করোনা ভাইরাস মহামারিতে ছয় মাস বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) থেকে সিঙ্গাপুরে পুনরায় ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে একটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে রাষ্ট্রায়ত্ত এ উড়োজাহাজ সংস্থাটি।
বিমানের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ থেকে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা রুটে নিয়মিত শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। বিমানের মোবাইল অ্যাপ, ট্রাভেল এজেন্ট কিংবা বিমানের সেলস কাউন্টার থেকে টিকিট কেনা যাবে। শুধু প্রবাসী শ্রমিক, চিকিত্সাপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও অনুমতির সঙ্গে একগাদা শর্তও জুড়ে দিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার।
সিঙ্গাপুর সিভিল অ্যাভিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ফ্লাইটের টিকিট কেনার পূর্বশর্ত হিসেবে প্রবাসী শ্রমিকদের এজেন্সি বা স্পন্সরের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের (এমওএম) কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিতে হবে। অনুমতিপত্র পেলেই কেবল তারা টিকিট কিনে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হতে পারবেন। তবে বাংলাদেশিদের সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য করোনা ভাইরাস টেস্ট রিপোর্ট দেখাতে হবে না। কিন্তু সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পর তাদের সতর্কতা হিসেবে ১৪ দিনের জন্য একটি হোটেলে আইসোলেশনে থাকতে হবে। হোটেলে থাকার জন্য আনুমানিক ২ হাজার ২০০ সিঙ্গাপুরি ডলার খরচ করতে হবে প্রবাসীদের।
আইসোলেশনের জন্য বাংলাদেশ থেকে হোটেল বুকিং করেই কেবল সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করতে পারবেন তারা। প্রবাসীদের ভাষ্য, বাংলাদেশি প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা আইসোলেশন খরচ তাদের জন্য বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’।
এদিকে আগামী ৩ অক্টোবর শনিবার থেকে সিঙ্গাপুরে ফ্লাইট চালু করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। আপাতত এ রুটে সপ্তাহে একটি ফ্লাইট চালাবে উড়োজাহাজ সংস্থাটি। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ইউএস-বাংলা প্রতি শনিবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ছেড়ে গিয়ে পর দিন রবিবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে সিঙ্গাপুরে অবতরণ করবে। অপরদিকে সিঙ্গাপুর থেকে রবিবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করবে ও সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।