#
 পটুয়াখালীর বাউফলে এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই তরুণী এ ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে তিন দফায় মারধরের শিকার হয়েছেন।
অচেতন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার একটি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
ওই তরুণী অভিযোগ করেছেন,তিন বছর আগে প্রতিবেশি মো. রাব্বি (২৩) নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক হয়।
সর্বশেষ গত এক মাস আগে তাঁকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে রাব্বি।বিয়ে করতে বললে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে রাব্বি।
নিরুপায় হয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে রাব্বির বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি তাঁর (রাব্বি) বাবা-মাকে জানায় এবং বিয়ের দাবিতে ওই ঘরে অবস্থান নেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাব্বির পরিবারের লোকজন ওই তরুণীকে মারধর করে ঘরের বারান্দায় ফেলে রাখে।রাতে ওই বারান্দায় ছিলেন তরুণী।
শনিবার সকালে ফের মারধর করে ঘরের সামনে উঠানে ফেলে রাখে। বিকেল বেলা ফের মারধর করা হয়। একপর্যায়ে উঠানে অচেতন হয়ে পড়েন থাকেন।
তরুণীর মা অভিযোগ করেছেন,খবর পেয়ে বিকেলবেলা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানান।
পুলিশ গিয়ে তাঁর মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
তিনি আরও বলেন,রাব্বির চাচা স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রভাবশালী। তিনি এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য বলেছেন।
বাড়াবাড়ি করলে তাঁর স্বামীকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন। তাঁর মেয়ে সুস্থ হলে এ ঘটনায় তাঁরা আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান।
এ ঘটনার পর ঘরে তালা লাগিয়ে রাব্বি ও তাঁর পরিবারের লোকজন গা-ডাকা দিয়েছেন। এ কারণে রাব্বির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে তাঁর চাচা ইউপি সদস্য (মো. শাহজাহান) মুঠোফোনে বলেন,‘শুনেছি প্রেমের সম্পর্ক ছিল।কিন্তু মেয়ের বয়স কম, ১৮ বছর হয়নি। তাই আমার পক্ষে বিয়ে পড়ানো সম্ভব না।
বিয়ে দেওয়ার বয়স না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছি। কিন্তু মেয়ের অভিভাবকেরা তা মানতে চান না।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,হাত ধরে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।মারধর ও মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ সত্য না।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন,‘তরুণীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here