বরিশালে সিএনজি অটোরিকশার মধ্যে এক তরুণীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়া এবং ওই ঘটনায় দোষী ব্যক্তিকে শায়েস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার এই ভিডিও দেখে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। কেউবা সুপারইম্যান আক্ষ্যা দিয়েছেন তাকে। তবে আবার অনেকে সমালোচনাও করেছেন, বলেছেন ভাইরাল হওয়ার জন্য এই কাজ করেছেন তিনি।
ওই তরুণীর সাদিয়া আক্তার মীম নামের আইডি থেকে পুরো ঘটনার বিবরণসহ একটি ভিডিও পোস্ট করা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সেখানে তিনি বলেন, ‘রবিবার (৬ ডিসেম্বর) বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ থেকে বিবিরপুকুর পার সিএনজি অটোরিকশা যোগে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। অটোরিকশার মধ্যেই এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি তার পাশে এসে বসে। তরুণী তার থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে যতই সরে বসেন, ততই সেই ব্যক্তি তার ওপর চাড়াও হন। এক পর্যায়ে ওই তরুণীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন বেশ সময় ধরেই। উপায় না পেয়ে হাতে নাতে ধরার জন্য বিষয়টি মুঠোফোনে ভিডিও করছিলেন ওই তরুণী। নগরীর সদর রোডে আসার সাথে সাথেই হাতেনাতে ধরা হয় ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তিকে। এরপর তরুণী নিজেই মারধর করেন ওই ব্যক্তিকে।
এই পোস্টের পরই ওই তরুণীকে ফেসবুকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। তবে অনেকে আবার দোষারোপও করেছেন।
বিএম কলেজ ছাত্রী ও অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসায়ী ওই তরুণী জানান, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর নারী হয়ে সে কেন এতো আগ্রাসী ভুমিকা পালন করেছে সেজন্য তার পরিবার স্থানীয়ভাবে চাপে রয়েছে। তাছাড়া যারা তাকে হেয় করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমেন্ট করেছে তাদেরকে সামনে আনার দাবি জানান।