ভূমি সংস্কার বোর্ড কর্তৃক ঘোষিত জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০১৯-২০ পুরস্কার পেয়েছেন বরিশাল বিভাগের উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার (ডিএলআরসি) তরফদার মো: আক্তার জামীল। শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জন্য দেশের আট বিভাগের সব ডিএলআরসিদের মধ্য থেকে একজন ডিএলআরসিকে এবছর পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।

২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার ঢাকার মতিঝিলের ভূমি সংস্কার বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সরকারের সচিব মোঃ ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী পুরস্কার হিসেবে তার হাতে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন। এছাড়া তাকে এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থও দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ দেয়ার লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা-২০১৭’ প্রণয়ন
করে। নীতিমালার ৪ ধারা অনুযায়ী ১১টি ক্ষেত্র ও ১৯টি সূচক বিবেচনায় নিয়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেয়ার জন্য তিনজন কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন করা হয়।

রাজধানীর আদাবর এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বরিশাল র‌্যাব-৮। ২৭ সেপ্টেম্বর বিকালে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত জেএমবি সদস্য মো. রবিউল আওয়াল রিজন (২৭) রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানাধীন পার্বতীপুর এলাকার মো. আব্দুল মমিন মন্ডলের ছেলে।

র‌্যাব জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জেএমবি সদস্য রবিউল আওয়াল রিজনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার আড়ালে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন।

তিনি রাজধানীর আদাবর বায়তুল আমান হাউজিং ১২ নম্বর রোডের বি-ব্লকের ৫২০ নম্বর বাড়িতে বসবাস করছিলেন।

র‌্যাব আরও জানায়, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিজন জেএমবি’র দাওয়াতি কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত বলে স্বীকার করেছেন। দাওয়াতি কাজ পরিচালনার জন্য গোপন মিটিং, লিফলেট বিতরণ, বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফরমে জঙ্গি তৎপরতা চালনার মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করতেন বলেও স্বীকার করেছেন। এছাড়া ইতিপূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদেও ধৃত আসামির বিরুদ্ধে উগ্রপন্থী কাজের সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।

র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত জেএমবি সদস্য’র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি তার অন্যান্য সহযোগীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব-৮ তৎপর রয়েছে।

এবারের তথ্য অধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘তথ্য অধিকার সংকটে হাতিয়ার। ‘সংকটকালে তথ্য পেলে জনগণের মুক্তি মেলে’ এই স্লোগান নিয়ে আজ ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার সারাদেশব্যাপী আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২০ পালিত হচ্ছে।

 

তারি অংশ হিসেবে আজ ঢাকা আগারগাঁও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর সম্মেলন কক্ষে বিকাল ৩ টায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

 

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে অবদান রাখার উপর পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সেখানে তথ্য অধিকার বাস্তবায়নে অবেক্ষণ (সুপারভিশন) ও পরিবীক্ষণ বিভাগীয় কমিটির ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন সারদেশের মধ্যে বরিশাল বিভাগীয় কমিটি।

 

 

তথ্য প্রদানে জেলা কার্যালয়ের ক্যাটাগরিতে সারাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল। তথ্য প্রদানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্যাটাগরিতে সারাদেশের মধ্যে প্রথম স্থানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সর্বোচ্চ তথ্য সরবরাহে উপর পুরস্কার লাভ করেছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল এর সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপম মজুমদার।

 

 

তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি এ পুরস্কার তুলেদেন বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল অমিতাভ সরকার, জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম, অজিয়র রহমান এবং সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপম মজুমদার এর হাতে। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান তথ্য কমিশনার তথ্য কমিশন মরতুজা আহমদ।

 

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান এমপি, সচিব তথ্য মন্ত্রণালয় কামরুন নাহার, মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান পরিচালনা বোর্ড বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও

 

সাবেক উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য কমিশনার তথ্য কমিশন ডক্টর আবদুল মালেক, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনডিসি তথ্য কমিশনার তথ্য কমিশন সুরাইয়া বেগম,

 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সচিব তথ্য কমিশন সুদত্ত চাকমা।

নিরাপদ গর্ভপাত অধিকারের দাবী সহ “চাহিদা অনুযায়ী নিরাপদ মাসিক নিয়মিতকরণ নারীর অধিকার” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে  বরিশালে ২৮ই সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক নিরাপদ মাসিক নিয়মিতকরণ উদ্যাপন ২০২০ উপলক্ষে এক বরিশাল সদর উপজেলা নারীদল সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সভা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

আজ সোমবার (২৮ই) সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় বরিশাল মহিলা কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে নগরীর বটতলা রোডস্থ আভাস  ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

বরিশাল মহিলা কল্যান সংস্থার পরিচালক কাওসার পারভীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে মহিলাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নগরের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডাঃ. রাজিয়া বেগম।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন নারী নেত্রী হাসিনা বেগম নিলা ও বিভিন্ন নারীদলের সদস্যরা। এসময় প্রধান অতিথি ডাঃ রাজিয়া বেগম বলেন, ১৮ বছরের আগে বিয়ে নয় ২০ বছরের আগে কোন সন্তান নয় এই সরকারী শ্লোগানকে সামনে রেখে জানান যেকোন দম্পত্তি তারা যেন কোন ভুল করে তাদের প্রথম সন্তান আসলে তা যেন নষ্ট না করেন। অন্যদিকে এমআর করার কারনে সেইসব মহিলাদের এক সময় এসে কোমড় ব্যাথার সমস্য দেখা দিবে।

তাই এম আর না করিয়ে সঠিক নিয়মে ঔষদ সেবন করার জন্য মহিলাদের প্রতি আহবান করেন। অপরদিকে বরিশাল মহিলা কল্যান সংস্থা থেকে জানান, মহিলারা যেন মাসিক সমস্যা নিয়ে যেসকল মহিলা সমস্যার ভিতরে পড়েন তারা যেন যথাসময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তাদের মেনে চলার জন্য আহবান করেন।

এবছর মহিলা কল্যান সংস্থার পক্ষ থেকে বরিশাল সদর উপজেলা সহ বিভাগের বরগুনা-তালতলী উপজেলায় এই কার্যক্রমের আয়োজন করেছে।

আলোচনা সভা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ঔষদ প্রতিনিধি সহ সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ২৫জন মহিলাদল সদস্য অংশ গ্রহন করেন।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন মহিলা কল্যান সংস্থার সদস্য তানিয়া আক্তার।

বাংলাদেশ পুলিশের অধঃস্তন অফিসারদের ২০২০ সালের বিভাগীয় পদন্নোতি পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে গ্রহণ, কেন্দ্রীয়মেধা তালিকা প্রণয়ন, কেন্দ্রীয়ভাবে পদোন্নতি সংক্রান্ত পরীক্ষা পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় পদন্নোতি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে ব্রিফিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

উক্ত ভিডিও কনফারেন্স উপলক্ষে বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম-বার সহ বিএমপি’র শীর্ষ কর্মকর্তাগণ ও বিভাগীয় পদন্নোতি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীবৃন্দ বিএম কলেজ অডিটোরিয়াম বরিশালে উপস্থিত ছিলেন।

 

 

ভিডিও কনফারেন্স-এ পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে বিশেষ ব্রিফিংএ আইজিপি মহোদয় বলেন, শতবছরের নিয়ম ভেঙে, বহু পরিবর্তনের পরে আমরা আরও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে যোগ্য পুলিশ অফিসার নির্বাচন পদ্ধতি হাতে নিয়েছি, এমসি কিউর মাধ্যমে মেধা যাচাই-বাছাই শেষে চুড়ান্ত লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সেন্ট্রাল মেধাতালিকায় যাঁরা শীর্ষে থাকবে, তাদেরকে বিভিন্ন ইউনিটে শূন্য পদে পোস্টিং দেয়া হবে। সুতরাং মেধাবীদের জন্য এ এক বিশাল সুযোগ,পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা আর থাকছে না।

