২৫ মার্চ কালো রাত , ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার বাহিনীরা গভীর রাতে হামলা চালায় নিরস্ত্র বাঙ্গালিদের উপর করা হয় গনহত্যা । এই দিনটিকে গভীর ভাবে স্মরণ করে সকল স্তরের মানুষ । একদিকে চলছে বরিশাল মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ওয়াপদা কলোনীর টর্চার সেলে জাতির সূর্য সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন অন্যদিকে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাতের আধারে সরকারী গাছ লুট করেছে এক ছাত্রলীগ নেতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সহ সভাপতি শওকত হোসেন অপু বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সফল মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র নাম বলে সরকারের লাগানো শিশু গাছ লুট করে। এ যেনো ছাত্রলীগ নেতা নয় গাছের ব্যাপারি।
কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে গভীর রাতে সরকারি রাস্তার পাসের শিশু গাছ কাটার সময় চোখ পড়ে যায় গণমাধ্যমকর্মীদের। জানতে চাওয়া হয় কারা গাছ কাটছে এবং এত রাতে কেন? এসময় পাশের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে ওই ছাত্রলীগ নেতা। বলে উঠেন ভাইয়ের বাসার ফার্নিচারের কাজে লাগবে তাই। কোন ভাই জানতে চাইলে তিনি রেগে উঠে বলেন, সাংবাদিকতা করেন আর ভাইকে চিনেন না এটা কেমন কথা? এর পরেও জানতে চাওয়া হয় কে সেই ভাই তিনি উচ্চস্বরে বলেন সাদিক ভাই।
এরপরে গণমাধ্যম কর্মীরা বরিশালের সফল মেয়রের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি বলেন আপনারা চেষ্টা করে দেখেন। এসময় মেয়েরের নাম বলায় সাংবাদিকদের তোপের মুখে পরেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। হঠাৎ গাছ কাটা লেবারসহ দৌড়ে পালিয়ে যায় ওই ছাত্রলীগ নেতা। সাংবাদিকরা বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তিনি তার একটি মোবাইল টিম ওখানে পাঠায়। সেখানে হাজির হন বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার চৌকস উপ-পুলিশ পরির্দশক(এসআই) পিন্টু পাল।
তিনি গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে সরকারী গাছ ভর্তি নছিমন ও গাছ কাটায় ব্যবহৃত কুরাল, শাপল, গাছ কাটা করাত সহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করে জব্দ করেন। রাতে আটককৃত নছিমন থানায় নিয়ে যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলা বরিশাল মহাসড়েকর চাঁদপুরা ইউনিয়নের রায়পুরা গ্রামের সোনালী পােল ও পণ্ডিত বাড়ির মাঝ খানে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমিতে রোপিত সরকারী শিশু গাছ কাটা অবস্থায় পড়ে আছে এবং বেশ কয়েকটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চলছে সড়ক উন্নয়নের কাজ।
সড়কের জায়গা সরকার অধিগ্রহন না করায় স্থানীয়রা কাজে বাধা এবং মামলা দায়ের করেছে। যার ফলে রাস্তার উত্তর পাশে পরিধি বাড়ানোর কাজ চলছে। কিন্তু রাতের আধারে ওই ছাত্রলীগ নেতা সড়কের দক্ষিনপাশ দিয়ে গাছ কেটে নিয়ে যায়। এবিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনারা লেখেন সব ভাই দেখবে বলে ফোনের লাইন কেটে দেয়।
সদর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতার ঘটনা নিয়ে কথা হয় বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান সুজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের পরিচয়ে কেউ অপকর্ম করে তার দায়ভার আমার নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং সদর উপজেলা ছাত্রলীগ নেবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে আমাদের কোন সহযোগীতা তিনি পাবে না।
এব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, গভীর রাতে আমাদের টহলগাড়ি সরকারী গাছসহ নছিমন যাচ্ছিল পুলিশের গাড়ি দেখে পালায়ি যায় দুবৃত্তরা।এসময় আমাদের অফিসার নছিমন থানায় নিয়ে আসছে। আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।