রাজধানীর মিরপুরে বান্ধবীর বাসার তরুণী গৃহকর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সবুজ আল সাহবার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপরদিকে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত সবুজের বান্ধবী বিবি ফাতেমা ঝুমুরের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে এক তরুণী ছাত্রলীগ নেতা সবুজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ওই তরুণী ঝুমুরের বাসার গৃহকর্মী। ঝুমুর ও সবুজ দুজন ফেসবুক বন্ধু।

 

পরে রাতেই রাজধানীর একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা সবুজকে ও বিবি ফাতেমা ঝুমুরকে গ্রেফতার করা হয়। মামলায় বিবি ফাতেমাকে ধর্ষণে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

মামলার এজাহার অনুযায়ী পুলিশ জানায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ৬০ ফুট এলাকায় নিজ বাসায় নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন সবুজ।

 

 

 

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সবুজ ও সবুজের বান্ধবী ফাতেমাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে। অন্যদিকে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে সবুজের ৫ ও ঝুমুরের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

 

এ ব্যাপারে মিরপুর মডেল থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান জানান, বুধবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী এক তরুণী নিজেই বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। পরে রাতেই সবুজ আল সাহবা ও বিবি ফাতেমা নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

 

 

 

গ্রেফতারকৃতদের রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে এজন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। এখানে রাজনৈতিক পরিচয় মুখ্য নয়। তবে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

 

 

 

ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, আমরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত থাকলে সংগঠনে থাকতে পারবে না।

সাভারের চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী নীলা রায় (১৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান (২০)। বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে সে এই জবানবন্দি দেয়। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক নির্মল কুমার দাস।

 

 

 

সাভার মডেল থানা পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল দুপরে আদালতে হাজির করে। পুলিশের রিমান্ডে সে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে নানা তথ্য এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

 

গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকার জনৈক পারভেজের টিনসেড বাড়ির একটি কক্ষ থেকে মিজানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নীলা রায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়।

 

 

 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইরের চারিগ্রাম এলাকা থেকে মিজানের বাবা আবদুর রহমান চৌধুরী (৬০) ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাকে (৫০) গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)।

 

 

 

উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে রিকশাযোগে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরার পথে রিকশার গতি রোধ করে ভাইয়ের সামনে থেকে তাকে নিয়ে যায়। পরে একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে নীলাকে হত্যা করে মিজান। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাকে হত্যা করা হয়।

 

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি ৪ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

 

 

মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)। এছাড়া বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।

 

 

 

এ রায়কে সামনে রেখে সকাল থেকেই বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রতিটি ফটক ও বাউন্ডারি ঢেলে সাজানো হয়েছে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে।

 

 

 

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাতের ওপর হামলা হয়। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ঐ বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়। আলোচিত এ হত্যা মামলার রায়ের দিকে নজর থাকবে আজ গোটা দেশবাসীর।

 

 

 

যেভাবে ঘটে হত্যাকাণ্ড

 

 

 

রিফাত শরীফকে কোথায়, কখন কীভাবে হত্যা করা হয়েছিল তার একাধিক ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ভিডিও ফুটেজে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের চিত্র দেখা গেছে। কত জন কীভাবে হত্যার মিশন শুরু করে সেটিও মোটামুটি বোঝা যাচ্ছে ফুটেজ থেকে।

 

 

 

পুলিশের তদন্ত, প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজ থেকে জানা যায়, গত বছরের ২৬ জুন সকালে রিফাত শরীফ সাদা রঙের মোটরবাইকে করে বরগুনা সরকারি কলেজের গেটের সামনে আসেন। এরপর তিনি কলেজের ভেতরে প্রবেশ করেন। ভেতরে প্রবেশের কিছু সময় পর ঘটনাস্থলে আসে রিফাত ফরাজী। আরো দুই থেকে তিন মিনিট পর ঘাতকদের এক জন রিফাত ফরাজীর দুই-তিন সঙ্গী কলেজে ঢোকে।

 

 

 

একপর্যায়ে দেখা যায়, রিফাত শরীফ ও তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি কলেজ থেকে বের হন। এর একটু পর রিফাত ফরাজীর নেতৃত্বে আট থেকে ১০ জন রিফাত শরীফকে ধরে ফেলে। কিল, ঘুষি দিতে দিতে তারা তাকে ফটকের সামনের সড়ক থেকে পূর্ব দিকে নিয়ে যায়। সেখানেই প্রথম দেখা যায় নয়ন বন্ড ও অন্যদের।

 

 

 

ভিডিওতে দেখা যায়, রিফাত ফরাজী ও তার অপর এক সহযোগী দৌড়ে কাছাকাছি কোথাও লুকিয়ে রাখা দুটি রামদা নিয়ে আসে। এর একটি রামদা নয়নের হাতে দেয় রিফাত ফরাজী। এরপর তারা দুই জন মিলে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে রিফাত শরীফকে। আর তাদের দায়ের কোপ থেকে স্বামীকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেন স্ত্রী মিন্নি। তবে পরে পুলিশের তদন্তে বলা হয়েছে, মিন্নিও এই হত্যাকাণ্ডের এক জন পরিকল্পনাকারী। তাই পরে তাকেও আসামি করা হয়েছে। মিন্নি নয়নের সঙ্গে তার বিয়ের বিষয়টি গোপন করেই রিফাত শরীফকে বিয়ে করেছিলেন।

 

 

 

ভিডিওতে দেখা যায়, রিফাত শরীফকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার পর রিফাত ফরাজী ও নয়ন বন্ড রামদা হাতে সবার সামনে দিয়ে সঙ্গীদের নিয়ে ঘটনাস্থলের পশ্চিম দিকে চলে যাচ্ছে। তখন রিফাত শরীফের রক্তে ভেসে যাচ্ছে তার কাপড়চোপড়। সেখান থেকে তাকে কে বা কারা রিকশায় তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ঐদিন বিকাল ৩টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যালে মারা যান রিফাত শরীফ।

 

 

 

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ড ছিল একদম পরিকল্পিত। কেউ কিছু আঁচ করার আগেই ঘাতকরা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছিল। কীভাবে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে রিফাত শরীফের ওপর হামলা করা হবে সে ব্যাপারে তাদের মধ্যে একটি বৈঠকও হয়েছিল। তবে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় তাকে বাদ দিয়ে বাকি আসামিদের বিচার শুরু হয়।

জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিশ্রুতি কমিটির সভায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অস্বাভাবিক ও অনাকাঙ্খিত বিদ্যুৎ বিল রোধ এবং লোডসেডিং দূরীকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

 

 

কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আলী আশরাফের সভাপতিত্বে আজ বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় এ সুপারিশ কর হয়।

 

 

 

কমিটির সদস্য মো. মুজিবুল হক, গোলাম মোহাম্মদ কাদের, ফখরুল ইমাম এবং গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

 

 

 

সভায় দশম জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশন থেকে ২৩তম অধিবেশন পর্যন্ত এবং সম্প্রতি সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদের ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির বিবরণ, তা বাস্তবায়নের সর্বশেষ হালনাগাদ অবস্থা, মন্ত্রণালয় গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পসমূহের বিবরণ উপস্থাপন করা হয়। বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) উল্লেখিত মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপিত বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে মতামত প্রদানসহ সভায় বিশদ আলোচনা করা হয়।

 

 

 

সভায় সংসদের ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত প্রতিশ্রুতিগুলো যথাসময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

 

 

 

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মেগা প্রকল্পগুলোর প্রতি গুরুত্বারোপ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করার জন্য কমিটি সুপারিশ করে।

 

 

 

সভায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজন ব্যতিত গাছ কাটা বন্ধ, বেশি করে বৃক্ষ রোপণ এবং ইট ভাটাগুলো যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করে পরিচালিত হচ্ছে কিনা সেদিকে দৃষ্টি রাখাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

 

 

 

এছাড়া স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রকল্পের কাজের মানোন্নয়ন তদারকির জন্য বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) কে শক্তিশালী ভূমিকা পালনের সুপারিশ করা হয়। বাসস

অক্টোবর মাসের প্রথম দিন থেকে কুয়েত ও ঢাকার মধ্যবর্তী বিমান চলাচলের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের শহরগুলিতে ট্রানজিট ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে জাজিরা এয়ারওয়েজ। এ৩২০ নিও এয়ারক্রাফটে পরিবেশন করা এয়ারলাইনটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে এবং মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার কুয়েত থেকে এবং বুধবার ও বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

 

 

জাজিরা এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রোহিত রামচন্দ্রন বলেন, ‘আমরা যেসব কঠিন সময় কাটিয়েছি, তা কাটিয়ে উঠে ঢাকা যাওয়ার জন্য একটি পথ উন্মুক্ত করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা এই মুহূর্তে আমাদের নেটওয়ার্ককে প্রসারিত করতে সক্ষম হয়েছি এর মাধ্যমে বোঝা যায় আমাদের বিমান সংস্থার শক্তি। আমরা এখন প্রত্যক্ষ সার্ভিস দিয়ে কুয়েতে বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের সেবা করতে সক্ষম হয়েছি এবং ভবিষ্যতে আমাদের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোর প্রত্যাশা রাখছি।’

 

 

 

স্থানীয় বিক্রয় পরিচালনা করতে জাজিরা এয়ারওয়েজ বাংলাদেশে গ্যালাক্সি গ্রুপকে নিয়োগ দিয়েছে। গ্যালাক্সি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, ‘আমরা জাজিরা এয়ারওয়েজের সাথে অংশীদারিত্ব করে আনন্দিত। আমরা কুয়েতে ফ্লাইটের জন্য বিশাল সুযোগ দেখতে পাচ্ছি এবং আমাদের গ্রাহকদের সৌদি আরব এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য গন্তব্যের সাথে সংযুক্ত করছি।’

 

 

 

জাজিরা এয়ারওয়েজ তাদের বিমানটিতে সবরকমের সুরক্ষা এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এবং যাত্রীরা যাতে নিরাপদে যাত্রা করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য কুয়েতের জাজিরা টার্মিনাল টি৫ সাবধানতা অবলম্বন করেছে। সকল যাত্রীকে তাদের পুরো যাত্রা সময়ে মাস্ক এবং হ্যান্ড গ্লাভস পরতে হবে। যাত্রীরা যেন তাদের যাত্রার সময় আরো স্বাচ্ছন্দ্য ও সুরক্ষা অনুভব করে তার জন্য এয়ারলাইন্সটিতে “ডুও সিট’ ব্যবস্থাও সরবরাহ করা হয়েছে, যাত্রীরা ভ্রমণের সময় তাদের সিট ছাড়াও মাঝের সিটটিকে বুকিংয়ে সক্ষম।

গত অর্থবছর থেকে সঞ্চয়পত্র কিনতে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ব্যাংকের আমানতের চেয়ে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে বেশি সুদ পাওয়া মানুষ এদিকে ঝুঁকছিল। মূলত, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ এত বেশি আসছিল যে, তা সরকারের জন্য বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে যাচ্ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সঞ্চয়পত্র কিনতে বেশকিছু কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। যেমন, কর শনাক্তকরণ নম্বরও (টিআইএন) বাধ্যতামূলক করা। এরই মধ্যে চলতি বছরের শুরু থেকে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকে। এতে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমতে থাকে। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রির ক্ষেত্রে উলটো ঘটনা ঘটেছে।

 

 

 

মহামারি ও নানা শর্তের বেড়াজালের পরেও চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে ১৭ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে বিক্রির পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা। অর্থাত্ গত অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় বিক্রি ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

 

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যবসায়-বাণিজ্যে মন্দা, ব্যাংকে আমানতের সুদহার কম হওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে সবচেয়ে বেশি ‘নিরাপদ’ মনে করছেন। তাই বিভিন্ন শর্ত পরিপালন করেও সঞ্চয়পত্রে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা।

