২০ বছরেরও বেশি সময়ের গভীর সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেললেন লিওনেল মেসি। বার্সেলোনাকে জানিয়ে দিলেন, এই ক্লাবে আর থাকবেন না। দ্রুত চুক্তি বাতিল করে নতুন ঠিকানা খুঁজতে চান আর্জেন্টাইন জাদুকর।

বার্সার সঙ্গে মেসির বর্তমান চুক্তি আছে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। ওই চুক্তি নবায়ন তো পরের কথা, শেষ করেও যেতে রাজি নন মেসি।

স্পেনের কয়েকটি প্রথম সারির গণমাধ্যম এবং নামকরা সাংবাদিক নিশ্চিত করেছেন এই তথ্য। এরপর সংবাদ সংস্থা এপি’কে বার্সেলোনার পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে, মেসি মেইলে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

সাংবাদিক আলফ্রেডো মার্টিনেজ টুইট করেছেন, ‘আজ বার্সেলোনা ভক্তদের অতীব দুঃখের দিন। লিও মেসি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর বার্সোলোনায় থাকতে চান না। ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দিলেন।’

তিনি আরেক টুইটে লিখেন, ‘এই সপ্তাহান্তে মেসি আর টেস্ট বা ট্রেনিংয়ে অংশ নেবেন না। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।’

মাদ্রিদভিত্তিক স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক ‘মার্কা’ লিখেছে, ‘লিও মেসি ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা ছাড়তে চান। বিস্ময় ছাড়া এই বাক্যটা লিখাও কঠিন।’

মেসির সাবেক সতীর্থ কার্লোস পুয়োল টুইটে লিখেছেন, ‘লিও, তোমার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান। সব সময়ই সমর্থন থাকবে, বন্ধু!’ পুয়োলের টুইটের রিপ্লাইয়ে হাততালির ইমোজি দিয়েছেন লুইস সুয়ারেজ, যাকে আজই ফোন করে বার্সা থেকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যান।

মেসির এমন সিদ্ধান্তের পর জরুরী মিটিংয়ে বসতে যাচ্ছেন বার্সার উর্ধ্বতন কর্তারা। সেখানেই আর্জেন্টাইন তারকার চুক্তি এবং আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের জুলাইয়ে মাত্র ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি হয় মেসির। সেই থেকে ক্লাবের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েই ছিলেন। অনেকবার অনেক গুঞ্জন উঠলেও কখনও বার্সা ছাড়ার মত পরিস্থিতি হয়নি। এবার যেটা হলো!

সেনা বিদ্রোহের মুখে পড়ে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম বৌবাকার কেইতা ও প্রধানমন্ত্রী বোবো সিসে পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বিদ্রোহী সেনা সদস্যদের হাতে তারা আটক হন।

আটকের পর তাদেরকে সামরিক ক্যাম্পে রাখা হয়। বুধবার ( ১৯ আগস্ট) তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। বুধবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সকালে দেশটির রাজধানী বামাকো থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের একটি প্রধান সামরিক ঘাঁটিতে গুলি ছোড়ার মধ্য দিয়ে এ অভ্যুত্থানের শুরু হয়। সারাদিন বিক্ষিপ্তভাবে দেশটির রাজধানীতে বিদ্রোহী সেনারা সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেন। রাতের দিকে সামরিক বাহিনীর জুনিয়র কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের আটক করেন।

২০১৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম বৌবাকার কেইতার পদত্যাগ দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই মালিতে বিক্ষোভ চলছিল। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার ক্ষমতাকালে মালিতে জাতিগত সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে এবং দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। সেই কারণে সরকার পতনের আন্দোলনে নেমেছে দেশটির জনগণ।

গত ১২ জুলাই মালিতে কয়েক মাস ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতা থামাতে সাংবিধানিক আদালত ভেঙে দেন দেশটির রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম বৌবাকার কেইতা।

এদিকে বুধবার দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়ে করণীয় নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠকে হতে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়া কয়েকজন আফগান নারীর একজন ফাওজিয়া কুফি বন্দুকধারীর গুলিতে আহত হয়েছেন। শুক্রবার আফগান এই নারীর ওপর হামলাকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জালমে খলিলজাদ ‘কাপুরুষোচিত এবং অপরাধমূলক’ মন্তব্য করে বলেছেন, আফগান শান্তি প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করতে এই হামলা চালানো হয়েছে।

 

 

