নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যৌতুক দাবীতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে স্বামী পুলিশ সদস্য মিরাজ মিয়াসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২২ মার্চ সোমবার অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মারধরের শিকার স্ত্রী মিতু আক্তার মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মোঃ মাসুম বিল্লাহ তা আমলে নিয়ে সমন জারির আদেশ দেন। মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্যরা হলেন মিরাজ মিয়ার মা শেফালি বেগম ও বোন রেখা বেগম। পুলিশ সদস্য মিরাজ মিয়া বরগুণা জেলার ফুল তলুয়া এলাকার মৃত হেমায়েত উদ্দিনের ছেলে। সে বর্তমানে ভোলা জেলার চর নেছারাবাদ পুলিশ লাইনে নায়েক পদে কর্মরত আছেন। আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল ঝালকাঠি জেলার নলছিটি সরমহল এলাকার খলিলুর রহমানের মেয়ে মিতু আক্তারকে বিয়ে করেন নায়েক মিরাজ মিয়া। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে জমি কিনতে ৫ লাখ টাকার জন্য সে তার স্ত্রী মিতু আক্তারকে প্রায়ই মারধর করে। মিরাজ মিয়ার নির্যাতনে মিতু আক্তার ভারসাম্যহীন হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তা মিমাংশা করে দেয়। এতে ২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মিরাজ মিয়া স্ত্রী মিতু আক্তারকে ভোলা নিয়ে রাখেন। কিন্তু যৌতুক লোভী মিরাজ মিয়া কিছুদিন যেতে না যেতেই পুনরায় জমি কেনা বাবদ ৫ লাখ টাকার দাবীতে মিতু আক্তারকে মারধর শুরু করে। চলতি বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি মিরাজ মিয়া ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করলে মিতু আক্তার তা অস্বীকার করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাশুড়ি শেফালি বেগম ও ননদ রেখা বেগম তাকে শারিরীক নির্যাতন করে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এঘটনায় ওই বছর ১৯ মার্চ বরিশাল নগরীর রুপাতলী এলাকায় মিতু আক্তারের বাবার ভাড়াটিয়া বাসায় শালিস বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে শেফালি বেগম ও রেখা বেগম উপস্থিতিতে মিরাজ মিয়া পুনরায় ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। এছাড়া জমি কিনতে টাকা না দিলে মিতু আক্তারকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করার হুমকী দেয়। এঘটনায় মামলাটি দায়ের করলে বিচারক ওই আদেশ দেন।