 

বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম-বার বলেন, মুক্তিযুদ্ধ থেকেই আমরা পরীক্ষিত সৈনিক।মেধার ভিত্তিতে, এই বিশুদ্ধ পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে এএসআই, এসআই পর্যায়ক্রমে
পদোন্নতি লাভে অগ্রহণযোগ্য বাঁধা ছিন্ন করে আরও গ্রহণযোগ্য, আস্থাশীল বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী হিসেবে দক্ষতার সাথে নির্ভেজাল সেবা নিশ্চিত করে তোমাদের নেতৃত্বে যেন, বিশ্বের দরবারে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ উপহার দিতে পারি।

 

 

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার বৈধ উপায়ে আমাদের পরিবার নিয়ে সম্মানের সাথে বাঁচতে পারি, ভালো থাকতে পারি, সেই মর্মে যাবতীয় কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। সেই বিবেচনায়,যথাযথ পেশাদারীত্বের সাথে
কর্তব্য পালন করতে হবে।

 

 

 

ভিডিও কনফারেন্স শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে এক বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। উক্ত মোনাজাতে তার দীর্ঘায়ু সুস্বাস্থ্য সহ দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

 

 

এ-সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রলয় চিসিম, উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার নগর বিশেষ শাখা মোঃ জাহাঙ্গীর মল্লিক, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর মোঃ খাইরুল আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার সাপ্লাই এন্ড লজিস্টিকস খান মুহাম্মদ আবু নাসের, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সদরদপ্তর এন্ড পিএমটি রুনা লায়লা, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ক্রাইম অপারেশন এন্ড প্রসিকিউসন মোঃ আকরামুল হাসান,

 

অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ মোঃ জাকারিয়া রহমান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফোর্স মোঃ আব্বাসউদ্দীন সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

বরিশালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি আবেগঘন ম্যুরালের উদ্ধোধন করা হয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ফলক উম্মোচন এবং ব্যাপক আতশবাঁজী উৎসবের মধ্য দিয়ে ম্যুরালটির উদ্বোধন করেন বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।

 

 

চারুকলার অভিজ্ঞ শিল্পিদের নকশা ও বিদেশী দামী টাইলসের নিপুন কারুকাজে নগরীর দক্ষিন সদর রোডের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামের দক্ষিন দেয়ালে ম্যুরালটি নির্মান করে বরিশাল সিটি করপোরেশন।

 

৫০ ফুট উচু এবং ৪০ ফুট প্রস্থের ম্যুরালের পেছনে জাতীয় পতাকা ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে। উদ্বোধন হওয়া ম্যুরালটি দেশের সর্ববৃহৎ বলে দাবী সিটি করপোরেশনের।

 

উদ্বোধনের সময় মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস সহ সরকারী বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, দলীয় নেতাকর্মী সহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

এর আগে বিকেলে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার পাদদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করে সিটি করপোরেশন।

 

 

নগরীর জামে এবাদুল্লাহ মসজিদের খতিব মাওলানা নূরুর রহমান বেগম পরিচালিত মোনাজাতে সিটি মেয়রসহ অন্যান্যরা অংশগ্রহন করেন। মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রীর সু-স্বাস্থ্য ও দির্ঘায়ু এবং দেশ ও জাতীর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করা হয়।

 

আলোচনা অনুষ্ঠান পরবর্তী সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অন্যান্য অতিথিদের সাথে নিয়ে বিসিসি’র পাতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে ম্যুরালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

 

উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথি সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক কল্যান কামনা করে বরিশালের জনগনের উদ্দেশ্যে বলেন “আপনাদের স্বপ্ন দেখতে হবে; বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো আমি আপনাদের সিটি মেয়র। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন আপনাদের সম্পত্তি।

