নিজস্ব প্রতিবেদক|| বরিশাল নদী বন্দরের বিভিন্ন অংশে প্রায় ৪ হাজার অবৈধ স্থাপনার মধ্যে মাত্র ৬০টি উচ্ছেদ করা হলেও অবশিষ্ট বিশাল এলাকা কবে জঞ্জালমূক্ত হবে তা এখনো অনিশ্চিত। প্রায় সব নদী বন্দরে গত কয়েক বছর ধরে অবৈধ স্থাপনা অপসারনের কাজ চললেও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্বম বরিশালে নদী বন্দরে তা ছিল অনুপস্থিত। অথচ এ নদী বন্দরের বিপুল পরিমান জমিতে গত কয়েক দশক ধরে পাকা-আধাপাকা অবৈধ স্থাপনা অনেকটা স্থায়ী রূপ লাভ করেছে।
১৯৫৮ সালে তৎকাললীন পূর্ব পাকিস্তান অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কতৃপক্ষ গঠনের সময় ব্রিটিশ ও ভারত যুগের আইজিএন ও আরএসএন কোম্পানী ছাড়াও পরবর্তিতে গঠিত পাকিস্তান রিভার স্টিমার্স-এর বিশাল স্থাবর সম্পদ নিয়ে বরিশাল নদী বন্দর গঠিত হলেও ক্রমে তা বেদখল হতে শুরু করে। মাঝেমধ্যে এসব সম্পদ উদ্ধারে তৎপড়তা শুরুর হলেও পরে তা স্তিমিত হয়ে যায়। এমনকি বরিশাল নদী বন্দরের জমি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সাথেও দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে।
এমনকি ২০০৭ সালে ১/১১ সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পরে কয়েকদিন এ বন্দরের কিছু এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে ঢালাওভাবে বিভিন্ন স্থাপনা অপসারন করা হলেও দিন কয়েকের মধ্যে স্থিমিত হয়ে যায়। এরপর থেকে অনেকবার বন্দরের অবৈধ স্থাপনা অপসারনের কথা শোনা গেলেও তা খুব একটা বাস্তবরূপ লাভ করেনি।
তবে অতি সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের সহায়তায় বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল নদী বন্দরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সিমিত একটি অভিযান পরিচালনা করে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশের সহয়তায় এ অভিযানে ৬০টির মত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে বন্দর কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে এখনো এ বন্দরে প্রায় ৪ হাজার অবৈধ স্থ্পনা রয়েছে স্বীকার করে তিনি এলক্ষে জেলা প্রশসনের সহায়তায় জরিপ পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান। জরিপ সম্পন্ন হলে উর্ধতন কতৃপক্ষে অনুমোদন নিয়ে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করার কথাও জানান। এলক্ষে বাজেট বরাদ্বের বিষয়টিও উল্লেখ করে তিনি বলেন, কতৃপক্ষ অবৈধ স্থাপনার ব্যাপারে কোন ধরনের আপোষ করছেন না। বরিশাল নদী বন্দরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়টি একটি চলমান প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করে বন্দর কর্মকর্তা বলেন, প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় বন্দরকে অবৈধ দখলমূক্ত করতে প্রয়োজনীয় সব কিছু করা হচ্ছে।