#

মহামারি করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে সারাদেশ শঙ্কিত। যার কারণে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের ওপর জোর দিয়েছে সরকার। এ সময়েও বরিশাল নগরীর ভেতরে চলাচলকারী গণপরিবহনে নেই স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই।

#

রাস্তা-ঘাটসহ গণপরিবহনে মাস্ক ছাড়াই অবাধে চলাচল করছেন মানুষজন, আর এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিনিয়তই বাড়ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাস্ক ছাড়া যে কোনো সেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকার কথা থাকলেও গণপরিবহনে এর কোনো বালাই নেই, যাত্রীরা মাস্ক ছাড়াই উঠছেন। এমনকি ওই সব গাড়ির চালকদের মুখেও নেই মাস্ক।গণপরিবহনে অনেক যাত্রীই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। আবার কারো মাস্ক থাকলেও তা মুখের নিচে ঝুলিয়ে রেখেছেন।

দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া নিষেধ থাকলেও তা মানছে না বাস চালকরা। প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাস্ক না ব্যবহারের জরিমানা ও সাজা কমে আসায় মানুষের মধ্যে এমন অনীহা দেখা দিয়েছে বলে মনে করে সুশীল সমাজ।

অঞ্জনা রানী নামে এক মাহিন্দা যাত্রী বলেন, বাড়ি থেকে মাস্ক আনতে ভুলে গিয়েছি, আর এখন তো করোনায় মানুষ মরে না! অযথা কেন মুখ আটকিয়ে রাখবো। যারা বেশি সচেতন তাদের এ রোগে আক্রান্ত হয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

মুখে মাস্ক নেই কেন এমন প্রশ্নের জবাবে আমানুর রহমান নামের এক বাস যাত্রীর সোজাসাপটা উত্তর, মাস্ক পরে কী হবে, যে পরিমাণ ঘনবসতি, কোনো শারীরিক দূরত্ব মানার উপায় নেই। করোনা হওয়ার হলে এমনিতেই হবে।

অটোরিকশা চালক সোহেল মল্লিকের মুখেও মাস্ক নেই। সেটা কেন ব্যবহার করছেন না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারাদিন মাস্ক পরে থাকাটা অস্বস্তি লাগে। তাই তিনি কিছু সময়ের জন্য খুলে রেখেছেন।

সচেতন যাত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, সচেতন না হলে করোনার প্রকোপ বাড়বে। তাই চালক-যাত্রী সবাইকে সচেতন হয়ে মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই।

এদিকে মাস্ক না ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের নির্দেশে নগরীতে প্রতিদিন দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপম মজুমদার বলেন, আমরা মাঠে থাকায় মানুষ সচেতন হচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে মানুষকে সচেতন করতে এ অভিযান চলমান থাকবে।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here