 

 

আপনাদের জন্য সৃষ্টি হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের। আপনাদের প্রতিনিধি আমি শেষ দিন পর্যন্ত চেষ্টা করবো। মেয়র হিসেবে আমার সময় ৫ বছর। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে”। বর্তমানে বরিশালে সৃষ্ট নানা ধরনের সমস্যা কথা উল্লেখ করে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ আরো বলেন “বর্তমানে বরিশাল নগরীতে জোয়ারের পানি ওঠে।

 

 

সমস্যা তৈরি হয়। আর এর দায়ভার মেয়রকেই নিতে হবে। কারন তিনি আপনাদের প্রতিনিধি। কিন্তু কেন এই জোয়ারের পানি ওঠে তা কি আপনারা কখনো চিন্তা করে দেখেছেন? আপনারা না করলেও মেয়র হিসেবে এই সমস্যার গোড়া উন্মোচন করেছি আমি।

 

 

বন্ধ করেছি এই সমস্যা সৃষ্টির প্রধান কারন শহরের মধ্যে ড্রেজিং করে জলাশয় ভরাট করন। এছাড়াও নগরীর প্রতিটি ড্রেন ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়েও জলাবদ্ধতা তৈরি করেছে।

 

 

প্রতিটি ড্রেন খুজে খুজে পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশা করি এই সমস্যা আর সামনে থাকবে না। আপনারা এখন না বুঝলেও আগামী ১০ বছর পর বুঝবেন আমি মূলত কি করেছি আপনাদের জন্য।

 

 

আমি আপনাদের সেবক। আপনাদের জন্য করাই আমাদের কাজ। বর্তমানে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন বিগত দিনের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী।

 

 

দূর্নীতি কমানো চেষ্টা করার মাধ্যমে আমি সিটি কর্পোরেশনের মেরুদন্ড শক্ত করেছি। আমি নাছোরবান্দা লোক। এত সহজে হার মানার লোক আমি নই। আমার শহরের রাস্তাঘাট ভাঙা থাকবে না।

 

 

লিপস্টিক মার্কা উন্নয়ন কাজ প্রতিনিয়ত করবো না আমি। আমি চাই টেকশই উন্নয়ন। তাইতো ৫বছরের গ্যারান্টি সহকারে সড়ক তৈরি করেছি। সিটি কর্পোরেশনের অধিকাংশ কাজ হচ্ছে কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে। এ সকল কাজের জন্য এখন পর্যন্ত কোন বরাদ্ধ আমার কাছে আসেনি।

 

 

আমি আপনাদের মতো কাজ করে যাবো। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন আমার অর্থের প্রয়োজন নেই। শুধু মাত্র আমার শহরের উন্নয়ন কাজগুলো বাস্তবায়িত হলেই যথেষ্ট।

 

 

” দূর্নীতির বিষয়ে সোচ্চার কণ্ঠে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমি আমার নিজের ঘরের লোককেও ছাড় দেইনি। আমি দূর্নীতি করি না।

 

 

দূর্নীতিকেও প্রশ্রয় দেইনা। আপনারা যদি কখনো আমার দূর্নীতি দেখেন আমাকেও ছাড় দেবেন না। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে মান সম্মত জনবল এর ব্যবহার করে খুব শীঘ্রই নগরীর সকল সমস্যা সমাধান করা হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য একটি উন্নত শহর তৈরি করে যাবো।

 

 

বরিশালের সন্তানেরা একদিন বরিশালেই কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। আমি আপনাদের প্রতিনিধি। আপনারা আমাকেই বলবেন অপনাদের কী প্রয়োজন।

 

 

আমি জীবন থেকে শিখেছি তাই আপনাদের জন্য বাস্তবসম্মত সেবা আমি দিতে পারবো। আমাকে শুধু আপনারা সহায়তা করে যাবেন। আপনাদের সহায়তা পেলে সবকিছুই সম্ভব আমার পক্ষে।

