সেনা বিদ্রোহের মুখে পড়ে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম বৌবাকার কেইতা ও প্রধানমন্ত্রী বোবো সিসে পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বিদ্রোহী সেনা সদস্যদের হাতে তারা আটক হন।
আটকের পর তাদেরকে সামরিক ক্যাম্পে রাখা হয়। বুধবার ( ১৯ আগস্ট) তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। বুধবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সকালে দেশটির রাজধানী বামাকো থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের একটি প্রধান সামরিক ঘাঁটিতে গুলি ছোড়ার মধ্য দিয়ে এ অভ্যুত্থানের শুরু হয়। সারাদিন বিক্ষিপ্তভাবে দেশটির রাজধানীতে বিদ্রোহী সেনারা সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেন। রাতের দিকে সামরিক বাহিনীর জুনিয়র কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের আটক করেন।
২০১৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম বৌবাকার কেইতার পদত্যাগ দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই মালিতে বিক্ষোভ চলছিল। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার ক্ষমতাকালে মালিতে জাতিগত সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে এবং দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। সেই কারণে সরকার পতনের আন্দোলনে নেমেছে দেশটির জনগণ।
গত ১২ জুলাই মালিতে কয়েক মাস ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতা থামাতে সাংবিধানিক আদালত ভেঙে দেন দেশটির রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম বৌবাকার কেইতা।
এদিকে বুধবার দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়ে করণীয় নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠকে হতে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।