TT Ads

 

মোঃরাজিবুল হক(বরগুনা প্রতিনিধি):
বরগুনার বামনা উপজেলার ৫৬ নং চলাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আঃ হাই শিক্ষক পরিচিতি বোর্ড সহ বিভিন্ন জায়গায় লিখেন প্রধান শিক্ষক। তার প্রভাবে অতিষ্ট শিক্ষক, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরাও। আজ শনিবার ৩০ অক্টোবর বিদ্যালয় হল রুমে ম্যানেজিং কমিটির সভা চলাকালিন সভাপতি মোসাঃ আসমা আক্তার আর্থিক হিসাব জানতে চাইলে সভাপতি সহ সকল সদস্যদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচারন করে সভা পন্ড করে দেন প্রধান শিক্ষক এবং হুমকি দিয়ে বলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমার কোন কাজে লাগে না। আপনী সভাপতি আর বিদ্যালয়ে আসবেন না।
এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৫৬ নং চলাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিচিতি বোর্ডে আঃ হাই এর পদবী হিসেবেপ্রধান শিক্ষক লেখা আছে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত ২,৪৫০০০ টাকার খরচের কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া বিগত চার বছরে বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত অর্থও ব্যয় না করে আত্মসাত করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় বিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করে আঃ হাই নিজ ব্যাংক হিসাবে জমা রেখে ইচ্ছে মত খরচ করেছেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোসাঃ আসমা আক্তার জানান আজকে মিটিং এ ২০২০-২১ অর্থ বছরের ক্ষুদ্র মেরামত ও স্লিপের বরাদ্দকৃত টাকার খরচের হিসাব জানতে চাইলে হিসাব না দিয়ে সে সকল সদস্যদের সামনে আমার সাথে উত্তেজিত হন। তার ব্যবহারকৃত ডাইরী ও খাতা ছুড়ে ফেলে দেন এবং মিটিং পন্ড করে দেন।তিনি আরো বলেন আমাকে বাদ দিয়ে বে আইনী ভাবে সহ সভাপতিকে দিয়ে কাজ করেন। আমি বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের কথিত প্রধান শিক্ষক মোঃ আঃ হাই বলেন আর্থিক কোন অনিয়ম হয়নি এবং আজকে বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভা সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। স্কুল শুরু থেকে আমি অনেক অর্থ ব্যয় করেছি তাই পরিচিতি বোর্ডে আমার নামের সামনে প্রধান শিক্ষক লিখেছি।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্র শীল বলেন আমি বিষয়টি শুনেছি খতিয়ে দেখবো। তবে সহকারী শিক্ষক হয়ে প্রধান শিক্ষক লিখতে পারে না এটা প্রতারনার শামিল।

TT Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *