#

আসন্ন বাকেরগঞ্জ উপজেলা ৮ নং নলুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন চার প্রার্থী। তবে স্থানীয়দের ধারণা, মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের সাথে। জনসমর্থন ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে থাকা এই দুই প্রার্থী হলেন- সাবেক চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ জিয়াউর রহমান মিরন (লড়ছেন আনারস প্রতিক নিয়ে), দলীয় প্রার্থী ফিরোজ আলম খান (লড়ছেন নৌকা প্রতিক নিয়ে) । দেশব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাকেরগঞ্জ ৮ নং নলুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা লক্ষ্য করা গেছে। এলাকাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে ভোট নিয়ে আলোচনা।

#

তবে কোথাও কোথাও প্রচার মাইক ভাঙচুর ও কর্মীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারদলীয় প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বললেও এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন স্বতন্ত্র ও বিরোধীদলীয় প্রার্থীরা। বিরোধীপক্ষের প্রার্থীর প্রচার মাইক,মোটরসাইকেল ভাঙচুর, প্রচারণায় বাধা এবং হুমকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ওই এলাকার অভি নামের এক বাসিন্দা জানান, ‘আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফিরোজ আলম খান সমর্থকরা অন্য সকল প্রার্থীর, কর্মী ও সমর্থকদের বিভিন্নভাবে ভীতি প্রদর্শন করছেন। এছাড়া, প্রচার মাইক ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। সব মিলিয়ে অন্য প্রার্থীর কর্মীরা প্রচারণা চালাতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনা জানার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফিরোজ আলম খান এর মুঠোফোনে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। সরজমিনে গিয়ে আরো জানাযায়,সাধারণ জনগণ মোঃ জিয়াউর রহমান মিরন কে এবারের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাচ্ছে। কারণ হিসেবে নয়ন নামের এক বাসিন্দা জানান,মিরন ভাই দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রথম ২০১১ সালে নির্বাচিত হন।

চেয়ারম্যান হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো,পুরো ইউনিয়নের বেরিবাদের কাজ,প্রত্যেক বাড়িতে গভীর নলকূপ বসিয়ে দেওয়া,গরিবদের জন্য পাকা স্যানিটেশন লেপটিন,পাকা রাস্তা ঘাট করা, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা মসজিদ মন্দিরের উন্নয়নমূলক কাজ করা। সরকারের কাছে আবেদন করে দুইটি ব্রিজ ও অসংখ্য কালবাট করে দিয়েছে। এছাড়াও ধর্মীয় মূলক কাজ, বাল্যবিবাহ বন্ধ, মাদক নির্মূল, বয়স্ক ভাতা সহ জনগণের জানমাল নিরাপত্তায় জন্য সে জীবন বাজি রেখে কাজ করে গিয়েছেন। শাওন নামের আরেক বাসিন্দা জানান, এবারে নৌকা যাকে দিয়েছে তার নেই এলাকায় কোন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের ছোয়া। এলাকার উন্নয়নমূলক কোন কর্মকান্ডে তাকে দেখা যায়নি। এলাকায় দলীয় কোন প্রোগ্রামে তাকে তেমন একটা দেখা যায় না। এলাকার আ’লীগ নেতা তপন মোল্লা জানান, এবারের নৌকার প্রতিকের তাকে আ’লীগৈর কোন কর্মকান্ডে দেখা যায় না। অন্যদিকে সাধারন জনগন চায় চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে সাবেক চেয়ারম্যান মিরনকে । তাই সাধারণ জনগণের ইচ্ছা রক্ষার্থে সে নির্বাচন করে। আওয়ামী লীগ পরিবারে তার জন্ম। জন্মের পর থেকেই আওয়ামী লীগকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে এসেছে। সাবেক চেয়ারম্যান থাকাকালীন অবস্থায় আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেছেন।এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ জিয়াউর রহমান মিরন বলেন, আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান,আমি বাকেরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সদস্য। আমার কোন পোস্ট দরকার নেই আমি আওয়ামী লীগের সদস্য হয়ে থাকতে চাই। সাধারণ মানুষের ইচ্ছা এবং চাওয়া পূরণ করার জন্য এবারের নির্বাচন আমি করছি।আমি শতভাগ আশাবাদী নির্বাচনে আমি জয়যুক্ত হব।কারণ সাধারণ জনগণের পাশে আমি পূর্বে ছিলাম, এখনো আছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি তাদের পাশে থাকতে চাই।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here