বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চরকগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলামকে অপহরণ করে মুক্তিপন না পেয়ে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় ৩ নং আসামি পঁচাকোড়ালীয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কালাম তালুকদারের পুত্র সন্ত্রাসী তোতা মিয়াকে গ্রেফতার করেছে আমতলী থানা পুলিশ। পুলিশ জানায় তোতা মিয়ার বিরুদ্ধে আমতলী ও তালতলী থানায় আরও ৫ টি মামলা চলমান রয়েছে।

জানা যায়, চরকগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এটিএম কার্ডের ৮১ হাজার টাকা, ল্যাপটপ ও মোটরসাইকেল নিয়ে রাতভর নির্যাতন শেষে বিদ্যালয়ের কাছে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক মামলা দায়ের করলে মামলার ৩ নং পলাতক আসামি তোতা মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, শিক্ষক অপহরণ ও চাঁদাবাজি মামলার ৩ নং আসামিকে পটুয়াখালী থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুখ্যাত ড্রাগ মাফিয়া মেহেদী হাসান রায়হান ও তার সহযোগীদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) এর প্রধান কার্যালয়ের অপারেশনস্ ও গোয়েন্দা শাখা।

অধিদপ্তরের উপ—পরিচালক সোমেন মণ্ডল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, রায়হানের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে সুতা, টিভি, গাড়ির পার্টস ও গার্মেন্টস পণ্যের আড়ালে অভিনব কায়দায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দেশে মাদক পাচার করে আসছিল। বিদেশ থেকে আনা এসব অবৈধ মাদক দেশের বিভিন্ন স্থানে মজুদ রেখে সুবিধাজনক সময়ে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হতো।

২০২২ সালের ২২ জুলাই ভোরে, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী পথে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের টিপুরদী এলাকায় র‍্যাব—১১ এর একটি অভিযানিক দল দুইটি কনটেইনার ভর্তি ৩৬ হাজার ৮১৬ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করে। উদ্ধার করা মদের আনুমানিক বাজারমূল্য ৪৬ কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ সময় রায়হানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজিজুল ইসলামের ছেলে আবদুল আহাদসহ ৩ জনকে আটক করা হয়।

পরে র‍্যাব সংবাদ সম্মেলনে জানায়, চক্রটি আইপি জালিয়াতি করে কুমিল্লা ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে বিদেশি মদের চালান খালাস করে। এ ঘটনায় র‍্যাব—১১ এর উপ—পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় মেহেদী হাসান রায়হানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত সূত্রে জানা যায়, রায়হান একাধিক মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে রয়েছে—বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ১৫(৩) ধারায় মামলা (চট্টগ্রাম সিএমপি, ২০২৩)

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) সারনীর ১০(ক) ধারায় মামলা (হালিশহর থানা, ২০২২),দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪১৩ ধারায় মামলা (খুলশী থানা, ২০২১)

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর অধীন মামলা (বন্দর থানা, ২০২২্‌মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২)(৪) ধারায় মামলা (সোনারগাঁও থানা, ২০২৩)

এছাড়া দেশের বিভিন্ন থানায় রায়হানের বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা ও জিডি রয়েছে।

তবে আশ্চর্যজনকভাবে সব মামলায় আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে জামিনে মুক্ত হন বলে অভিযোগ সূত্রের।

রায়হানের বাবা মো. আলী আহমেদ, মা রেখা বেগম। স্থানীয়রা জানান, একসময় আলী আহমেদ শহরের নতুন বাজারে কাটা কাপড়ের ছোট দোকান করতেন। পরে মালয়েশিয়া গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা শুরু করেন। কিছুদিনের মধ্যেই তার আর্থিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটে।
বর্তমানে তার রয়েছে—মহিলা কলেজ রোডে কোটি টাকার “পায়রা ইলেকট্রনিক্স শপ”,রহমতপুরে ৫ হাজার বর্গফুটের ৪ তলা ভবন (মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা),নীলগঞ্জ ইউনিয়নে একাধিক জমি,স্থানীয় সূত্রের দাবি, এই বিপুল সম্পদের উৎস তার ছেলে রায়হানের ড্রাগ ব্যবসার অবৈধ অর্থ।

