক্ষার্থীরা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী পরদিন শনিবার কুয়াকাটা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর হামলাকারী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলেও নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতনামা আসামি দেয়ার প্রতিবাদ এবং গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এই অবরোধ শুরু হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন ওই রুটে চলাচল করা বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালীগামী যাত্রীরা।
কুয়াকাটা- বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার মধ্যরাতে রুপাতলির একটি ছাত্রাবাসে বাস শ্রমিকরা হামলা চালিয়ে ১১ জন শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় শাস্তির দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হলেও আশ্বস্ত হওয়ার মতো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি স্থানীয় প্রশাসন। তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা । দাবিগুলো হলো- হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আসামির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে অবিলম্বে গ্রেফতার করা, এমন ঘটনার পুরনরাবৃত্তি যেনো না হয় সেই নিশ্চয়তা এবং হলের বাইরের অনাবাসিক শিক্ষাথীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।