#

 

#

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বিক্রির জন্য নিজ হেফাজতে ৬ শ পিস ইয়াবা রাখার অপরাধে পুলিশ কনস্টেবল মিজানুর রহমানকে ২ বছরের কারাদন্ড সহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাস কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। ২৮ ফেব্রুয়ারী অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান ঝালকাঠি জেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের তারপাশা গ্রামের মৃত্যু তৈয়ব আলী হাওলাদারের ছেলে।তিনি ডিএমপি রমনা ট্রাফিক পুলিশ বিভাগে দায়িত্বে ছিল। তার কনস্টেবল নাম্বার ১৭৪৮৭ এবং বিপি নাম্বার ৭৭৯৬১৬১৮০৪। বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় আছে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিল। তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বরিশাল বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন মেট্রো গোয়েন্দা পুলিশের এস আই নজরুল ইসলাম। অভিযোগে তিনি বলেন, ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আলম ওয়ার্কসপের সামনে অভিযান চালিয়ে মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছে থাকা ব্যাগের ভেতর থেকে ১শ পিস করে রাখা প্যাকেটের ৬ প্যাকেট থেকে ৬শ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এসময় তিনি নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেয়। মাদক সরবরাহর কোন প্রকার বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। সে পুলিশে দায়িত্ব পালন করে আইনের চোখে ধুলো দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মাদকদ্রব্য সরবরাহ ও বিক্রি করার কথা স্বীকার করে। এধরণের অভিযোগ দেয়া হলে তদন্তে সত্যতা পেয়ে একই বছর ১৭ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা বিভাগের এসআই ইউনুস আলী ফরাজি আদালতে চার্জশীট জমা দেন। রাষ্ট্রপক্ষ ১০ জনের সাক্ষ্য প্রদানে সক্ষম হয়। সাক্ষী প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত তাকে ওই সাজা দেন। রায়ে সাজা হওয়ার পরপর ওইদিনই মিজানুর আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন জানায়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে সাজাভোগে তাকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেন। পুলিশ সদস্য হওয়ার পরেও মাদক ব্যবসা করায় তার সাজা আরও বেশী হওয়া উচিত ছিল বলে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে বরিশাল আদালতের একাধিক আইনজীবী। অপরদিকে মিজানুর রহমানের সাথে অন্য এক মামলায় হাজতবাস করে জামিনে মুক্তি পাওয়া এক ব্যক্তি জানান, মিজানুর মামলা হতে খালাস পাওয়ার জন্য সাক্ষীদের মুখ বন্ধ করতে দুইজন সাক্ষীকে ৩৫ হাজার করে ৭০ হাজার টাকাও দিয়েছিল। সেই দুইজন জোড়ালো সাক্ষী না দিয়ে মিজানুরের পক্ষে কথা বলে যায়। এতে আদালত তাকে বেশী সাজা দিতে পারেনি। এদিকে সাজা হওয়ার পরপরই তিনি মামলা হতে রেহাই পেতে জরুরী ভিত্তিতে নকল সরবরাহ করে ৩ মার্চ বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফৌজদারি আপীল দায়ের করেন। একইসাথে জামিনের আবেদন করেন। জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলাম বিচারাধীন আদালত আগামী ১১ মার্চ মামলার মূল নথি তলব আপীল শুনানির জন্য দিন ধার্য্য করেন এবং জামিন আবেদন নথিভুক্ত করে রাখেন বলে আদালত সূত্র জানায়।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here