নিজস্ব প্রতিবেদক ||বরিশাল নগরীতে ফিল্মি স্টাইলে আওয়ামীল,যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী মিলে এক হতদরিদ্র জমি দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর ৩ নং ওয়ার্ড পুরানপাড়া এলাকায়। ভুক্তভোগী পরিবারটি থানায় অভিযোগ করেও সুরাহা পাননি।উক্ত জমিটি নিয়ে আদালতে একটি বন্টন মামলা চলমান রয়েছে। মামলা চলমান থাকলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে
বিবাদমান সম্পত্তির চারদিকে প্রথমে বাঁশ ও টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে জোরপূর্বক কাঁচাপাকা ঘর নির্মাণ ও বৈদ্যুতিক মিটার স্থাপন করে।
ওই সন্ত্রাসী বাহিনী জোর করে অবৈধভাবে বৈদ্যুতিক মিটার স্থাপন করতে গেলে জমির মূল মালিক নিলুফা বেগম বাধা দিলে তাকে মারধর ও শ্রীলতাহানি করে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী।আহত নিলুফা বেগমের স্বামী মিন্টু জানান,
গত ২৪ শে এপ্রিল শনিবার দুপুরে বিরোধীয় সম্পত্তিটি দখলে নেয়া হয়েছে।এরপর গত ৫ ই মে কাঁচা পাকা ঘর নির্মাণ, ও আমার জমির উপরে অবৈধভাবে বৈদ্যুতিক মিটার স্থাপন করে এই সন্ত্রাসী বাহিনী। সকালে আমি(মিন্টু) অফিসে গেলে আমার স্ত্রী একা বাসায় থাকে সেই সুযোগে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী আমার জমির উপরে অবৈধভাবে বৈদ্যুতিক মিটার স্থাপন করেন। অতঃপর আমার স্ত্রী তাদের জানান, উক্ত জমি নিয়ে মামলা চলমান
আপনারা ঘর এবং বৈদ্যুতিক মিটার স্থাপন করতে পারেন না। একথা বলার সাথে সাথে আমার স্ত্রীকে মারধর ও কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ফেলে জলিল শিকদার সহ ক্ষমতাশীল দলের নেতাকর্মী জাকির, রিপন,অনিক,আনিস, রাসেলসহ আরও অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন।এ ঘটনার পর পুলিশকে জানিয়েও প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, পুরানপাড়া ৭৫৭ নং দাগ ও খতিয়ান নং ১৪২ এর সাড়ে ৬ শতাংশ
জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি ওই সম্পত্তির দাবিদার নিলুফা বেগম বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে নালিশী সম্পত্তি নিয়ে একটি মোকদ্দমা করলে
আদালত ওই সম্পত্তিতে কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ, আকার আকৃতি পরিবর্তন না করা ও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য আদেশ দেন।
এ ব্যাপারে,
জলিল শিকদার কে ফোন দিলে সে জানান, ওই সম্পত্তির তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি । নিলামকৃত জমি সে কিনেছেন।
জোর করে তিনি কারো সম্পত্তি দখল করেননি। আদালতে তার নামে জমি নিয়ে কোন মামলা নেই। সে আরও জানান, ওই জমি লিটন নামের এক ব্যক্তির কাছে সে বিক্রি করেছে। তারা হয়তো দখল নিতে পারে। ওইদিন সেখানে তিনি যাননি।মারধর এবং শ্লীলতাহানীর ব্যাপারে সে অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে নিলুফা বেগম বলেন, ওই সম্পত্তির উপরে আমি(স্ত্রী) একটি বন্টন মামলা দেই । মামলা নং৬৩/২০ আদালতে মামলাটি চলমান। মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই তারা জোর জবর দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে যা মোটেই কাম্য নয়। তাহলে তারা আদালতের থেকে বড় হয়ে গেছে।সে আরও জানান, লকডাউনে আদালত বন্ধ থাকায় তারা এই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে।এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।