জানা গেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে রায়হানের নামে সম্পদ অনুসন্ধানের চিঠি পাঠালে, আলী আহমেদ প্রভাব খাটিয়ে প্রতিবেদন পরিবর্তনের তদবির করেন। ফলে ছেলের নামে কোনো সম্পদ নেই—এমন প্রতিবেদন পাঠানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় প্রতিক্রিয়া

সম্মিলিত নাগরিক অধিকার জোট, কলাপাড়া শাখার সভাপতি সৈয়দ রেজাউল করিম রেজা বলেন,“আলী আহমেদ একসময় দর্জির কাজ করতেন। হঠাৎ তার এত সম্পদ, বহুতল বাড়ি—এটা অবিশ্বাস্য।”

কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজমুল আহসান বলেন,“তার কিছুই ছিল না। ছেলের ড্রাগ ব্যবসার টাকায় রাতারাতি ধনী হয়ে গেছে।”

কলাপাড়া থানার উপ—পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান জানান,“রায়হানের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে জীবননাশের হুমকির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।”

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনার্স তৃতীয় বর্ষের ২০২১-২২ সেশনের ফরম পূরনের ফি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোববার (২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বরিশাল সরকারি বজ্রমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা।

কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালীন সময় অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ফরম পূরনের ফি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির প্রতিবাদ করেন। পাশাপাশি ফরম পূরনের ফি কমানোর দাবি করেন।

অবিলম্বে তাদের দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনেরও হুশিয়ারি দেওয়া হয়।

ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক কলেজ ছাত্র শাকিল আহমেদ ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (পহেলা নভেম্বর) দিবাগত রাত নয়টার দিকে বরিশাল-বানারীপাড়া সড়কের বোর্ড স্কুল ক্লাব ঘর নামকস্থানে।

ঢাকার মিরপুর কলেজের ছাত্র নিহত শাকিল আহমেদ বানারীপাড়া সদর উপজেলার মাছরং দরবেশ গেট এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রবের ছেলে ও লন্ডন প্রবাসী এটিএন বাংলার সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শামিমের ছোট ভাই।

নিহতের স্বজন কাজী তমাল জানিয়েছেন-শাকিল আহমেদ মোটরসাইকেলযোগে রাত নয়টার দিকে বরিশাল থেকে বানারীপাড়া আসার পথিমধ্যে বোর্ড স্কুল ক্লাব ঘর নামকস্থানে পৌঁছলে বিপরীতদিক থেকে আসা বেপরোয়াগতির ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

 

বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন ডিআইজি এহসানুল্লাহ। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছে না। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই রাজশাহীসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনার ঝড়

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ক্রসফায়ার ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ডিআইজি এহসানুল্লাহকে আটক করতে সেদিন সকালে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে অভিযান চালায় পুলিশের একটি বিশেষ টিম। তিনি তখন একাডেমির সাপ্লাই বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। তবে অভিযানের সময় তিনি রহস্যজনকভাবে সেখান থেকে পালিয়ে যান বলে জানা গেছে।

 

 

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাইফুল ইসলাম ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,
“ডিআইজি এহসানুল্লাহ গত বুধবার থেকে একাডেমিতে অনুপস্থিত। ঢাকা থেকে একটি টিম তাকে আটক করতে এসেছিলেন বলে জেনেছি। তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

 

 

 

 

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক সরগরম ‘হ্যাঁ’ ‘না’ পোস্টে। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের পক্ষ—বিপক্ষ নিয়ে নতুন প্রচারণায় ব্যস্ত দেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনকে ১৮ দফা সুপারিশ দিয়েছে। সুপারিশে দলটি জাতীয় নির্বাচনের আগে আগামী নভেম্বর মাসে কমিশনকে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দেয়।

এদিকে নির্বাচনের আগে গণভোটের বিপক্ষে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। জানা যায়, তারা ফেসবুক পোস্টে নতুন প্রচারণা শুরু করেছেন। আর ভোটের আগে গণভোটের পক্ষে অবস্থান করছে জুলাই গণ—অভ্যুত্থানের জন্য প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