 

 

কারন জনগনতো বেশি কিছু চায় না।” বরিশালের শুরু হওয়া কিছু অসম্পূর্ন কাজের কথা উল্লেখ্য করে সিটি মেয়র বলেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের আগামী ১৬ই ডিসেম্বরের মধ্যে সকল অসম্পূর্ন কাজ সম্পূর্ন করার নির্দেশনা দিয়েছি।

 

 

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করতে না পারলে আমি এ্যাকশনে যাবো। সিটি কর্পোরেশনের মেরুদন্ড এখন শক্ত। আর মেয়র হিসেবে আমি কিছু চাইনা। আমি আপনাদেরই প্রতিনিধি।

 

 

শেষ নিদ্রায় এই শহরে সায়িত হওয়ার স্বপ্ন আমার। তাই ভরসা রাখুন আমার উপরে। আমি কাপুরুষ না। আমি আপনাদের পাশেই থাকবো। কখনো পালিয়ে যাবো না।

 

 

উন্নয়ন এর ধারা অব্যাহত রাখবো এবং আপনারাই আমাকে পুনরায় আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেবেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়াম, অথচ ভবনটির কোথাও বঙ্গবন্ধুর কোন নামফলক ছিলো না।

 

 

তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর উদ্যোগ নিয়ে বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে দেশের সর্ববৃহত বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নির্মান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর আবেগঘন ম্যুরালটির উদ্বোধন করেছেন।

 

 

ম্যুরালটি বরিশালের একটি ঐতিহাসিক এবং দর্শনীয় স্থানে পরিনত হবে আশা সিটি মেয়রের। তিনি আরো বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা বাচঁলে বাংলাদেশ বাচঁবে।

 

 

বরিশালে যে ম্যুরালটি আমরা উদ্বোধন করেছি, আমার জানা মতে এটি দেশের ইতিহাসে সর্বোবৃহৎ ম্যুরাল। একজন পিতা এবং কন্যার মধ্যে যে স্নেহ-ভালোবাসা রয়েছে তা এই ম্যুরালটির মধ্যে ফুটে উঠেছে। পরিশেষে তিনি প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘায়ু ও সু-স্বাস্থ্য কামনা করেন।

 

উদ্বোধনের সাথে সাথে শহীদ মিনারের আকাশ নানান রংয়ের আতশবাজির ঝলকানিতে আলোকিত হয়ে ওঠে। সেই সাথে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নাম সম্বলিত স্লোগানে মুখোর হয় শহীদ মিনার এলাকা।

 

 

আগামী ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামটি ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা বলেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার অফুরন্ত প্রেরণা এবং সাহসের বর্ণিল ঠিকানা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জেগে আছেন বলেই নিশ্চিন্তে ঘুমায় বাংলাদেশ।’

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া ও মোনাজাত-পূর্ব বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ আমাদের জাতীয় জীবনের এক স্মরণীয় দিন। ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আমাদের আস্থার সোনালি দিগন্ত, প্রেরণার দীপ্যমান শিখা, আমাদের স্বপ্নময় অর্জনের কাণ্ডারি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।’

তিনি বলেন, ‘শৈশব থেকে আজ অবধি সুদীর্ঘ পথপরিক্রমা কখনওই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। কণ্টকাকীর্ণ পথ পেরিয়ে পৌঁছেছেন আজকের অবস্থানে। দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অতন্দ্রপ্রহরী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ৭৩তম জন্মবার্ষিকীতে আপনাকে জানাই এ দেশের গণমানুষের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা। মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি- আপনার সাফল্য, সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘজীবন।’

শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পিতার পাঠশালায় রাজনীতির পাঠ নেয়া কন্যা ইডেন কলেজের নির্বাচিত ভিপি হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রবেশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে ধারাবাহিক পথপরিক্রমায় আজ হয়ে উঠেছেন পিতার ছায়া, আদর্শিক উত্তরাধিকার। এ দেশের কোটি মানুষের হুদয়ের স্পন্দন। মমতার আধার। এ অর্জিত আস্থার গহীনে নেই কোনো ম্যাজিক। সূত্রাবলি আর উৎসবলি- এ অর্জনের পেছনের রহস্য তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা।’

তিনি বলেন, ‘তিনি ভালোবাসেন দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি। তিনি অসহায়, দরিদ্র মানুষের ভালোবাসার ঠিকানা। উদার আকাশের মতো বিস্তৃত যার হৃদয়। তার শক্তি হলো- সততা, পরিশ্রম, মানবিকতা আর পিতার মতো দেশের মানুষের প্রতি অপার ভালোবাসা। তাই তো তিনি আজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বনেতাদের কাতারে, মর্যাদার আসনে। বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় তার দক্ষতা এবং দূরদর্শিতার প্রশংসা করে যাচ্ছে বিশ্ব সম্প্রদায়।’

কাদের বলেন, ‘সীমান্ত খুলে দিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিক নেতৃত্বের এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন তিনি। স্বীকৃতি পেয়েছেন ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’র। তার উদাহরণ তিনি নিজেই। এ দেশে তার জনপ্রিয়তা এখন সবার শীর্ষে। তিনি দলের চেয়েও অধিক জনপ্রিয়।’

তিনি বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী সময়ে এ দেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে সফল ডিপ্লোম্যাটের (কূটনীতিক) নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৫ বছরে এ দেশের সবচেয়ে সৎ এবং সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক ও দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা। তিনি আছেন বলেই দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে। তিনি আছেন বলেই বিনিময় হয়েছে যুগ যুগ ধরে ঝুলে থাকা ছিটমহল। তার হাত ধরেই বিক্ষুব্ধ পার্বত্যাঞ্চলে বইছে শান্তির সুবাতাস। তিনি আছেন বলেই আমরা জয় করেছি আরেক বাংলাদেশের সমান সুনীল সমুদ্রসীমা, দ্বার খুলেছেন সম্ভাবনাময় ‘ব্লু ইকোনমি’র। তিনি আছেন বলেই আমাদের স্বপ্নের ডানা আকাশ ছাড়িয়ে মহাকাশে পৌঁছেছে, আমরা প্রবেশ করেছি স্যাটেলাইট যুগে।’

‘তিনি আছেন বলেই পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর ক্লাবে নতুন সংযোজন বাংলাদেশ। তার সাহসী এবং দক্ষ নেতৃত্বে তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে বাংলাদেশ আজ নোঙর করেছে উন্নয়নশীল দেশের গর্বিত বন্দরে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের সোনালি ফসল নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু। এ সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রতীক। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে মহাসাগরের জলপ্রাচীর ভেদি সাবমেরিন যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। তিনি জেগে আছেন বলেই নিশ্চিন্তে ঘুমায় বাংলাদেশ।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা এক আজন্ম উন্নয়ন-যোদ্ধার অপর নাম। হতাশ ও অসহায় প্রাণে যিনি সঞ্চার করেন জীবনের জয়গান। তিনি আমাদের সাহসের সোনালি দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছেন, বাড়িয়ে দিয়েছেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। তাই তো আজ বিশ্বসভায় নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে মুজিবের সেই দুঃখী বাংলা। বাংলাদেশ আজ বিশ্বমানচিত্রে অর্জনের সোনালি দিগন্ত পানে অদম্য গতিতে ছুটে চলা এক ধাবমান অশ্ব।’

‘শেখ হাসিনার প্রতিটি কর্ম, সিদ্ধান্ত এবং চর্চা আমাদের নেতাকর্মীদের জন্য অনুসরণীয় বার্তা’ বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘এ দেশের কোটি কোটি মানুষ এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অগণিত নেতাকর্মী এ দিনে আপনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছে। আপনিই এ দেশের এগিয়ে যাওয়ার অফুরন্ত প্রেরণা এবং সাহসের বর্ণিল ঠিকানা।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মতিন খসরু, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মাহবুব-উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আহমেদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আবদুস সোবহান গোলাপ, নজিবুল্লা হীরু, আব্দুস সবুর, বিপ্লব বড়ুয়া ও সায়েম খান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বে অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে বদলে গেছে, শেখ হাসিনার কারণে আজ এই বদলে যাওয়া। কোনো জাদুর কাঠিতে নয় বরং শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বের কারণে হয়েছে। শেখ হাসিনার কারণে আজ বাংলাদেশ গর্বিত।’

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘পিতা থেকে কন্যা : স্বাধীনতা থেকে অর্থনৈতিক মুক্তি’ ও ‘নন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনা গর্বিত বাংলাদেশ’ বই দুটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় ‘নন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনা গর্বিত বাংলাদেশ’ বইয়ের সম্পাদক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, প্রকাশক জয়ীতা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ইয়াসিন কবীর জয়, প্রচ্ছদশিল্পী শাহরিয়ার খান এবং ‘নন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনা গর্বিত বাংলাদেশ’ বইয়ের সম্পাদক কবি আসলাম সানী, প্রকাশক আ ন ম মিজানুর রহমান পাটোয়ারী, কবি লুৎফর চৌধুরী, সেলিনা সেলিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলছি। আমরা ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত দেশ রচনা করব। ইতোমধ্যে ক্ষুধাকে আমরা জয় করেছি। বাংলাদেশ এখন খাদ্যের উদ্বৃত্তের দেশ। আমরা দারিদ্র্যকেও জয় করার পথে। দারিদ্র্য কমে ৪১ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মানব উন্নয়নসহ সব সূচকে পাকিস্তান থেকে অনেক এগিয়ে। পাকিস্তান এখন বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আক্ষেপ করে। এখানেই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সার্থকতা। ভারতও স্বীকার করে মানব উন্নয়নসহ সামাজিক সূচকে ভারতকেও পেছনে ফেলেছি।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত করেছেন। হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে স্লোগান শিখিয়েছিলেন, বীর বাঙালি অস্ত্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর। তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা- স্লোগানে উজ্জীবিত করে। যে জাতি হাজার হাজার বছরে ধরে শাসিত হয়েছে, নিজে নিজেদের শাসন করার অধিকার পায়নি। সেই জাতিকে তিনি স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ও এক সাগর রক্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে হাজার হাজার বছর যে জাতি পরাধীন ছিল সে জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্ব সভায় মর্যাদার আসনে আসীন হয়েছে। আগে আমরা বিশ্ব সংবাদ হতাম যখন লঞ্চডুবি, ট্রেন দুর্ঘটনা, সড়ক দুর্ঘটনা হতো। এখন বিশ্ব সংবাদ হই- বাংলাদেশের মেয়েরা ভারতকে ফুটবলে হারায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আফ্রিকায় গিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীদের আহ্বান জানায় যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেখে শেখো এবং জাতিসংঘের সভাপতি যখন বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় দেশকে পুনর্গঠন করেছিলেন। স্বপ্ন দেখেছিলেন, বাংলাদেশ ও জাতিকে অর্থনৈতিক মুক্তি দেয়ার। বাংলাদেশকে তিনি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সাড়ে তিন বছরের মাথায় তাকে হত্যার কারণে বঙ্গবন্ধু সে স্বপ্নপূরণ করে যেতে পারেনি। আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে এগিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে অর্থনৈতিক মুক্তির পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। সে কারণে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।’

খবর বিজ্ঞপ্তি ॥

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪ তম শুভ জন্মদিনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি বরিশাল আঞ্চলিক শাখা ও বরিশাল জেলা শাখার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি বরিশাল আঞ্চলিক শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ ফরিদুল আলম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি মোঃ সফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল আলম আসাদসহ অন্যান্য শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।