রাজাপুর প্রতিনিধি ॥ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা সদরের বলাইবাড়ী এলাকায় ভোর রাতে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিবাহিত তরুণীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুই নৌশ প্রহরীর বিরুদ্ধে।
গত ৩ জুলাই শনিবার ভোর রাত আনুমানিক ৪ টার দিকে স্থানীয় মো.মোশারেফ হাওলাদারের বাড়ীর সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান,শনিবার ফজরের নামাজ আদায় শেষে বাড়ী ফেরার সময় ডাক চিৎকার শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থালে গিয়ে জানতে পারি নৌশ প্রহরী দক্ষিণ রাজাপুর এলাকার মৃত্যু মন্নাফ হাওলাদারের ছেলে মনির হোসেন হাং এবং মৃত্যু হাতেম এর ছেলে আশ্রয়ণের বাসিন্দা মো.দিলু এ দু’জন মিলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক তরুণীর শ্লীলতাহানী ঘটায়।
এ সময় তরুণীর চিৎকারে বাড়ীর মালিকের ছেলে নয়ন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং দুই নৌশ প্রহরীকে হাতে নাতে আটক করে স্থানীয়দের সহযোগীতায় রাজাপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
ভুক্তভোগী বলেন,শনিবার ভোর রাতে আমি বলাইবাড়ী এলাকায় একটি ঘরের সামনে সিঁড়িতে বসে ছিলাম।
সেই সময়ে দুই জন লোক এসে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে (স্পর্শকাতর) হাত দেয় তখন আমি চিৎকার করি। আমার চিৎকার শুনে ঘরের ভিতর থেকে লোকজন বেড়িয়ে এসে তাদের ধরে ফেলে।
ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারটি সম্মানের ভয়ে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। তাই আটককৃতদের পরিবার এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যদের জিম্মায় মুছলেকা রেখে ছেড়ে দেয় থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী তরুণী পার্শবর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী এলাকার মো.ফোরকান হাওলাদারের মেয়ে।
সে গত ২৬ জুন বাড়ী থেকে কাউকে কিছু না বলে বাহির হয়ে যায়। এ বিষয়ে তার পরিবার ভান্ডারিয়া থানায় গত ২ জুলাই ২০২১ একটি সাধারণ ডাইরী করেন যার নং – ৬৮।
অভিযুক্ত নৌশ প্রহরী (স্থানীয় দোকানদার) মনির হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীকে হত্যা এবং চাচাতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা বিচারাধীন রয়েছেন।
সে বিভিন্ন সময়ে এলাকায় অনেক অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ায় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
রাজাপুর সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য মো.মামুন হোসেন জানান, মানষিক ভারসাম্যহীন ঔ তরুণীকে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় নৌশ প্রহরী দিলু ও মনির’কে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা।
আমরা ও ঘটনার সত্যতা পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেই। ঘটনাস্থানে থানা পুলিশ এসে অভিযুক্তদের নিয়ে যায় এবং ভুক্তভোগীর পরিচয় শনাক্ত করে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকারের অভিযোগ দায়ের না করার থানা পুলিশ আটককৃতদের মুচলেকা রেখে ইউপি সদস্যদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শহিদুল ইসলাম বলেন,খবর পেয়ে রাজাপুর থানা পুলিশের ওসি তদন্ত সহ একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়।
জনতার হাতে আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসে এবং ভুক্তভোগীকে সাধারণ ডাইরী মোতাবেক শনাক্তের জন্য পুলিশ সহ ভান্ডারিয়া থানায় প্রেরণ করা হয়।
শনাক্ত পূর্বক পরিবারের সদস্যদের সহ রাজাপুর থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সহ তার পরিবার কোনো অভিযোগ না দেয়ায় মুচলেকা রেখে শনিবার বিকেলে উভয় পক্ষকে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের জিম্মায় দেয়া হয়।