নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বরিশাল আদালতের এডভোকেট শুভাশিষ ঘোষের কর্মকাণ্ড অনৈতিক হওয়ায় আইনজীবী সমিতির সভাপতি সম্পাদক বরাবর চিঠি দিয়েছে আদালত। ২২ মার্চ সোমবার অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক যুগ্ম দায়রা জজ শায়লা শারমিন এ চিঠি ইস্যু করেন। আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১৪ আগস্ট নগরীর নাজির মহল্লা এলাকার মৃত্যু ক্ষিতিশ চন্দ্র দাসের দুই ছেলে অশোক কুমার দাস ও গৌতম কৃষ্ণ দাস বাদী হয়ে জেলা প্রশাসককে প্রতিপক্ষ করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তাদের পূর্বে পুরুষের নিলামে কেনা ভোগ দখলীয় জমি ভিপি সম্পত্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় অবমুক্ত করার দাবি জানানো হয়। ওই মামলায় এডভোকেট শুভাশিষ ঘোষ রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী (জিপি) হিসেবে দায়িত্ব ছিলেন। তিনি রাষ্ট্রের পক্ষে ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর, ২৮ নভেম্বর, ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারী, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২৮ মার্চ ও ৩০ আগস্ট আদালতে হাজিরা দাখিল করেন। মামলাটি বর্তমানে রি কল এ সাক্ষীর জন্য ধার্য্য রয়েছে। সোমবার নির্দিষ্ট তারিখে এডভোকেট শুভাশিষ ঘোষ ওকালত নামা দাখিল করে একই মামলার বাদীদের পক্ষে হাজিরা দাখিল করেন। শুভাশিষ ঘোষের এ কর্মকাণ্ড আদালতের কাছে নৈতিকতার পরিপন্থী প্রতীয়মান হয়। এতে আদালত আগামী ৯ মে মামলার রি কল এ সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য্য করে আদেশের কপি আইনজীবী সমিতির সভাপতি বরাবর পাঠিয়ে দেন বলে আদালত সূত্র জানায়। উল্লেখ্য এডভোকেট শুভাশিষ ঘোষ বর্তমানে জিপির দায়িত্বে নেই। ওই মামলার কারনেই তাকে জিপির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় বলে আদালত সংশ্লিষ্টরা জানায়। মামলার অগ্রগতি করতে জেলা প্রশাসকের পক্ষ হতে এডভোকেট রহিম উদ্দিন খান বাদশাহকে তাকে সহযোগিতা করতে নিয়োগ দেয়া হয়। এডভোকেট রহিম উদ্দিন খান বাদশাহ আইন অনুযায়ী ওই মামলায় আদালতে দরখাস্ত দাখিল করলে এডভোকেট শুভাশিষ ঘোষ আপত্তি দাখিল করেন। এতে রাস্ট্র তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে জিপির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন।