#

ঝালকাঠি প্রতিনিধি ::: লকডাউন ঘোষণার পরপরই ঝালকাঠির বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। লকডাউনের আগের দিনে বাজারে ক্রেতারা ভিড় জমিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই গাদাগাদি করে কেনাকাটা করছে জনসাধারণ। মাস্ক ছাড়াই ঘরের বাইরে বের হচ্ছে মানুষ। এদিকে লকডাউনের সুযোগে এক দিনের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

#

ঝালকাঠি শহরের প্রধান বাজার ও চাঁদকাঠি চৌমাথা বাজারে সকাল থেকেই মানুষের ভিড় করে কেনাকাটা করছেন। লকডাউনের খবর শুনে মানুষ এক সপ্তাহের বাজার এক দিনে করে রাখছেন। অনেকে পুরো এক মাসের বাজারও করছেন। এ সুযোগে ব্যবসায়ীরাও নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। শনিবার যে পেঁয়াজের কেজি ছিল ২৮ টাকা আজ রবিবার তা বেড়ে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫০ টাকার রসূন ৬০ টাকা। ৫০ টাকার আদা ৬০-৮০ টাকা। ১৩ টাকার আলু ২০ টাকা। সয়াবিন তেলে দামও কেজিপ্রতি বেড়েছে ৭ টাকা। ১২৮ টাকা কেজির সয়াবিন তেল বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।

এছাড়াও কাঁচামালের দামও বাড়িয়েছে বিক্রেতারা। অন্যদিকে ব্রয়লার, সোনালী ও দেশি মুরগির দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা। ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৩০ টাকা, সোনালী মুরগি ৩০০ ও দেশি মুরগি ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ৬০০ টাকার গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬২০ টাকায়। এক দিনের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করায় বিপাকে পড়েছেন অল্প আয়ের মানুষ। অনেকেই মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও লকডাউনের কথা চিন্তা করে কেনাকাটা করে যাচ্ছেন। বাজার দর নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে মাস্ক ছাড়াই এখনো ঘরের বাইরে বের হচ্ছে মানুষ। স্বাস্থ্যবিধি কোনভাবেই মানছেন না জনসাধারণ। যানবাহনেও একসঙ্গে গামিশিয়ে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।

ঝালকাঠির বড় বাজারে গিয়ে কথা হয় শহরের বান্ধাঘাটা এলাকার রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগের চেয়ে সবকিছুর দাম বেড়েছে। লকডাউনের নাম শুনেই দাম বাড়লো। লকডাউনের মধ্যে আরো দাম বাড়তে পারে বিধায় একটু বেশি কেনাকাটা করলাম।

রিকশাচালক আবদুর রহিম বলেন, দাম বাড়লে ক্ষতি হয় আমাদের মতো দিনমজুরের। আগের চেয়ে কাঁচামালেরও দাম বেশি। তেল, পেঁয়াজ, রসুন, আঁদা, মুরগি, মাছ সবকিছুর দাম বেশি। আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

ঝালকাঠি বাজার কমিটির সভাপতি লাল মিয়া বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আনার জন্য আগের চেয়ে খরচ বেড়ে গেছে। মানুষ বেশি কিনলে আমদেরও বেচাকেনা ভালো হয়। তবে বাজার দর এখনো মানুষের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here