ফেসবুকে ‘না’ পোস্ট দিয়েছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও এমন প্রচারণা দেখা গেছে। তারা ‘হ্যাঁ’ লিখে একটি পোস্ট করেছেন।

এদিকে জাতীয় নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন গণভোটের সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত সুপারিশমালা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

বিষয়টি নিয়ে সেদিন কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘আজই সব রাজনৈতিক দলকে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সুপারিশমালা হস্তান্তর করা হবে। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়— এমন বিষয়গুলো সরকারি অধ্যাদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়নের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে ৪৮টি নির্দিষ্ট বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে জনগণের মতামত জানতে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।’

 

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের জঙ্গলপট্টি গ্রামে একই পরিবারের চার সদস্য স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তারা হলেন- সমির দত্ত, যিনি ইসলাম ধর্মগ্রহণের পর নিজের নাম রেখেছেন ওমর আলী, তার স্ত্রী অঞ্জলি রানী দত্ত, নতুন নাম আয়েশা বেগম, তাদের মেয়ে স্বর্ণা রানী দত্ত, নতুন নাম মরিয়ম আক্তার এবং ছেলে শুভ দত্ত এবং নতুন নাম আব্দুল্লাহ।

তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং স্থানীয় মুসল্লি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শাহাদাত পাঠের মাধ্যমে নতুন ধর্মীয় জীবনে প্রবেশ করেন।

ধর্মান্তরিত হওয়ার পর ওমর আলী বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ইসলামের আদর্শ ও মানবতার শিক্ষা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি। অবশেষে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইসলাম গ্রহণ করেছি। আলহামদুলিল্লাহ।’

স্থানীয় এলাকাবাসী ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি তাদের জীবনের এক নতুন সূচনা।

শেষে তারা দোয়া কামনা করে বলেন, আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে নবীজির (সঃ) উম্মত হিসেবে কবুল করুন। আমিন।

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. সাইফুল ইসলামকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে তাকে ট্রাইব্যুনাল-১ এ হাজির করা হয়।

বরিশাল মহানগর পুলিশের সাবেক এই কমিশনারকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নগরীর চান্দগাঁও থানার একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে এতদিন জেলহাজতে ছিলেন তিনি।

তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর এলাকায় মো. ওয়াসিম আকরাম, ফয়সাল আহমেদ শান্ত ও মো. ফারুক হত্যার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ততা এবং জুলাই আন্দোলন চলাকালে নিরীহ ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ২৫টির অধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও নির্যাতনের প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সাইফুল ইসলাম ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ৩২তম কমিশনার। এর আগে তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ছিলেন। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি ঢাকার মেট্রোরেল (এমআরটি)-এর ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।’

শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষাপটে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ছাত্রসংসদ (বাকসু) নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। নির্বাচন দাবিতে কদিন ধরে তিন শিক্ষার্থীর অনশন এবং বুধবার সবশেষ সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনিক ভবন ‘শাটডাউন’ ঘোষণার হুমকি দেওয়ার পরেই কলেজ প্রশাসনের তরফ থেকে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়। এবং এদিন রাতে অনুরূপ আশ্বাস দিয়ে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অভিমান ভাঙানো হয়েছে। কলেজ প্রশাসনের অভয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনশন কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বর্তমানে বিএম কলেজের ২২টি বিভাগে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছেন। তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কথা বলার জন্য ছাত্রসংসদ থাকলেও তাতে কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী দু:শাসনের অবসান হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়।

জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্টের পরে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজেও ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবি তোলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না মেলায় গত রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে প্রতিবাদস্বরুপ প্রথম অনশন শুরু করেন ইতিহাস বিভাগ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফেরদৌস রুমি। পরবর্তীতে তার সঙ্গে সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম এবং ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী কে এম মাঈনুল যোগ দেন। কিন্তু কদিন অনশন করার পরে কলেজ প্রশাসন ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনিক ভবন ‘শাটডাউন’ করে দেওয়ার হুমকি দেন।

সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন শাটডাউনের হুমকি দেওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে বিএম কলেজ প্রশাসন। এবং বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের পরে রাতেই

কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ ড. শেখ মো. তাজুল ইসলাম এবং উপাধ্যাক্ষ অধ্যাপক আবু তাহের রাশেদুল ইসলাম অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার আশ্বাস দেন। এই অভয়ের প্রেক্ষিতে অনশনরত শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন।

বিএম কলেজ অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম জানান, ‘অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি, নির্বাচনের রোড ম্যাপ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর প্রথম সপ্তাহে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’

ছাত্রসংসদ নির্বাচনে বিএম কলেজ প্রশাসনের প্রস্তুতি আন্দোলনরত বিশেষ করে অনশনরত শিক্ষার্থীদের আশান্বিত করেছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বাকসু নির্বাচনের দাবি দীর্ঘদিনের, কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ভোট করে কলেজে তাদের আধিপত্য হারাতে চায়নি। গত বছরের ৫ আগস্ট তাদের পতন হলে এই দাবিটি জোরালো রূপ নেয়, শিক্ষার্থীরা ছাত্রসংসদ নির্বাচন চেয়ে অনশনের মতো কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হয়।

অনশনরত শিক্ষার্থী রুমি জানান, শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে কলেজ প্রশাসন ছাত্রসংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব অনুধাবন করেছে। বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনিক ভবন অচল করে দেওয়ার ঘোষণার পরে কর্তৃপক্ষ নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এবং ডিসেম্বর প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এই নির্বাচন করার কথা রয়েছে, যার মধ্যদিয়ে ৩০ হাজার শিক্ষার্থী তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।’

 

বরিশাল নগরীর বাজার রোড এলাকায় অবস্থিত কে.এম.সি হাসপাতালে সেবা নিতে গিয়ে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে বরগুনা জেলা পাথরঘাটা উপজেলার মো: নিফুলা ইয়াসমিন নামের এক নারী।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৯ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ৬ ঘটিকার সময়। এ বিষয় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী নিলুফার ভাই মো: মিজানুর রহমান পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে গত ১৮ অক্টোবর মো: মিজানুর রহমান ও মোসা: নীলুফা ইয়াসমিন তাদের বৃদ্ধ মায়ের সুচিকিৎসার জন্য নগরীর কেএমসি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরদিন সকালে অর্থাৎ ১৯ অক্টোবর সকাল ৬ ঘটিকায় নিলুফা হাতমুখ ধোয়ার জন্য ওয়াশরুমে গেলে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা ছিনতাইকারীরা তার গলায় পড়ে থাকা সোয়া ভরি ওজনের একটি চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
বিষয়টি হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের কাছে জানালে তারা কোন কর্ণপাত না করে উল্টো নিলুফার অসতর্কতা বলে চুপ থাকতে বলে। এরপর নিলুফা ইয়াসমিনের ভাই মো: মিজানুর রহমান ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহয়তা কামনা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে আমানগঞ্জ ফাঁড়ির দ্বায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা। এছাড়াও ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মো: মিজানুর রহমান।
এ বিষয় ভুক্তভুগী মো: মিজানুর রহমান বলেন, হাসপাতালের বাথরুমের জানালা ভাঙ্গা এটা একমাত্র তারাই জানে যারা এখানে কাজ করে। এই ঘটনার সাথে হাসপাতালের ম্যানেজার, আয়া, বুয়াসহ সিকিউরিটি গার্ড জরিত। ছিনতাই কোন ঘটনাটি সাধারণ কোন চুরি নয় এটা পূর্ব পরিকল্পিত।
তিনি আরও বলেন আমার বোনের প্রায় ২লক্ষ টাকার চেইন নিয়ে গেছে সে বিষয় কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না দিয়ে উল্টো হাসপাতালের ম্যানেজার আমাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে আমি তাদের প্রতিষ্ঠানে পুলিশ এনেছি কেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।