শাওন ইসলাম ঃ বরিশাল নগরীর ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা মাইনুল হক সহ দুইজনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। ১৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার বরিশালের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পলি আফরোজ বিচারাধীন আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। মাইনুলের সাথে হাজতে যাওয়া অপর অভিযুক্ত হচ্ছে পলাশপুর এলাকার মৃত্যু জয়নাল হাওলাদারের ছেলে হানিফ হাওলাদার। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন নগরীর পদ্মাবতী এলাকার বাসিন্দা আঃ রব। অভিযোগে তিনি বলেন অভিযুক্তদ্বয় তার পূর্ব পরিচিত। ২০১৪ সালে তারা চরবদনা মৌজার ডোবা জমি বিক্রির প্রস্তাব করলে তিনি রাজি হন। ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারী তিনি অভিযুক্তদের নগদ ৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা দেন। একলাখ ২০ হাজার টাকা খরচ দিয়ে ওইদিনই বরিশাল সহকারী রেজিস্টার অফিস বসে জমি দলিল করে। জমি দলিল করার পর সীমানা পিলার দিয়ে দখল বুঝাইয়া দেয়ার অঙ্গীকার করে। জমি দলিল করার পর আঃ রব দুইলাখ টাকা ব্যয়ে বালু ফেলে ডোবা ভরাট করে। অভিযুক্তদের কাছে দখল বুঝাইয়া দেয়ার দাবি জানালে তারা দেই দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে। ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর কয়েকজন সংগী নিয়ে অভিযুক্তদের কাছে গিয়ে দলিলকৃত জমির দখল অথবা তাদের দেয়া ৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা এবং খরচ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ফেরত চায়। অভিযুক্তরা জমি বিক্রির কথা অস্বীকার করে এবং টাকা ফেরত চাইলে খুন জখমের হুমকি দেয়। এধরণের অভিযোগ দেয়া হলে আদালত থানাপুলিশকে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই মোস্তাফিজুর রহমান তদন্তে সত্যতা পেয়ে ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত সমন আদেশ দিলে অভিযুক্তরা গুরুত্ব দেননি। আদালত গত ৭ জানুয়ারী মামলার চার্জগঠন করে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। অভিযুক্তদ্বয় ১৮ জানুয়ারী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানায়। বাদী আঃ রব এর সাথে তাদের আপোষ শর্তে আদালত ধার্য্য তারিখ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পেয়ে তারা বাদীর সাথে আপোষ না করে আদালতের দেয়া জামিনের শর্ত ভঙ্গ করে। ১৫ ফেব্রুয়ারী ধার্য্য তারিখে তারা আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন চায়। বাদী আপোষ না করায় জামিন বাতিল করার দাবি জানায়। আদালত বাদীর আবেদন মঞ্জুর করে অভিযুক্ত সাবেক কাউন্সিলর মাইনুল হক ও তার সহযোগী হানিফ হাওলাদারের জামিন বাতিল করে তাদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন বলে আদালত সূত্র নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য সাবেক কাউন্সিলর মাইনুল হক পলাশপুর এলাকার মৃত্যু আব্দুল মতিন বেপারীর ছেলে এবং বরিশাল জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়েদুল হক চানের ভাতিজা বলে জানায় মামলার বাদী।