 

 

 

জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই ও আগস্ট মিলে মোট ১৭ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করেছে। এর বিপরীতে মূল পরিশোধ হয়েছে ১০ হাজার ১০৩ কোটি টাকা। মূল অর্থ পরিশোধের পর অবশিষ্ট অর্থ নিট বিক্রি হিসেবে গণ্য হয়। সেই হিসেবে আলোচিত সময়ে নিট বিক্রির পরিমাণ ৭ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি ছিল ৩ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। সে হিসাবে নিট বিক্রি দ্বিগুণ বেড়েছে।

 

 

 

এদিকে চলতি (২০২০-২১) অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। বিশাল ঘাটতি মেটাতে এবার সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। যা সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে বাজেটে যার লক্ষ্য ছিল ২৭ কোটি টাকা।

 

 

 

গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। যা তার আগের অর্থবছরে ছিল ৪৯ হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সেই হিসাবে গেল অর্থবছরের সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেছিল ৭১ দশমিক ১০ শতাংশ।

 

 

 

সঞ্চয় অধিদপ্তরের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, একক মাস হিসাবে আগস্টে মোট ৮ হাজার ৮৫২ কোটি ২৯ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর বিপরীতে মূল অর্থ পরিশোধ হয়েছে ৫ হাজার ১০৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগস্টে নিট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৪৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর আগের মাস জুলাইয়ে মোট ৮ হাজার ৭০৫ কোটি ৬২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করেছে। ঐ সময় নিট বিক্রির পরিমাণ তিন হাজার ৭০৫ কোটি টাকা।

দেশের ভ্রমণ পিপাসুদের সাশ্রয়ী মূল্যে ভ্রমণের জন্য শীতকালীন আকর্ষণীয় ভ্রমণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে দেশের অন্যতম বেসরকারি বিমান সংস্থা নভোএয়ার। দুই জনের জন্য দুই রাত তিন দিনের এই প্যাকেজের আওতায় বিমান ভাড়া, হোটেল ভাড়া, বিমানবন্দর থেকে হোটেল যাওয়া-আসা, সকালের নাস্তার ব্যবস্থা রয়েছে।

 

 

ভ্রমণ পিপাসুদের এই সুবিধা দিতে দেশের ১৯টি শীর্ষ বেসরকারি ব্যাংকের কার্ড ব্যবহারকারীরা বিনা সুদে ৬ মাসের সহজ কিস্তিতে এই প্যাকেজে ভ্রমণ করতে পারবেন।

 

 

কক্সবাজারে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১ হাজার ৭৭৭ টাকার মাসিক কিস্তিতে ঢাকা থেকে এবং দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ২ হাজার ৬৬৬ টাকায় এই প্যাকেজে ভ্রমণ করা যাবে। রয়েল টিউলিপ পার্ল বীচ রিসোর্ট, সায়মন বীচ রিসোর্ট, ওশান প্যারাডাইজ হোটেল এন্ড রিসোর্ট, লং বীচ হোটেল, উইন্ডি ট্যারেস বুটিক হোটেল, বেস্ট ওয়েস্টার্ন হেরিটেজ, নিসর্গ হোটেল এন্ড রিসোর্ট, গ্রেস কক্স স্মার্ট হোটেল এবং প্রাসাদ প্যারাডাইজ হোটেল এন্ড রিসোর্টে এই প্যাকেজের আওতায় থাকার সুবিধা রয়েছে।

 

 

 

ঢাকা থেকে সিলেটে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১ হাজার ৫১৫ টাকার মাসিক কিস্তিতে এই প্যাকেজে ভ্রমণ করা যাবে। হোটেল রোজভিউ ও হোটেল নুরজাহান গ্র্যান্ড-এ এই প্যাকেজের আওতায় থাকার সুবিধা রয়েছে।

 

 

 