শুক্রবারের ওই হামলায় ফাওজিয়া কুফি গুরুতর আহত না হওয়ায় স্বস্তিও প্রকাশ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় পারওয়ান প্রদেশে একটি বৈঠক শেষ করে বোনের সঙ্গে ফেরার সময় আক্রান্ত হন। গুরুতর আহত না হলেও তার ডান হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

 

 

তবে এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে তালেবান। তালেবানের সঙ্গে দেশটির সরকারের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে এই হামলা হলো।

 

 

এর আগে, সশস্ত্র এই গোষ্ঠী আফগান সরকারের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর পর প্রায় দুই দশকের সংঘাতের অবসানের লক্ষ্যে শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে রাজি হয় তালেবান।

 

 

চুক্তির অংশ হিসেবে, আফগান সরকার প্রায় ৫ হাজার তালেবান বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। বৃহস্পতিবারও ৪০০ সশস্ত্র বন্দিকে মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। শেষ ধাপের বন্দিদের ছেড়ে দেয়ার পর কাতারে তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

 

 

কিন্তু তালেবানের কট্টর সমালোচক ফাওজিয়া কুফির ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। রাজধানী কাবুলের কাছে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। এই হামলার ঘটনা শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

 

 

আফগানিস্তানের ইন্ডিপেনডেন্ট হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রধান শাহারজাদ আকবর বলেন, সুনির্দিষ্ট হামলার উদ্বেগজনক এই ধরন শান্তি প্রক্রিয়ার আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

সূত্র: বিবিসি।

ভারতের আসাম রাজ্যে বন্যাদুর্গতদের সাহায্যার্থে এক কোটি রুপি অনুদান দিয়েছেন বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার।

 

মহানুভবতার জন্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল অভিনেতাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। ইন্ডিয়া টিভির অনলাইন সংস্করণের খবরে বলা হয়েছে, অক্ষয় কুমারের অনুদানের খবর টুইটারে জানিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। ত্রাণ তহবিলে এক কোটি রুপি অনুদান দেওয়ায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।

 

সর্বানন্দ আরো লেখেন, সংকটকালে সর্বদা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন অভিনেতা। অক্ষয়কে আসামের সত্যিকারের বন্ধু বলেও আখ্যা দেন মুখ্যমন্ত্রী। আসামে দুই মাস ধরে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে।

প্রতিনিয়ত ভাঙনের বিপরীতে ঢালিউডে সুখী দম্পতির নাম মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা। যাদের একজন বিখ্যাত পরিচালক, অন্যজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

ঢালিউডের এই জুটি প্রেম করে ২০১০ সালের ১৬ জুলাই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আজ তাদের বিয়ের দশ বছর পূর্তি হলো। বিয়ে বার্ষিকীর এদিনে ভক্ত-অনুরাগীদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন এ দম্পতি।

বিয়ের এই দিনটিকে ঘিরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফারুকী। নিজের বিয়ে নিয়ে বেশ কিছু আবেগ মেশানো মজার তথ্য শেয়ার করেছেন ‘ডুব’ খ্যাত এই নির্মাতা। ফারুকী লিখেছেন, ‘দশ বছরে অনেককিছু বদলে গেছে। আমার দাড়ি ধুসর হয়েছে, লিভারপুল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, করোনাভাইরাস এসেছে। অনেককিছু বদলেছে। কিন্ত আমাদের ভালোবাসাটা আগের মতোই রয়েছে।’

ফারুকীর সেই স্ট্যাটাসের মন্তব্যের বাক্স শুভেচ্ছাবার্তায় ভেসে গেছে। ফারুকী অনেকের শুভেচ্ছাবার্তার জবাবও দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘পারাপার’ টেলিফিল্মে কাজ করতে গিয়ে তিশার সঙ্গে চেনাজানা শুরু। ‘সিক্সটি নাইন’ নাটক করতে গিয়ে ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। দীর্ঘদিনের সে প্রেম ২০১০ সালে পরিণতি পায় বিয়েতে।

অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদের পরিচালক পরিচয়টি সবারই জানা। তিনি সিনেমা নির্মাণেও প্রশংসিত হয়েছেন। এবার তানিয়াকে পাওয়া গেল গল্পকার হিসেবে। তার গল্পে নির্মিত হলো টেলিফিল্ম ‘পরী’।

এ নাটকে জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী নিজেও অভিনয় করেছেন। তার সঙ্গে আরও রয়েছেন গোলাম কিবরিয়া তানভীর এবং লাক্সতারকা মিম মানতাসা।

গল্পে দেখা যায়, তানিয়া আহমেদ মানসিক রোগী। সম্পর্কে মানতাসার ফুফু। সবসময় তানিয়া আহমেদ তাকে আগলে রাখেন। রোরখার আড়ালে রাখেন। সাজগোজ করতে দেন না। এমনকি কলেজের কোনো বন্ধুদের সঙ্গেও মিশতে দেন না।

ফুফুর এতো কড়াকড়ির শাসনের মধ্যেও মানতাসা প্রেম করেন তানভীরের সঙ্গে। একদিকে যেমন মানতাসার ওপর তানিয়া আহমেদের শাসন বাড়তে থাকে, অন্যদিকে তানভীরের সঙ্গে মানতাসার প্রেমও জমতে থাকে। এর পরের গল্পটা অন্যরকম।

পরী প্রসঙ্গে তানিয়া আহমেদ বলেন, ‘এ গল্পটি আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে জানা। তার পরিচিত একজন নারী ও ভাতিজির মধ্যে এমন শাসন ও মানসিক চাপে রাখার বিষয় দেখেছে। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই গল্প সাজানো হয়েছে।’

দয়াল সাহার রচনায় এবং শেখ রুনার পরিচালনায় ‘পরী’ নির্মিত হয়েছে ১৯৫২ এন্টারটেনমেন্টের ব্যানারে। নির্মাতা সংস্থা জানায়, টেলিফিল্মটি ২৮ জুন (শুক্রবার) দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে চ্যানেল আইয়ের পর্দায় প্রচার হবে।

অমর একুশে বইমেলার ষষ্ঠ দিন আজ। প্রতিদিনই নতুন নতুন বই আসছে, সেসব বইয়ের মোড়ক উম্মোচন হচ্ছে। শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় অন্যান্য দিনের চেয়ে বইপ্রেমীদের ভিড় বেড়েছে। ফলে বই বিক্রিও হয়েছে বেশ। আজ মেলায় দেখা গেল ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিমকে। তার কাব্য প্রেমের কথা সবার জানা।

 

প্রতিবারই মেলায় অনেক তারকাদের লেখা বইও প্রকাশ হয়। এবার কী তাহলে মোশাররফ করিমের বই প্রকাশ পেয়েছে। না, নিজের বইয়ের জন্য নয়। প্রতি বছরই বইমেলাতে ঘুরতে আসেন মোশাররফ করিম। তবে আজ তার মেলায় আসার উদ্দেশ আলাদা।

জানা গেল, একটি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করতে এসেছেন তিনি। মেলায় এসেছে ছোট পর্দার এই সময়ের আলোচিত নির্মাতা সাজিন আহমেদ বাবুর প্রথম উপন্যাসের বই ‘যে মনে কারফিউ’। বইটি প্রকাশ করেছে তাম্রলিপি প্রকাশনী। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই বইটির মোড়ক উম্মোচন করেন মোশাররফ করিম। তার স‌ঙ্গে উপ‌স্থিত ছি‌লেন স্ত্রী জুঁই ক‌রিমও।

 

মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে মোশাররফ করিম বলেন, ‘বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। অনেক ভালো লাগছে মেলায় এসে। আজ সাজিনের প্রথম উপন্যাস প্রকাশ হলো। সে দারুণভাবে নাটকের গল্প বলতে পারে। আমার বিশ্বাস উপন্যাসটিও দারুণ লিখেছে।’

বই‌য়ের মোড়ক উ‌ম্মোচ‌নের সময় নি‌জের জন্য এক ক‌পি বইও কেনেন মোশাররফ ক‌রিম। ম‌ঞ্চেই বইটি‌র মূল্য তু‌লে দেন লেখ‌কের হা‌তে।

 

‌ লেখ‌কের প্রথম বই‌টির জন্য শুভকামনা জানান জ‌ুঁইও।

 

