TT Ads

 

ঢাকার সাভার পৌরসভায় অফিসকক্ষে প্রকাশ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন দুই কর কর্মকর্তা। অভিযোগ উঠেছে হোল্ডিংয়ের মালিকানা পরিবর্তনের জন্য এক সেবা গ্রহীতার কাছ থেকে নেওয়া পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এমন মারামারিতে জড়িয়েছেন দুজন।

মারামারিতে জড়ানো দুই কর্মকর্তা হলেন- সাভার পৌরসভার কর নির্ধারক নাজমুল হাসান ও সহকারী কর আদায়কারী নজরুল ইসলাম।

ভিডিওতে দেখা যায়, কর নির্ধারণ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান নিজের চেয়ারে বসে আছেন। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন আরও বেশ কয়েকজন। এমন সময় সহকারী কর আদায়কারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম উপস্থিত হন। তখন দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সহকারী কর আদায়কারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম কর নির্ধারণ কর্মকর্তার দিকে তেড়ে যান। তাকে থামানোর চেষ্টা করেন উপস্থিত ব্যক্তিরা। তাদের ঠেলে নজরুল ইসলাম কর নির্ধারণ কর্মকর্তা নাজমুল হাসানকে আক্রমণ করতে যান। এরপর দুই কর্মকর্তাই একজন আরেকজনকে কিল ঘুষি মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে উপস্থিত লোকজন দুইজনকেই নিবৃত্ত (শান্ত) করেন।

ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সেবা গ্রহীতা ও পৌর কর্মচারীদের মাঝে বিভিন্ন গুঞ্জন চলছে। নাম প্রকাশে এক কর্মচারী ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “করের অতিরিক্ত টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই কর্মকর্তা মারামারিতে জড়িয়েছেন। অফিস কক্ষে এরকম ঘটনা ঘটানো উচিত হয়নি।”

জানতে চাইলে কর নির্ধারণ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, “নজরুল ইসলাম আমার জুনিয়র। হোল্ডিংয় ট্যাক্স ও নামজারী ফি বাবদ এক লোক নজরুল ইসলামকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। ঐ লোক নজরুল ভাইয়ের পরিচিত। আমি নজরুল ভাইকে ডেকে বলি নামজারি ফি ১,১৫০ টাকার রশিদ আছে কিন্তু হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ দেননি কিন্তু সাক্ষর করেছেন। এই কথা বলা মাত্রই তিনি উত্তেজিত হয়ে আক্রমণ করেন।”

এদিকে বক্তব্য জানতে সহকারী কর আদায়কারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি ঘটনার পর পৌর ভবন থেকে আত্মগোপনে গেছেন।

যোগাযোগ করা হলে সাভার পৌর নির্বাহী অফিসার সায়েদুল ইসলাম বলেন, “দুই কর্মকর্তার মাঝে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে এটা শুনেছি। মারামারি হয়নি। তবে কোন বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছে জানতে পারিনি। বিস্তারিত জেনে জানাতে পারবো।”

 

TT Ads