#

 

#

শামীম আহমেদ : অন্তঃস্বত্তা নার্সদের করোনা মহামারীতেও কোন ছুটি নেই। ফলে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে কর্মরত অন্তঃস্বত্তা ১১১ জন নার্স প্রতিনিয়ত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখানে কর্মরত ৯২৭ জন নার্স রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে ১১১ জন নার্স (সেবিকা) অন্তঃস্বত্তা হয়ে পরলেও রোগীদের সেবায় তারা কখনও পিছু হটেননি।

সর্বদা নিজেদেরকে রোগীর সেবায় নিয়োজিত রেখেছেন। এমনকি করোনার কারণে রোগীদের চাঁপ বৃদ্ধি পেলেও সেবা দিতে তারা কখনও বিরক্তবোধ মনে করেননি।

নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে অনেকসময় উল্টো রোগী ও তাদের স্বজনদের উগ্র আচরণ- শ্লীলতাহানি এবং নানারকম অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন সেবিকারা।

তবুও তাদের (নার্স) সংসার জীবন রেখে একটা নির্ধারিত সময় ব্যয় করছেন রোগী সেবার কাজে।

শেবাচিম হাসপাতালে কর্মরত নার্স বর্তমানে অন্তঃস্বত্তা সালমা আক্তার বলেন, সরকার আমাদের জন্য ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি দিয়েছেন।

আমরা সময়মত এসব ছুটি নিয়ে থাকি। কিন্তু করোনা মহামারী সংক্রান্ত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমিসহ অন্যান্যরা অন্তঃস্বত্তা অবস্থায়ও নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, লেবার ওয়ার্ডে (পেয়িং বেড) কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স সোনিয়া আক্তার সাত মাসের অন্তঃস্বত্তা অবস্থায় করোনা পজেটিভ হয়েছেন।

কয়েকদিন আগেই আবার তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ফলে তাকে (সোনিয়া) ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি দেয়া হয়েছে।

শনিবার সকালে শেবাচিম হাসপাতালের নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট সেলিনা আক্তার বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে কর্মরত নার্সদের মধ্যে ১১১ জন অন্তঃস্বত্তা হয়ে পরেছেন।

এদেরমধ্যে পর্যায়ক্রমে ৪০ জনকে মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দায়িত্বপালন করা অন্যসব অন্তঃস্বত্তা সেবিকাদের ঝুঁকিপূর্ণ কোন কাজ দেওয়া হচ্ছেনা। তাদের প্রতি আমরা অন্যরা সবাই যতœবান রয়েছি।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here