নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল নগরীর কাটপট্টি এলাকা থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য (নেশা জাতীয় ইনজেকশনসহ) মো: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ওরফে রিপন (৪০) নামের এক ব্যাক্তিতে আটক করেছে বরিশাল গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় ওই ব্যাক্তির কাছ থেকে মোট ৩৩৮ পিস এ্যাম্পুলসহ তাকে আটক করা হয়।এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো: ফিরোজ আলম বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে যার মামলা নয়-১৩। মামলার বিবরনীতে জানাযায়, ৫ সেপ্টেম্বর রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের চৌকশ অফিসার (এসআই) মো: ফিরোজ আলম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নগরীর কাটপট্টি রোডের ১নং সিটি স্টল, থানা পুকুরের পূর্ব পাড় এলাকার এ আর মেডিসিট মার্ট ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়ে এ নেশাদ্রব্য আটক করে।এ ঘটনায় স্থাণীয় একাধিক ব্যাক্তির সাথে অনুসন্ধানকালে জানা যায়, এ আর মেডিসিন মার্ট ফার্মেসীতে দীর্ঘদিন যাবৎ এই নিষিদ্ধ মাদক (নেশা জাতীয় ইনজেকশন) বিক্রি করে আসছে। তার ঔষধ ফার্মেসীতে সাধারন ক্রেতার থেকে সবসময় তরুন ক্রেতারই ভীর লেগে থাকতো বেশি।এই নিয়ে বিষয়টি স্থাণীয় একাধিক ফার্মেসীর মালিকরা গ্রেফতারকৃত মো: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ওরফে রিপনকে প্রশ্ন সম্মুখীন করলে তিনি বলেন, এই ফার্মেসী কার তা নিয়ে আপনাদের কোন ধারনা নেই। এই ফার্মেসীর মালিক মুন্না চেয়ারম্যান। পরে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত খোজ নিয়ে জানাযায় যে গ্রেফতারকৃত মো: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ওরফে রিপন ওই ফার্মেসীর ম্যানেজার। প্রকৃত মালিক বরিশাল সদর উপজেলার ৪ নং শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান মুন্না।আর তার নেতেৃত্বেই দীর্ঘদিন ধরে ফার্মেসীর আড়ালে নিষিদ্ধ এই মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছেন ফার্মেসী ম্যানেজার রিপন। স্থাণীয় একাধিক ফার্মেসীর মালিকরা বলেন যে এই ঘটনার যেন সঠিক বিচার হয়। কারন দোষ করবে একজন আর এর দায়ভার বর্তাবে অন্যদের গায়ে তা হবার নয় তাই আমরা এর সঠিক বিচার চাই যাতে তিনি এমন কর্মকান্ড ভবিষ্যৎ এ না করতে পারেন। আর এ ঘটনায় যেহেতু একজন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর দিকে ইঙ্গিত যায় সেহেতু এই প্রতিবেদক এ ঘটনা নিয়ে ৪ নং শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দাদের সাথে আলাপকালে জানতে পারেন যে আরিফুরজ্জামান মুন্না দীর্ঘদিন যাবৎই এলাকায় গোপনে মাদক সাপ্লাই এর কাজ করে আসছে আর যার মূল টার্গেটই উঠতি বয়সী তরুন যুব সমাজ।খোঁজ নিয়ে আরো জানায়ায় যে আরিফুজ্জামান মুন্না শায়েস্তাবাদ বাজারের একাধিক ফার্মেসীতে নিষিদ্ধ মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। এ বিষয়ে আরিফুজ্জামান মুন্না এর মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন যে, ফার্মেসীতে এ্যাম্পুল বিক্রি দোষের কিছু নয় এটা রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হয়।