সম্প্রতি কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা ও দু’একটি জাতীয় পত্রিকায় বরিশালে খােলা বাজারে/ন্যায্য মূল্যে/ওএমএস এর চাল বিক্রিতে বাধা/বিরােধ/উৎকোচ ইত্যাদি শিরােনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে জানানাে যাচ্ছে যে, খাদ্য পরিদর্শক
মৌসুমী আক্তারসহ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের
কার্যালয়, বরিশালের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী কারাে নামে ডিলারদের নিকট ঘুষ দাবি করেননি। বরং দরিদ্র জনসাধারণ যাতে ওএমএস খাতে সরকারি বরাদ্দের সমুদয় চাল ও আটা ক্রয় করতে পারেন
সে লক্ষ্যে এবং খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের
নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণের জন্য আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও তার দপ্তর হতে কর্মকর্তাগণ কর্তৃক আকস্মিক সফরকালে মজুতে ঘাটতি পাওয়ায় সরকারি বিধি অনুসরণ করে বরিশাল মহানগরের
০৪ জন ডিলারকে মােট ১,০৭,৯৬৭/- টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাছাড়া ০৯ ও ১০ নং ওয়ার্ডের ডিলার শেখ মাসুদ রানা ও জনাব মােঃ মিজানুর রহমানকে তাদের বর্তমান বিক্রয় কেন্দ্রের পরিবর্তে দরিদ্র জনগোষ্ঠির বসবাস ও বস্তি
এলাকার নিকট দোকান নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
কঠোর নজরদারি ও অনিয়মের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় বরিশাল মহানগরের অন্যান্য ডিলারগণও ওএমএস কার্যক্রমে অনিয়ম ও দুর্নীতি করতে পারেনি। ফলে জরিমানার আওতায়
আসা ডিলারগণসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির ঝোঁক আছে এমন ডিলারগণ সংঘবদ্ধ হয়ে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও তার দপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলে মিথ্যা ও বানােয়াট অভিযােগ দাখিলের পাশাপাশি সাংবাদিকগণকে মিথ্যা তথ্য
দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছেন। ডিলারদের প্রদানকৃত বস্তুনিষ্ঠতাবিহীন, অসত্য ও বানােয়াট তথ্য দিয়ে প্রকাশিত সংবাদের জন্য খাদ্য বিভাগ, বরিশালের
পক্ষ হতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক
বরিশাল বিভাগ, বরিশাল।