নিজস্ব প্রতিবেদক:: বরিশাল নগরীর দক্ষিণ আলেকন্দা এআরএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী তামান্না আফরিনকে (১৫) আত্মহত্যায় বাধ্য করেছে তার কথিত প্রেমিক সাদমান গালিব। অভিযোগ পাওয়া গেছে, চাইনিজ খাবারের সাথে চেতনাশক ওষুধ মিশিয়ে তা খাওয়ানোর পর অচেতন করে অশ্লিল ছবি তুলে সটকে পড়েন সাদমান।

বিষয়টি বুঝতে পরে তামান্না রাগে ক্ষোভে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে তামান্নার বাবা রফিকুল ইসলাম টিপুকে একমাত্র সাদমানকে আসামি করে কোতোয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দিলেও তা আজ পর্যন্ত মামলা হিসেবে রুজু করেনি পুলিশ।

সাদমান নগরীর জুমির খান সড়কের বাসিন্দা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকাবাসী তাকে বখাটে হিসেবেই চেনেন।

 

টিপু জানান, প্রায় ৬ মাস আগে তামান্নাকে চাইনিজ খাবারের আড়ালে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে নিজ বাসায় নিয়ে যায় গালিব। খবর পেয়ে গালিবের বাসা থেকে প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তামান্নাকে উদ্ধার করি।

ওইদিন তামান্নার অশালীন ছবি এবং ভিডিও মোবাইল ফেনো ধারণ করে রাখে গালিব। পরে ওই ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তামান্নার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করে গালিব। এমনকি ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে তামান্নার সাথে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্কে জড়ায় বলে সন্দেহ বাবার।

 

ওই অশ্লীল ছবি নিজ হেফাজতে রেখে গালিব তার কথিত প্রেমিকা তামান্নার কাছ থেকে সটকে পড়ে। গত কিছুদিন ধরে তামান্নার সাথে একেবারে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে তামান্না। প্রেমিকের প্রতারণার কারণে রাগে-ক্ষোভে এবং অভিমানে গত ২ এপ্রিল দুপুরে নানাবাড়িতে ফ্যানের সাথে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে তামান্না।

 

মৃত্যুর পর তামান্নার পড়ার টেবিলে অংক খাতার শেষ পৃষ্ঠায় তামান্নার হাতের লেখা একটি চিরকুট (সুইসাইড নোট) পায় তার পরিবার।

 

চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমি আজ সবাইকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমার মৃত্যুর জন্য শুধু একজনই দায়ী। তার নাম হলো সাদমান গালিব। আমি ওকে অনেক ভালোবাসি। কিন্তু ও (গালিব) আমার সাথে আর সম্পর্ক রাখতে চায় না। তাই আমি ওকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না ভেবে সবাইকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমি সাদমানকে অনেক ভালোবাসি, ও বুঝল না। আশা করি আমার মরার পর ও (গালিব) আমার ভালোবাসাটা অনুভব করবে। আমি আর বেশী কিছু বলতে চাই না। বিদায় সাদমান।’

 

ওই চিরকুটসহ গত মঙ্গলবার সাদমান গালিবের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন তামান্নার বাবা রফিকুল ইসলাম টিপু।

 

তিনি অভিযোগ করেন, কথিত প্রেমিকের প্ররোচণায় ২ এপ্রিল তার মেয়ে তামান্না আত্মহত্যা করলো। ৪ দিন পর ৬ এপ্রিল তিনি প্রমাণসহ কোতোয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্ত সাদমানকে গ্রেপ্তার কিংবা তার অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজু করেনি।

 

ওইদিন তামান্নার মরদেহ উদ্ধারকারী কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক অলিভ জানান, তামান্নার ব্যবহৃত মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। মুঠোফোনে কিছু আলামত পাওয়া গেছে।

 

এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম।

মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, পুলিশ এ বিষয়ে কোনো তাচ্ছিল্য করছে না। কোনো শৈথিল্যও দেখাচ্ছে না। ওই মেয়েটির মোবাইল ফোনে পাওয়া বিভিন্ন ছবি এবং তার লেখা চিরকুট যাচাই করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবার দেয়া অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজু করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

 

প্রসঙ্গত, তামান্না আফরিনের বাবা ও মায়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ২০১৮ সালে। এরপর থেকে তামান্না ও তার ছোট বোন তাহিয়া থাকতো নগরীর কাজীপাড়া এলাকার নানা হাফেজ মো. আলমগীরের বাসায়। কাজের সুবাদে বাবা থাকতেন অন্যত্র। মা জাকিয়া বেগম চাকরি করায় মেয়েদের তেমন দেখভাল করতে পারতেন না। বাবা-মায়ের শিথিলতার সুযোগে তামান্নার সাথে ফেসবুকে পার্শবর্তী জুমির খান সড়কের সাদমান গালিবের পরিচয় এবং এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক হয়।

 

গত ৪ এপ্রিল রবিবার বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের অঙ্গীকার, দৈনিক সাহসী সংবাদ সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় ” নগরীতে মাদক ব্যবসায়ী ওয়াকি টকি ” শিরোনাম সহ বিভিন্ন শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূন্য মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
আমি কখনই প্রশাসনের ওয়াকি টকি ব্যবহার করিনি, ও প্রশাসনের পরিচয় কখনো কোথাও অভিযানে বের হইনি।আমার নামে চাঁদাবাজি চুরি-ছিনতাই ও হত্যার উদ্দেশ্যে কাউকে মারার অভিযোগ নেই।কখনো নিজেকে ইন্সপেক্ট, সাব-ইন্সপেক্টর বা প্রশাসনের বড় কোনো কর্মকর্তা দাবী করিনি,জীবনে কাউকে হয়রানি করার কোনো অভিযোগ নেই আমার নামে।আমি মূলত ব্যবসা করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে।
আমি যথেষ্ট ভালো মানুষ।
প্রকৃত পক্ষে এক শ্রেনীর কূচক্রী মহল আমার ও আমার পরিবারের দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট করতে সাংবাদিক ভাইদেরকে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

নিবেদক-
বাবু
রোকেয়া আজিম সড়ক, বরিশাল।

বরিশাল বিভাগে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সপ্তাহখানেক ধরে শতাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে ২৪৭ জন পজেটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। যা বরিশাল বিভাগে আক্রান্তের ধিক থেকে সর্বোচ্চ।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বরিশাল জেলায় ১০৭ জন। এরপর ঝালকাঠিতে ৩৭, পিরোজপুরে ৩৬, ভোলায় ৩৯, পটুয়াখালীতে ২৩ ও বরগুনায় ১৪ জন। এ নিয়ে গত ১৩ মাসে বিভাগে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১৪৮ জন।

এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ভোলা হাসপাতালে ১ জন এবং ২ জন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আক্রান্ত ও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, করোনার প্রথম ঢেউয়ে বরিশাল বিভাগে সংক্রমণের হার কম ছিল। কিন্তু বরিশালে দ্বিতীয়/তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার বেশি। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানা,ঘরে থাকাসহ মাস্ক পড়ার বিকল্প কিছু নেই।

বিশ্ব আজ থেমে গেছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ব ব্যাপী শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ।

তারই ধারাবাহিকতায় বরিশালে আজ ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় বরিশাল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন অলিগলি এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, কাঁচাবাজার, লঞ্চঘাট, খেয়াঘাট সংলগ্ন স্থানে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে জীবাণুনাশক পানি স্প্রে কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেন বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।

দিনভর চলবে বরিশাল নগরীতে জীবাণুনাশক পানি স্প্রে কার্যক্রম। আজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে এ কাজের শুভ সুচনা করা হয়।

এসময় জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার সাধারণ মানুষের মাঝে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের করনীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন।

এ কাজে সহযোগিতা করেন জেলা প্রশাসন বরিশাল, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স বরিশাল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার বরিশাল মোঃ শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাজিব আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রশান্ত কুমার দাসসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল >> বরিশাল র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে অভিযান চালিয়ে বস্তায় বস্তায় গাঁজা উদ্ধার করেছে। এবং মো. জাকির হোসেন (৪৮) নামের এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার করে। র‌্যাবের একটি চৌকশ টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার বিকেলে ইন্দুরকানি উপজেলার টগরা ফেরিঘাট এলাকা থেকে কুমিল্লার এই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

মাদক উদ্ধার ও গ্রেপ্তার অভিযানের বিষয়টি বৃহস্পতিবার এক ইমেল বার্তায় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বরিশাল র‌্যাব রুপাতলী অফিস।

র‌্যাব সূত্রের খবর হচ্ছে, বুধবার বিকেলে তাদের একটি টিম টহলকালে খবর আসে টগরা ফেরিঘাট এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি মাদকের লেনদেন করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে হানা দিলে এক ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় র‌্যাব সদস্যরা তাকে ধাওয়া দিয়ে গ্রেপ্তার করে।

বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তি স্বীকার করে তার বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং থানার পূর্ণমতি পশ্চিম পাড়া গ্রামে এবং তার বাবার নাম মো. আব্দুর রাজ্জাক। এসময় র‌্যাব সদস্যরা তার কাছ থেকে বস্তাভর্তি ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।

এই ঘটনায় ইন্দুরকানি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন র‌্যাবের ডিএডি মোঃ এনামুল হক।’

ঝালকাঠি প্রতিনিধি >> ঝালকাঠির নলছিটি থানায় পর্নগ্রাফি মামলায় কবির মিনা (৩০) নামের এক যুবককে আজ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করেছেথানা পুলিশ। নাচনমহল ইউনিয়নের পশ্চিম সেওতা গ্রামের নুরু মিনার প্রবাসী পুত্র রুবেল মিনার স্ত্রীর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ায় ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে নলছিটি থানায় পর্নগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। কবির মিনা উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের পশ্চিম সেওতা গ্রামের আবদুর রশিদ মিনার ছেলে ও বাদিনীর স্বামী রুবেল মিনার চাচাতো ভাই।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, কযেক দিন পূর্বে উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের প্রবাসী রুবেল মিনার স্ত্রীর কয়েকটি আপত্তিকর ছবি রুবেল মিনার চাচাতো ভাই কবির মিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় (৭ এপ্রিল) নলছিটি থানায় কবির মিনার বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফি আইনে একটি মামলাটি দায়ের করেন।

তবে এলাকার দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, মামলার বাদী গৃহবধূর সাথে আটক কবির মিনার সাথে দীর্গদিন ধরে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক চলে আসছিল।এ নিয়ে দুই পারিবারের মধ্যে ঝগড়া চরম আকার ধরন করে। পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমান্যরা শালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংশা করে দিয়ে ছিলেন।

এ ব্যাপারে নলছিটি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচএম মাহমুদ বলেন, পর্নগ্রাফি আইনে আসামী কবির মিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) তাকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও ভোলা >> ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তির মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের সুন্দরীর খাল এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
পুলিশ দাবি করেছে, হত্যাকারীরা আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করার চেষ্টা করায় লাশের কিছু অংশ ঝলসে গেছে। এবং ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চরফ্যাশন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, দুপুরে আসলামপুরের সুন্দরীর খাল এলাকায় অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির মাথাবিহীন লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরবর্তীদে পুলিশের একটি টিম সেখান থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী ওই দুই ব্যক্তির পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে লাশের বেশকিছু অংশ আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ওসি জানান, এই বিয়োগান্তের ঘটনায় একটি মামলা প্রস্তুতি চলছে।’

বরিশালে করোনা’র দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এই টিকাদান কার্যক্রম চলবে।

বরিশাল নগরের শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল জেনারেল (সদর) হাসপাতাল ও পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে টিকা গ্রহীতাদের টিকা প্রদান করা হচ্ছে।

 

সকালে বরিশাল জেনারেল (সদর) হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও দুরত্ব বজায় রেখে মানুষ টিকা গ্রহনের জন্য অপেক্ষা করছেন।

তবে নারীদের চেয়ে পুরুষদের ভীড় ছিলো বেশি। অনেকে আবার মোবাইলে ম্যাসেজ না আসার কারনে টিকা নিতে পারেনি।

সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া বরিশাল জেনারেল (সদর) হাসপাতালের তিনটি বুথে টিকা দেয়া হচ্ছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৫৫জন নারী পুরুষ টিকা গ্রহন করেছে।

 

টিকা নিতে এসে ম্যাসেজ না পাওয়ায় ফিরে যেতে হয় নগরের হাসপাতাল রোডের সুব্রত পোদ্দার কে।

তিনি বলেন, করোনার প্রথম ডোজের টিকা আমি গত ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখে নিয়েছি। আমি প্রথমেই টিকা পেয়েছিলাম । কিন্তু এবারে আমার মোবাইলে ম্যাসেজ আসেনি। তাই আমি টিকা নিতে পারিনি।

 

টিকা নিতে আসা অপর আর এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেণ, আমি ম্যাসেজ পাইনি। তারপরও কেন্দ্রে এসে খবর নিলাম। কবে নাগাদ পাবো তা বলতে পারেনি এখানকার কেউ।

 

এবিষয়ে বরিশাল সিটি কপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মতিউর রহমান বলেন, করোনার প্রভাব বেশি হওয়ায় আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টিকা প্রদান করছি।

