জ্ঞাত আয়-বর্হিভূত সম্পদ অর্জন, মিথ্যা তথ্য প্রদান ও গোপনে দায়ে এক দম্পতিকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদি আল মাসুদ রায় দেন বলে বেঞ্চ সহকারী আবুল বাশার জানিয়েছেন।
দণ্ডিতরা হলেন- ভাণ্ডারিয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর ও ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার পশ্চিম আউরা গ্রামের বাসিন্দা শাহনাজ পারভীন এবং তার স্বামী একই গ্রামের বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান।
রায় ঘোষণার সময় স্বামী-স্ত্রী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে দুইজনকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
বেঞ্চ সহকারী আবুল বাশার জানান, ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই দুদকে দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে শাহনাজ পারভীনের ১২ লাখ ৬৪৯ টাকার তথ্য গোপন, ৩৪ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ টাকার মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং ৫০ লাখ ৬২ হাজার ৬৪৭ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদের প্রমাণ মেলে।
এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ৬ অগাস্ট দুদকের বরিশাল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল হাসেম কাজী বাদী হয়ে শাহনাজকে আসামি করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে স্ত্রীকে সহায়তার অভিযোগে মাহফুজুরসহ শাহনাজের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
আবুল বাশার বলেছেন, রায়ে শাহনাজকে দুই ধারায় মোট ৫ বছর কারাদণ্ড, ৪১ লাখ চার হাজার ৮৪৭ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৯ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আর তার স্বামী মাহফুজুরকে তিন বছর কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিনমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।