বরিশালে কঠোর লকডাউনেও বরিশালের রাস্তায় থেমে নেই থ্রি হুইলার মাহিন্দ্রা। আর এ লকডাউনে রাস্তা ফাঁকা পেয়ে যাত্রীদের অভিনব কায়দায় করা হচ্ছে নানা হয়রানি।
৭ জুলাই দুপুরের দিকে এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় থ্রি হুইলার মাহিন্দ্রা ড্রাইভার মোঃ আলামিন মৃধা।
জানা যায়, বাবুগঞ্জ থেকে নতুন বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন শাকিরা বেগম নামে এক নারী যাত্রী পথিমধ্যে চাঁদপাশা তালতলা নামক স্থানে গাড়ি থামিয়ে গাড়ির পর্দা টেনে গাড়ির ভিতরে ঢুকে ড্রাইভার মোঃ আল আমিন নারীকে চেপে ধরে টানাটানি করছিলেন এসময় ওই মহিলা ডাক চিৎকার দিলে লম্পট ড্রাইভার ঐ নারী ও তার সাথে থাকা দুই শিশু বাচ্চাকে গাড়ি থেকে ফেলে রেখে ব্যাগ ও মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
তার ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে তার আত্মীয় স্বজনকে খবর দিলে তারা তাৎক্ষণিক ঘটনা স্থানে উপস্থিত হন এবং তাকে উদ্ধার করে বিমানবন্দর থানায় খবর দেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিমানবন্দর থানা পুলিশের এএসআই কামাল তিনি স্থানীয়দের মাধ্যমে ও শাকিরা বেগমের নিকট থেকে প্রাথমিক ঘটনা জেনে ওই নারীকে থানায় এসে অভিযোগ দিতে বলেন। এবং তিনি সাথে সাথে থানায় যান অভিযোগ দেয়ার জন্য।
ভুক্তভোগী শাকিলা বেগম ৭ নং দেহেরগতি ইউনিয়নের বাহের চর গ্রামের মোঃ জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি বলেন আমার সাথে অশ্লীল আচরণ ও খারাপ কাজ করতে চাওয়া এ জানোয়ারের কঠিন বিচার চাই।
এদিকে এ ঘটনা কাশিপুর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক কাশিপুর ইউনিয়ন এর ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ রাসেল মল্লিক জানতে পেরে বিমানবন্দর থানার এএসআই কামাল হোসেন কে সাথে নিয়ে স্থানীয় ড্রাইভারদের মাধ্যমে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়ে লম্পট ড্রাইভার মোঃ আল-আমিন মৃধা আটক করা হয়।
লম্পট এ ড্রাইভার মোঃ আলামিন মৃধা কাশিপুর ইউনিয়নের বিহঙ্গল ৫ নং ওয়ার্ডের মোঃ কালাম মৃধা’র ছেলে ।
এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার এএসআই কামাল বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় লম্পট ড্রাইভারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।