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ২ হাজার ২২২ টাকার মাসিক কিস্তিতে এই প্যাকেজে ভ্রমণ করা যাবে। হোটেল আগ্রাবাদ-এ এই প্যাকেজের আওতায় থাকার সুবিধা রয়েছে।

 

 

 

কক্সবাজার থেকে ঢাকায় জনপ্রতি সর্বনিম্ন ২ হাজার ২২২ টাকার মাসিক কিস্তিতে এবং দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে ঢাকায় জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১ হাজার ৮৮৮ টাকার মাসিক কিস্তিতে এই প্যাকেজে ভ্রমণ করা যাবে। হোটেল লেক শোর -এ এই প্যাকেজের আওতায় থাকার সুবিধা রয়েছে।

 

 

 

নভোএয়ার ডব্লিউএইচও, আইকাও, আয়াটা ও সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে নিয়মিত প্রতিদিন পাঁচটি, চট্টগ্রাম চারটি ও সিলেট দুইটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) ডিজাইনে রাজধানীর গুলশানে চালু হচ্ছে বিশ্বখ্যাত স্টিম (এসটিইএএম) কারিকুলাম-ভিত্তিক ‘স্মার্ট ইনোভেশনস স্কুল’। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ‘হোয়ার এডুকেশন মিটস দ্য ফিউচার’- নীতিতে নতুন ধারার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী মাস থেকে পুরোদমে চালু হবে। স্টিম কারিকুলামে বিজ্ঞান (এস), প্রযুক্তি (টি), প্রকৌশল (ই) ও গণিত (এম)-নির্ভর বিশ্বমানের এই শিক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে কলা (এ)। যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম এই শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন ইউএসএ। এরপরই তা ছড়িয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া, চীন, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও যুক্তরাজ্যে।

 

 

স্মার্ট ইনোভেশনস স্কুল সূত্র জানায়, ইংরেজি মাধ্যমের এই স্কুলের সব শিক্ষকই বিদেশি। এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডক্টর লরি সানসেজ। স্কুলে রয়েছে পরিপূর্ণ শিক্ষার সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী পরিবেশ, যা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভবিষ্যতের চাহিদা অনুযায়ী নিজের মেধা ও জ্ঞানকে সমৃদ্ধশালী করে তোলায় সহায়ক হবে। স্কুলের সুবিধাগুলোর মধ্যে অন্যতম: ছাত্র সহায়ক পরিবেশ; সহায়ক শিক্ষা; পাঠদানে রেজিয়া এমিলা অ্যাপ্রোচ; সোশ্যাল-ইমোশনাল শিক্ষা; প্রজেক্ট বেজড লার্নিং; নেটিভ ইংলিশ স্পিকিং শিক্ষক। করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব এবং শিশুদের নিরাপত্তা বিবেচনায় স্কুলের প্রবেশমুখেই স্থাপন করা হয়েছে ‘চেহারা শনাক্তকরণ এবং তাপমাত্রা পরিমাপ’ যন্ত্র। অননুমোদিত ব্যক্তিদের স্কুলে প্রবেশ প্রতিরোধে স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ ক্যামেরা, যা মাস্ক পরিহিত ব্যক্তিকেও শনাক্ত করতে সক্ষম।

 

 

 

