#

 

#

নিজস্ব প্রতিবেদক|| পিরোজপুরের এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল সত্তার অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিয়ে ভাইয়ের নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।শুধু তাই নয়, পটুয়াখালী এলজিইডিতে থাকাকালীন অবস্থায় বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তাকে বদলি করে পিরোজপুরে।কিন্তু যোগদান করার দুই দিন পর ভাইয়ের আওয়ামীলীগের মনোয়নপত্র সংগ্রহ করতে ঢাকা যান এবং ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মনোনয়নপত্র নিয়ে আসেন।মনোনয়নপত্র এনে এলজিডিতে অসুস্থতার কথা বলে নিজ এলাকায় ভাইয়ের নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, নির্বাহি প্রকৌশলী আব্দুলসত্তার অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিয়ে বরিশাল রাহাত আনোয়ার হাসপাতালের ৯১২ নম্বর রুমে ভর্তি হন।কিন্তু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা না নিয়ে, সরকারি গাড়ি নিয়ে আমতলী গুলশাখালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তার ভাই অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে।ও সেখানের ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থীকে বসিয়ে দেওয়ার জন্য এলজিডির গাড়ি নিয়ে চরমোনাই জান।সেখান থেকে ব্যর্থ হয়ে আবার ফিরে আসেন।এ ব্যাপারে নয়ন নামের আরেক বাসিন্দা জানান,নির্বাহী প্রকৌশলীর পাওয়ার খাটিয়ে দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান কে বসিয়ে দিয়ে তার ভাইকে আওয়ামীলীগের মনোয়নপত্র এনে দেন।ওই ব্যক্তি আরো জানান,তার ভাইদের নামে আরো অভিযোগ রয়েছে। তার আরেক ভাই প্রফেসর খালেক ঘরপোড়া সহ আরো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে। আব্দুলসত্তার পটুয়াখালী দায়িত্বপালন অবস্থায় বড় কাজগুলো তাদের ভাইদের দ্বারা করিয়েছে এবং এলজিইডির বড় কাজগুলো ঠিকাদারদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের পেয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল সত্তারের কাছে জানতে চাইলে সে জানান,আমি অসুস্থ তাই রাহাত আনোয়ার এ ভর্তি হয়েছি। তবে হাসপাতাল থেকে বের হয়েছি অফিশিয়াল জরুরী মিটিং করার জন্য ।এ ব্যাপারে রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান,মিটিং করার জন্য বাহিরে বের হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে আরেকটি সূত্রে জানা যায়,হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে কিন্তু হাসপাতালে সে এক ঘন্টার জন্য থাকেনি। ওই সূত্রটি আরো নিশ্চিত করেছে সে নির্বাচনী মিটিং করার জন্য হোটেল আলীতে উঠেছিল ঐদিন। বরিশাল হোটেল আলীর ম্যানেজার জানান, স্যার সকাল সাড়ে আটটায় এসেছিলেন তার লোকজনের কাছে। (একথার ভিডিও রেকর্ড রয়েছে)। আমতলী গুলশাখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন ,নির্বাহী প্রকৌশলীর ছেলে সিফাত চারটি লাইসেন্সবিহীন দামি গাড়ি নিয়ে এলাকায় মহড়া দেন প্রতিনিয়ত। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য গাড়ি হল এলিয়েন, প্যারাডো (সমস্ত কথার অডিও রেকর্ড রয়েছে)। এগুলো ক্রয় করতে প্রায় কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এত টাকার উৎস কোথায়?

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here