বইটি নিয়ে সাজিন আহমেদ বাবু বলেন, ‘জীবনে কখনো কখনো মনে জরুরি অবস্থা জারি হয়। একটা পুরোনো জমিদার বাড়িতে তিনটি পরিবারের বসবাস। তারা রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ সবাই। ‘জন্মিলে মরিতে হয়’ তার কোনো বিকল্প নাই। তবুও আর কয়টা দিন বেঁচে থাকা, আরেকটু ভালোভাবে বেঁচে থাকার সাধ কখনো কখনো মানুষকে ভয়ংকর স্বার্থপর ও লোভী করে তুলে। তাতে যদিও জীবনের আয়ু এক মুহূর্ত বাড়ে না, বাড়ানো যায় না। নিজের রক্তকেই তখন ভীষণ অচেনা মনে হয়। মনে হয় না এ আমার রক্ত। একই রক্তের এত রূপও হয়! অবাক হতে হয়, বেঁচে থেকেও মৃত্যুর যন্ত্রণা নিয়ে জীবনযাপন করতে হয় এই সমাজেই। তখন প্রতিটি মনে কেবল কারফিউ’ই জারি হয়।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু অনুভূতির ভাষা হয় না। আমি অনুভূতির প্রপার ভাষা খুঁজে পায়নি। আমি আমার লেখালেখির জীবনে খুব কম সময়েই সৃষ্টি সুখের উল্লাস অনুভব করতে পেরেছি। কিন্তু এই উপন্যাসটা লিখতে গিয়েই প্রতি ধাপে ধাপেই আমি সৃষ্টির এক দারুণ অনুভুতি অনুভব করেছি। মেলা শুরু হওয়ার প্রতিটা দিন অপেক্ষায় কাটিয়েছি বইটা কখন আসবে। কখন নতুন বইয়ের গন্ধটা আমি নেব। এই অনুভূতি আমার কাছে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অনুভূতি।’

নতুন চলচ্চিত্র ‘বিক্ষোভ’ ছবির শুট করতে গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসার কথা ছিল কলকাতার নায়িকা শ্রাবন্তীর।

তবে মামাশ্বশুর মারা যাওয়ায় আসতে পারেননি তিনি।

জানা গেছে, আগামী শনিবার শ্রাবন্তী ঢাকায় আসবেন।

১৯ তারিখ বিএফডিসিতে ছবির শুটিংয়ে অংশ নেবেন শ্রাবন্তী।

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান স্টোরি স্প্ল্যাশ মিডিয়ার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ বাদল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

‘বিক্ষোভ’ ছবিটি নির্মাণ করছেন শামীম আহমেদ রনি।

ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন নবাগত শান্ত খান।

তার সঙ্গে অভিনয় করছেন কলকাতার নায়িকা শ্রাবন্তী।

জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত ছবিটির জন্য মুম্বাইয়ে সানি লিওনির আইটেম গানের দৃশ্য ধারণ করা হয়।

একই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশের গাজীপুরে ‘বিক্ষোভ’ ছবির শুটিং করেন শ্রাবন্তী।

ছবির শেষ পর্যায়ের শুট করতেই ঢাকায় আসা হচ্ছে তার।

শ্রাবন্তী-শান্ত ছাড়াও ছবিতে অভিনয় করছেন বলিউডের রাহুল দেব।

এই ছবির মাধ্যমে প্রথমবার বাংলাদেশের ছবিতে পারফর্ম করছেন বলিউড তারকা সানি লিওনি। তিনি যে গানে পারফর্ম করছেন, সেটি গেয়েছেন কোনাল।

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের সোনালী দিনের প্রথম সারির নায়িকা শাবানা। সুনিপুণ অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি জয় করে নিয়েছেন কোটি দর্শকের মন। চার দশক ধরে অত্যন্ত প্রতাপের সঙ্গে অভিনয় করেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী। সমাজ ও পারিবারিক জীবনের বহু সমস্যা ও টানাপড়েনের চিত্র তিনি তার অভিনয়ের মাধ্যমে তুল ধরেছেন। দর্শকদের কাঁদিয়েছেন, শিখিয়েছেন। পেয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক ১০ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

১৯৯৭ সালে শাবানা অজানা কারণে হঠাৎ বিদায় নেন চলচ্চিত্র থেকে। ২০০০ সাল থেকে তিনি সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে বসবাস করছেন। পারিবারিক কিছু কাজে শাবানা সম্প্রতি দেশে এসেছেন। তিন সপ্তাহ থেকে আবার ফিরে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রে। এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে এসেছিলেন শাবানা।