কেন্দ্রে যাতে গ্যাদারিং না হয় সেজন্য আমরা টিকা গ্রহীতাদের ভাগ করে টিকা প্রদান করছি। আস্তে আস্তে সবাই টিকা পাবে।

করোনা ভাইরাস মহামারির লকডাউনের মধ্যে সিটি এলাকায় গণপরিবহনের পর এবার সীমিত পরিসরে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে জানিয়েছে, ৯-১৩ এপ্রিল শপিংমল ও দোকানপাট খোলা যাবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

 

করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে শর্তেসাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আগের নির্দেশনার আলোকে নতুন এই নির্দেশনা জারি করেছে।

এতে বলা হয়, আগামী ৯ (শুক্রবার) থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া, কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম যথারীতি চলমান থাকবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় জানানো হয়েছে

এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের সিনিয়র সচিব/সচিবদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

করোনা সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সার্বিক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই সময়ে জরুরি প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে অফিস, গণপরিবহনসহ সব ধরনের যান চলাচল, দোকানপাট-শপিংমল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। তবে নিত্যপণ্যের দোকান ও জরুরি সেবার যানবাহন চলাচলের সিদ্ধান্ত রাখা হয়।

কিন্তু অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির পর ৭ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চালু করা হয়। এবার দোকানপাট ও শপিংমলও চালু করা হলো।

তবে বিদ্যমান লকডাউন কতদিন থাকবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

শামীম আহমেদ ॥ বরিশালে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনের নগরীর গীর্জামহল্লা মোবাইল ব্যবসায়ীরা লকডাউন প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে।

এছাড়া নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দুরপাল্লা ও অভ্যন্তরীন রুটের যাত্রীবাহি বাস চলাচল বন্ধ লঞ্চ চলাচল।

অপরদিকে নামী বিপনিবিতানগুলো বন্ধ থাকলেও নগরীর চক বাজারের ব্যবসায়ীরা কেউ বা চুপিসারে দোকান খুলে বিকিকিনি করছে।

দুপুর পৌঁনে বারোটার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত হলে চকবাজারের কতিপয় দোকানী জড়ো হয়ে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে উল্টো ক্ষোভ প্রকাশ করে।

মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে নগরীর গীর্জা মহলা ব্যবসায়ী মালিক সমিতি ও মোবাইল মালিক সমিতির সদস্যরা দোকানপাট খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এসময় প্রায় একঘন্টাব্যাপী রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ তারা । পরে মিছিল নিয়ে সদররোড অতিক্রমকালে পুলিশ এসে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে আন্দোলন থেকে ঘরে ফেরার নির্দেশ দেন। এরপর তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।

বাংলাদেশ মোবাইল এ্যাসোশিয়েশন মালিক’ সংগঠনের বরিশাল বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক শহিদ বলেন, আমরা সরকারী নিয়ম মানি। তবে আমাদের পেটের কথা চিন্তা করে একটু সুযোগ চাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন গত বছর লকডাউনে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সামনে রমজান মাস। ব্যবসা করার মৌসুম।

এসময় দোকানপাট বন্ধ থাকলে তারা বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন। এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করার দাবিও জানান তারা।

প্রশাসন জানিয়েছেন সরকারের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। দোকানপাট ও শপিং মল খোলা রাখার কোনো সুযোগ নেই।

অন্যদিকে সকালের দিকে নগরীর পোর্ট রোডের মৎস্য আড়তে ব্যবসায়ী ও কতিপয় ক্রেতার মুখে মাক্স থাকলে তা সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে দেয়া যায়নি।

এছাড়া এখানে দুরত্বে ছিল না কোন স্বাস্থবিধির নিয়ম কানুন। যে যার মত করে মাছ বেচা-বিক্রি করছেন। সেখানে একজনের উপরে তিন চারজন হুমড়ি খেয়ে পড়তে দেখা যায়।

দুপুরের জেলা প্রশাসকের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সুজা বলেন, সরকার নির্দেশিত লকডউন যথার্থভাবে মানতে তারা মোবাইল কোর্ট করছেন। যেখানে এর ব্যতয় ঘটছে সেখানেই তারা জরিমানা করছেন।

এদিকে শ্রমজীবী মানুষেরা বলেন, করোনায় এমনিতেই তাদের আয় কমেগেছে, তার উপরে লকডাউনে তাদের পুরোটাই বেকার হয়ে বসে থাকতে হচ্ছে।

অন্যদিকে স্বাস্থ অধিদপ্তর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য শহরে মাইকিং করা হলেও নিত্য আয়ের মানুষের পায়ের গতি আটকে রাখতে পারছে প্রশাসন।