নিজস্ব প্রতিবেদক ||
ঝালকাঠির রাজাপুরে শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরে ভিকটিম শিক্ষার্থীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে বলাৎকারের ঘটনা ধামা চাপা দিয়ে স্থানীয় মেম্বার এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে ম্যানেজ মিশনে নেমেছেন বলে অভিযুক্ত রাজাপুরের নাড়িকেল বাড়িয়া কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক রহমত উল্লাহ্’র বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ভিকটিম মাদ্রাসা ছাত্র’র পরিবারকে তিনি হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এর শিক্ষক কর্তৃক বলাৎকারের শিকার শিশুটি গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদ্রাসা থেকে পারিয়ে যায়। পরে সে মাদ্রাসার অদূরে একটি চায়ের দোকানে গিয়ে ঘটনাটি খুলে বলে।
এ খবর জানতে পেরে শিক্ষক রহমত উল্লাহ স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নূরে আলমসহ স্থানীয় কয়েকজন লোক নিয়ে সেখানে হাজির হয়। এসময় তারা ঘটনাটি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য শিক্ষার্থীর পরিবারকে হুমকি দেয়।
তবে শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে শিশুর পরিবারকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নূরে আলম। এমনকি বলাৎকারের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবিও যোগ করেন তিনি।
স্থানীয় শুকতাঘর নারিকেল বাড়ি এলাকার বাসিন্দা এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজল মোল্লা বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে যেটা ঘটেছে সেটা কোনভাবেই কাম্য নয়। এ ধরনের ঘটনায় অপরাধী যেই হোক তার শাস্তি হওয়া উচিত।
এ প্রসঙ্গে ঝালকাঠি জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ ধরনের কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। ভিকটিম বা তার পরিবারের কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।