২৫০ টাকার জের ধরে রিকশা চালক শুকুর আলীকে (২০) হত্যা করা হয়। খুনি তারই বন্ধু শাকিল মিয়া (২৩)। রোববার (০৯) ভোর রাতে বনানীপাড়া এলাকা থেকে আসামি শাকিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত শাকিল মিয়া সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামের সালাউর মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি শহরের বর্নানী পাড়া এলাকায় বাস করে। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ও নারী নির্যাতন মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান।
শাকিলকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সারাবাংলাকে সহিদুর রহমান বলেন, ‘রিকশা চালক শুকুর আলীকে চুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন শাকিল মিয়া।’
প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ৮ নং ওয়ার্ডের মল্লিকপুর এলাকার মৃত সেজুল মিয়ার ছেলে রিকশা চালক শুকুর ও শাকিল মিয়া একসময় বন্ধু ছিলেন। কিন্তু গত ছয়মাস আগে ২৫০ টাকা পয়না লেনদেন নিয়ে শুকুরের সঙ্গে শাকিলের দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এর জের ধরে গতকাল শনিবার (৮ মে) সুনামগঞ্জ পৌরসভার সামনে ডি. এস রোডে রিকশা চালক শুকুর আলীকে এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় শাকিল।
এ সময় শুকুর আলীকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় শাকিল মিয়ার বিরুদ্ধে শনিবার রাতে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত শুকুর আলীর মা জাইরুন নেছা।