স্কুলের অভ্যন্তরে স্থাপন করা হয়েছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বায়ু জীবানুমুক্তকরণ ব্যবস্থা, যা অনবরত চলমান থাকে। স্কুলের কার্যক্রম শুরুর পূর্বে ও শেষ হওয়ার পরে আল্ট্রা ভায়োলেট প্রযুক্তিতে ভিতর-বাহির জীবানুমুক্তকরণ ব্যবস্থাও রয়েছে। শ্রেণীকক্ষ এবং মিলনায়তনগুলো সুপ্রশস্ত হওয়ায় সত্যিকার সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকা সম্ভব। আন্তর্জাতিক নির্দেশনা অনুসারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে স্কুলটি অনলাইন এবং অফলাইন উভয় পদ্ধতিতে শিশুদের নিরবচ্ছিন্ন পাঠদান নিশ্চিত করবে। স্কুলটির প্রধান শাখায় ফুটবল ও অন্যান্য খেলাধুলার জন্য বিশাল মাঠ, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন, সুইমিংপুল, অডিটোরিয়ামসহ নানা সুবিধা থাকবে। খেলাধুলা ও শরীরচর্চার পাশাপাশি শিশুদের জন্য গান, নৃত্য, চারু ও কারু শিল্প শিখনের সুবিধাও থাকবে। সফলতার সঙ্গে প্রধান ক্যাম্পাস চালু করার পর একই সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত আরও শাখা খুলবে স্মার্ট ইনোভেশনস স্কুল (www.smartinnovationsschool.com), যেখানে সমাজের সুবিধা-বঞ্চিতদের জন্য কম খরচে শিক্ষা নেয়ার সুযোগ থাকবে। এই শিক্ষা ব্যবস্থা ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জটিল চিন্তা, যোগাযোগ, সমন্বয় ও সৃষ্টিশীলতার মতো প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে সহায়ক হবে।

 

 

 

স্টিম কারিকুলামের মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলো, এটি বর্তমান বিশ্বের চলমান সমস্যাগুলোকে গুরুত্ব দেয়, শিশুদের টিম ওয়ার্কে সৃষ্টিশীল কাজে সম্পৃক্ত করে, শিশুর অনুসন্ধিৎসু মানসিকতা তৈরি করে এবং বাধাহীন চিন্তা শক্তির মাধ্যমে নতুন নতুন আবিষ্কারের ভাবনা জাগিয়ে তোলে। শিশু একই সমস্যার বিভিন্ন সমাধান খুঁজে পেতে সমর্থ হয় এবং ব্যর্থতাকেও নিজের জীবনের অংশ বলে ভাবতে শেখে। প্রতিকূলতাকে মানিয়ে নিয়ে প্রকৃতি থেকে সম্পদ আহরণের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে তা কাজে লাগানোর দক্ষতা তৈরি হয়। এই শিক্ষা ব্যবস্থা শিশুদের দৃঢ়চেতা এবং উদ্যমী করে গড়ে তোলে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আছিয়া আক্তার নামে শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে জানা গেছে। তার বাড়ি বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মথুরা গ্রামে।

 

বৃহস্পতিবার সকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির। এ বিষয়ে তিনি বলেন, তার বাড়িতে গিয়ে তার লাশ আমরা উদ্ধার করেছি। আমরা ময়নাতদন্ত করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তার পরিবারের লোকজনের সাথে আলাপ করছি। আর সেখানকার পরিস্থিতি বুঝে আমরা ব্যবস্থা নেব। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে কিছু এখনো জানা যায় নি। তবে সে কিছুদিন থেকে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিল বলে জানা গেছে।

 

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সকালে ফজরের নামাজের পর আছিয়ার মা ঘরের বারান্দাতে তার ঝুলন্ত লাশ পায়। তার এলাকাতে এক ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল ।

যা নিয়ে বেশকিছু দিন থেকে পারিবারিকভাবে মানসিকভাবে বেশ চাপে ছিল আছিয়া।

 

এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকা বলেন, আমরা বিষয়টি অবগত হয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছি।

একটা ছেলের সাথে সম্পর্কের জের ধরে আছিয়া আত্মহত্যা করেছে ধারণা করা যাচ্ছে বলে তার বড়ভাই আমাদের জানিয়েছে।

দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোয় আগামী ৪ অক্টোবর রবিবার থেকে একাদশের অনলাইন ক্লাস শুরু হবে।

 

বুধবার সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

 

করোনার ভাইরাসের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান সম্ভব না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে পাঠদানের উদ্দেশে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি।

 

মু. জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এর কারণে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া যাতে বিঘ্নিত না হয় সে উদ্দেশ্যে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ৪ অক্টোবর থেকে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

এদিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪ অক্টোবর সকাল ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনলাইন ক্লাসের উদ্বোধন করবেন। ঢাকা কলেজে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।