নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল বিভাগে করোনা সংক্রমণ পর পর দুদিন একই সংখ্যায় থাকলেও হটস্পট বরিশাল মহানগরী সহ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যাটা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগেরদিনের মত বুধবারেও এ অঞ্চলের ৬ জেলায় ১৯২ জন করোনা পজিটিভ রোগী সনাক্তের ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়াল ১৩ হাজার ৭৬১ জনে। গত এক সপ্তাহ পরে বুধবারেই দক্ষিণাঞ্চলে কোন মৃত্যু না থাকলেও এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৪৪ জন। দক্ষিণাঞ্চলে মৃত্যুহার এখনো প্রায় ১.৭৭%।
গত মঙ্গলবার মহানগরীতে ৪১ জন সহ বরিশাল জেলায় আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৪৯। কিন্তু বুধবার তা প্রায় দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়ে জেলায় আক্রান্ত ৯০ জনের মধ্যে মহানগরীতেই সংখ্যাটা ৭৭ জনে উন্নীত হয়েছে। আর স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবে বুধবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় ৪১ জন সহ দক্ষিণাঞ্চলে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ১৯৫ জন। তবে সুস্থতার সংখ্যাও আগের দিন ছিল প্রায় দ্বিগুন, ৬৮ জন। দক্ষিণাঞ্চলে সুস্থতার হার ইতোমধ্যে ৯৮% থেকে প্রায় ৮১.৩৫%-এ হ্রাস পেয়েছে।
বুধবার সকালের পূর্ববর্ত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ ও ভোলা জেনারেল হাসপাতাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৭৩ জনের নমুনা পরিক্ষায় ১২৯ জনের করোনা পরিজিটিভ সনাক্ত হয়েছে। সনক্তের হার এখন ১৫.০৪%। তবে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার মধ্যে বরগুনাতেই সনাক্তের হার এখনো সবচেয়ে কম ৯.৮৫%। সবচেয়ে বেশী ঝালকাঠীতে ১৯.০২%। পিরোজপরে ১৮,২৩%। বরিশাল মহানগরী সহ জেলায় ১৭.৭৭%। ভোলাতে ১২.৬৯%। পটুয়াখালীতে ১১.৭৯%।
আর মৃত্যু হারে এখনো সবার আগে পটুয়াখালী জেলা। এ জেলোয় ২ হাজার ৩৪ জন আক্রান্তের মধ্যে ৪৮ জনের মৃত্যুর ফলে মৃত্যু হার দক্ষিলাঞ্চলের সর্বোচ্চ ২.৩৬%। ঝালকাঠীতে ১ হাজার ১৫৫ জন আক্রান্তের মধ্যে ২৩ জনের মৃত্যুর ফলে গড়হার ১.৯৯%। পিরোজপুরে ১ হাজার ৫০৪ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ১৯ জন। গড় মৃত্যুহার ১.৯৩%। বরগুনাতে ১ হাজার ১৭৮ জন আক্রান্তের মধ্যে ২২ জন মারা গেছেন। মৃত্যুহার ১.৮৭%। বরিশালে মোট আক্রান্ত ৬ হাজার ৩শ জনের মধ্যে ১০৪ জন মারা গেছেন। মৃত্যুহার ১.৬৫%। ভোলাতেও আক্রান্ত ১ হাজার ৫৯০ জনের মধ্যে ১৮ জনের মৃত্যু হলেও এ অঞ্চলের মধ্যে দ্বীপ জেলাটিতেই মৃত্যুহার এখনো সবচেয়ে কম ১.১৩%।
বুধবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় বরিশাল বাদে অন্যসব জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ভোলাতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬ জন। যা মঙ্গলবারে ছিল ২৯। পটুয়াখালীতেও আক্রান্তের সংখ্যাটা আগের দিনের ১৯ থেকে বুধবারে ৫ জনে হ্রাস পেয়েছে। ঝালকাঠীতে আক্রান্তের সংখ্যা অগেরদিনের ১২ থেকে বুধবারে ৯ জনে হ্রাস পেয়েছে। পিরোজপুরেও সংখ্যাটা মঙ্গলবারের ১২ থেকে বুধবারে ৬ জনে হ্রাস পেয়েছে। আর বরগুনাতে মঙ্গলবারে সংখ্যাটা ছিল যেখানে ৮, বুধবারে তা ৩ জনে হ্রাস পেয়েছে।
তবে এপ্রিলের প্রথম ২১ দিনেই দক্ষিণাঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৩৮ জনে পৌছল। মারা গেছেন ৩৩ জন। অথচ গত জানুয়ারী থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩ মাসে এ অঞ্চলে ৯৬০ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।