তবে কি কারণে হঠাৎ অভিনয় ছেড়েছিলেন লাখো দর্শকের প্রিয় এই তারকা। দীর্ঘ ১৯ বছর পর সম্প্রতি সেই অজানা কথাই ফাঁস করলেন শাবানার স্বামী প্রযোজক ওয়াহিদ সাদিক। স্ত্রীর অভিনয় ছাড়া প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘শৈশব থেকে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল শাবানা। নিজেকে সে সময় দিতে পারেনি। তাই অভিনয় ছেড়ে এখন নিজের মত করে সময় কাটাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প এখনও শাবানাকে হারানোর ক্ষত সেরে উঠতে পারেননি। তার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। শাবানা অভিনয় ছাড়ার পর ঢাকার ফিল্মের এমন দুরবস্থা হবে কল্পনাও করিনি। একজন অভিনয় থেকে অবসর নিতেই পারে, তাই বলে আরেকজন সিনেমা করবে না, তাতো হয় না। এমনটা হচ্ছে বলেই ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রি সংকট কাটিয়ে উঠতে পারছে না।’

১৯৬২ সালে ‘নতুন সুর’ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন শাবানা। ওই সময় পর্দায় নাম ছিল রত্না। এরপর ‘তালাশ’-সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় নৃত্যশিল্পী ও অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন তিনি। সহনায়িকা চরিত্রে দেখা যায় ‘আবার বনবাসে রূপবান’ ও ‘ডাক বাবু’তে।

১৯৬৭ সালে এহতেশাম পরিচালিত ‘চকোরী’তে চিত্রনায়ক নাদিমের বিপরীতে নায়িকা হয়ে অভিনয় করেন তিনি। আর তখন রত্না থেকে হয়ে যান শাবানা। বাংলা ও উর্দু ভাষায় নির্মিত ‘চকোরী’ ছবি ব্যবসা সফল হয়। এর পর থেকে শাবানাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

২০১৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করেন অভিনেত্রী শাবানা। ছবি: সংগৃহীত

তিন দশকের ক্যারিয়ারে নাদিম, রাজ্জাক, আলমগীর, ফারুক, জসীম, সোহেল রানার সঙ্গে জুটি বেঁধে শাবানা উপহার দেন জনপ্রিয় অনেক ছবি। তার উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হচ্ছে, ‘ভাত দে’, ‘অবুঝ মন’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘সত্য মিথ্যা’, ‘রাঙা ভাবী’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘ওরা এগারো জন’, ‘বিরোধ’, ‘আনাড়ি’, ‘সমাধান’, ‘জীবনসাথী’, ‘মাটির ঘর’, ‘লুটেরা’, ‘সখি তুমি কার’, ‘কেউ কারো নয়’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘স্বামী কেন আসামি’, ‘দুঃসাহস’, ‘পুত্রবধূ’, ‘আক্রোশ’ ও ‘চাঁপা ডাঙার বউ’।

অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে শাবানা দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে অভিনয়ের জন্য ৯ বার ও প্রযোজক হিসেবে ১ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১৭ সালে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন শাবানা।

অন্যান্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে- প্রযোজক সমিতি পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার, আর্ট ফোরাম পুরস্কার, নাট্যসভা পুরস্কার, কামরুল হাসান পুরস্কার, নাট্য নিকেতন পুরস্কার, ললিতকলা একাডেমি পুরস্কার ও কথক একাডেমি পুরস্কার।

১৯৫২ সালের ১৫ জুন চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শাবানা। ঢাকার গেন্ডারিয়া হাই স্কুলে ভর্তি হলেও মাত্র ৯ বছর বয়সে তার শিক্ষা জীবনের ইতি ঘটে। ১৯৭৩ সালে সরকারি কর্মকর্তা ওয়াহিদ সাদিককে বিয়ে করেন তিনি। দু‘জনে মিলে প্রতিষ্ঠা করেন প্রযোজনা সংস্থা এসএস প্রোডাকশন। ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে অনেক জনপ্রিয় সিনেমা।

চলচ্চিত্র শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য সর্বোচ্চ স্বীকৃতিস্বরূপ আজ (৮ ডিসেম্বর) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৭ ও ২০১৮ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম মিলনায়তনে বিকেল ৪টায় শুরু হয় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য সচিব আব্দুল মালেক।

প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী আজীবন সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন এটিএমন শামসুজ্জামানের হাতে। এই অভিনেতাকে পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমেই শুরু হলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। তার পরই প্রধানমন্ত্রী আজীবন সম্মানা স্মারক তুলে দেন রূপবান খ্যাত নায়িকা সুজাতা ও বাংলার রঙিন নবাব খ্যাত অভিনেতা প্রবীর মিত্রের হাতে। এরপর ধারাবাহিকভাবে অন্য বিজয়ীদের হাতেও পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় মুখ ফেরদৌস ও পূর্ণিমা।