মান তালুকদারের বিরুদ্ধে দুই লাখ টাকা উৎকোচের বিনিময়ে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত এক সদস্য প্রার্থীর অবৈধ মনোনয়নপত্রকে বৈধ ঘোষনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বরিশাল আঞ্চলিক সিনিয়র নির্বাচন অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রধমধাপে উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ছিল গত বৃহস্পতিবার। ওই দিন সাতটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০টি ও সাতটি ইউনিয়নে ৭৮ জন সংরক্ষিত ও ২২৬ জন সাধারণ সদস্যপদের প্রার্থীরা স্ব-স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। শুক্রবার ছিল মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের দিন। শুক্রবার সকালে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মিজানুর রহমান তালুকদারের অফিসে মাহিলাড়া ইউনিয়নের প্রার্থীদের যাচাই বাচাই অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, মাহিলাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের পদপ্রার্থী মলিনা রানী দে’র জমাকৃত মনোনয়নপত্রে প্রার্থী, প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর নামে ভুল লেখা হয়। ফলে সকলের সামনে নির্বাচন অফিসার বিষয়টি পরে দেখা হবে বলে রেখে দেন।
ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী নাসিমা সোহানী (৪০) অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন অফিসার মিজানুর রহমান তালুকদার সকালে সিদ্ধান্ত না দিয়ে দুপুরে দুই লাখ টাকা উৎকোচ নিয়ে অবৈধ মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষনা করার মিশন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন। পরবর্তীতে ওইদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মিজানুর রহমান পূর্বে দাখিলকৃত ভুল মনোনয়নপত্রটি বাতিল করে নতুন করে তার অফিস সহকারী মিঠুনকে দিয়ে অফিসের মধ্যে নতুন করে মনোনয়নপত্র পুরন করে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষনা করেন।
নাসিমা সোহানী আরও অভিযোগ করেন, মিঠুন কর্তৃক নতুন করে ফরম পুরনের সময় আমার স্বামী রাশেদ রাঢ়ী বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করলে অফিস সহকারী মিঠুন ফরম নিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বরিশালে জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগের ব্যাপারে মোঃ মিঠুন বলেন, আমি পুরো ফরম পুরন করিনি। প্রার্থীর ভোটার নম্বর ভুল ছিলো, তাই স্যারের নিদের্শে তা সংশোধন করেছি। অভিযোগের ব্যাপারে নির্বাচন অফিসার মিজানুর রহমান তালুকদার বলেন, ছোট খাটো ভুল হলে তাতে মনোনয়নপত্র অবৈধ হয়না। তা সংশোধন করে দেয়ার বিধান রয়েছে। আমরা তাই করেছি। উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। বরিশাল আঞ্চলিক সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, অভিযোগকারী প্রার্থীকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আপীল করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গৌরনদী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান তালুকদারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকে নানা অনিয়ম, নিজ কার্যালয়কে ঘুষের আখড়া ও সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচারনের বিস্তার অভিযোগ রয়েছে।