#

রেগিং ও ভয়-ভীতি সহ বিভিন্ন রকমের অনিয়ম ও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠেছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট ২ এর ইনচার্জ পুতুল সুতারের বিরুদ্ধে। তার অত্যাচারে মুসলিম নার্সরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। সূত্র জানায়, পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডের ইনচার্জ পুতুল সুতার ওয়ার্ডের কর্তব্যরত হিন্দু নার্সদের আঁতাত করে মুসলিম নার্সদের সাথে উস্কানিমূলক কথাবার্তা অসৌজন্যমূলক আচরণ, রেগিং করা, এবং হুমকি-ধামকি সহ বিভিন্ন রকমের ভয়-ভীতি দেখানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

#

প্রতিনিয়ত ওয়ার্ডের দায়িত্বরত হিন্দু নার্সদের নিয়ে তার অফিস কক্ষে ব্যক্তিগত মিটিং করা এবংহিন্দু নার্সদের নিয়ে গ্রুপিং করে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নার্সদের তার আওতায় রাখার জন্য বাসা থেকে বিভিন্ন রকমের খাবার তৈরি করে এনে হিন্দু নার্সদের নিয়ে তার অফিস কক্ষে খাবারের আড্ডায় হই হুল্লোর করে থাকে বলে ও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নার্স জানায়, কোন নার্স তার আওতার বাইরে চলে গেলে তার বিভিন্ন রকমের মিথ্যা অপবাদ সহ বিভিন্ন রকমের হয়রানির শিকার হতে হয়। এছাড়াও মুসলিম নার্সদের বিভিন্ন রকমের রেগিং করে থাকে।

এবং ওয়ার্ডবয়দের কাছ থেকে প্রতিদিন নাস্তা খাওয়ার জন্য টাকা নিয়ে থাকে। এছাড়াও সাবেক পরিচালক ডা.বাকিব হোসেন থাকাকালীন পুতুল সুতারের বিরুদ্ধে সাধারন নার্সরা ও স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ(স্বানাপ) এর পক্ষ থেকে তার অনিয়ম ও নার্সদের সাথে খারাপ আচারনসহ বিভিন্ন কথা উল্লেখ করে পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছিলো। পরে পরিচালক বাকিব হোসেন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। পরে পুতুল দোষী প্রমানিত হওয়ায় তাকে সতর্ক করে দেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ। কিন্তু তাদেও তিনি থেমে নেই সহকর্মীদের সাথে খারাপ আচারন করা।

বিষয়টি জানতে হাসপাতালের সার্জারী-২ ইউনিটের দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজার হাসিনা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সার্জারী-২ ইউনিটে ১৯ জন নার্স রয়েছে। তার মধ্যে ২/৩ জন হিন্দু। বাকিরা সবাই মুসলিম। তবে ওই ওয়ার্ডের ইনর্চাজ হাচিনার নাকি মুসলিম নার্সদের সাথে তাদের ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথা বলে। এবিষয়ে আমাকে এবং নাসিং তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তারের কাছে অনেক নার্স অভিযোগ করছিলো। তিনি আরো বলেন, সাবেক পরিচালক বাকিব হোসেন স্যারের কাছে অনেক নার্স পুতুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। পরে একটি তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এবং পুতুল দোষী প্রমান হওয়ায় তাকে সতর্ক করা হয়।

পুতুল দোষী হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন জানতে চাইলের তিনি প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে বলেন ওটা দেখার দায়িত্ব পরিচালক স্যার ও নাসিং তত্ত্বাবধায়কের। এছাড়াও তার ব্যবহারে অনেক চিকিৎসকরা ক্ষিপ্ত বলে জানা গেছে।

বিষয়টি জানার জন্য নার্সিং তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তারের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি সাংবাদিক শুনে ব্যস্ত আছি বলে একটু পরে ফোন দিতে বলেন। কিছুক্ষন পরে তাকে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি ফোনটি আর রিসিভ করেনি। বরিশাল স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ(স্বানাপ) এর সাধারন সম্পাদক সাহিনা আক্তার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এবিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা। আগামীকাল হাসপাতালে আসেন সাক্ষাতে কথা হবে।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here