#

ঝালকাঠিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২৬ নভেম্বর শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে। বুধবার ৬ষ্ঠ দিনের মতো এ ধর্মঘট পালন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।

#

লাগাতার ধর্মঘটে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। বিশেষ করে টিকাদান বন্ধ থাকায় শিশু সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মায়েরা।

ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে কর্মবিরতি সমাবেশে বক্তৃতা করেন সভাপতি সৈয়দ বশির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এনায়েত করীম, স্বাস্থ্যসেবা পরিদর্শক সাইদা সুলতানা ও শাহিন তারা প্রমুখ। স্বাস্থ্য সহকারীরা জানান, গত ২৬ নভেম্বর থেকে সারাদেশের সঙ্গে একযোগে ঝালকাঠিতেও কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা। তাদের দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলমান থাকবে।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, টেকনিকেল বেতন স্কেল, নিয়োগ বিধিতে স্নাতক সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ ভ্যাকসিন হিরো উপাধি প্রদান।

 

তৃণমূলের সেবা প্রত্যাশীরা জানান, করোনাকালে গ্রামের গরিব ও অসহায় মানুষ যদি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে সেটা মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হবে। কারণ তাদের সেবাগুলো একদম সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। যার মধ্যে রয়েছে নবজাতক শিশুদের বিভিন্ন ধরনের টিকা প্রদান। অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলায় তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ রয়েছে। কোনো স্বাস্থ্যকর্মী সেবা দিচ্ছেন না। এতে ভোগান্তি বেড়েই চলছে।

স্বাস্থ্য সহকারীরা জানান, পোলিও ও গুটিবসন্তের মতো ভয়ংকর রোগগুলো দেশ থেকে বিলুপ্ত করার পেছনে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীদের অপরিসীম অবদান রয়েছে। এরপরও কেন সরকার স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি মেনে নিচ্ছে না। এ দাবিগুলো মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তারা।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি জেলার স্বাস্থ্য সহকারী সমিতির সভাপতি মো. জোবায়ের হোসেন জানান, কর্তা ব্যক্তিরা বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি না থাকায় আমরা কর্মবিরতি পালন করতে বাধ্য হয়েছি।

তিনি বলেন, আমরাও চাই না মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হোক। তাই সরকারের কাছে আহ্বান থাকবে যত দ্রুত সম্ভব আমাদের দাবিগুলো যেন মেনে নেয়া হয়।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here