বগুড়ার শিবগঞ্জে পেঁয়াজের বাজারে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। হু হু বরে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকা সত্ত্বেও এই পণ্যটির দাম কেন বাড়ছে ক্রেতার মনে প্রশ্ন থেকেই যায়। উপজেলার বাজার গুলোতে ১৫ দিন আগেও প্রতিকেজি আমদানী করা পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা এবং দেশী জাতের পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। বর্তমানে সব ধরনের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা খেকে ১’শ টাকায়। অর্থাৎ ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। উপজেলা বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
উপজেলার মহাস্থান হাট, বুড়িগঞ্জ হাট, মোকামতলা হাট, কিচক বন্দর বাজারসহ এলাকার বিভিন্ন হাটে গিয়ে দেখা গেছে বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আছে। কিন্তু পাইকাররা চড়া দামে বিক্রি করছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবিও বলছে, গত এক মাসে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
মগাস্থান হাটে আসা কৃতা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পেঁয়াজের বাজার দেখার বোধ হয় কেউ নেই। কোরবানির সময়ও ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি। এখন সেই পেঁয়াজ এক’শ টাকা কেজি দরে কিনতে হলো। তিনি আরও বলেন, গত বছরের মতো আবারও পেঁয়াজের দাম বেড়ে আড়াই’শ-তিন’শ টাকা যাতে না হয়, সে ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগ থাকা উচিত।
বুড়িগঞ্জ হাটের সবজি বিক্রেতা ইদ্রিস আলী বলেন, মোকামে এখন পেঁয়াজের দাম বেশি। সেখান থেকে ৯৫ টাকা দরে এনে ১০০ টাকা দরে খুচরা বিক্রি করছেন তিনি। ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে বাংলাদেশেও পেঁয়াজের দাম এখন বাড়তি। আমাদের কিছুই করার নাই।
বাজারে আসা গৃহিনী তহমিনা বেগম বলেন, পেঁয়াজের যে দাম তাতে আমাদের মত গরিব মানুষের পক্ষে পেঁয়াজ কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যে আয় করি তা দিয়ে পেঁয়াজ কিনে খাওয়া কোন মতেই সম্ভব নয়। তাছাড়া বাজারে এখন সব ধরণের জিনিসপত্রের দাম বেশি। সে তুলনায় আমাদেও মতো শ্রমজীবিদের আয় বাড়েনি। এই অবস্থায় পেঁয়াজের যে হারে দাম বাড়তেছে তাতে পেঁয়াজ বাদদিয়ে রান্না করাছাড়া কোন উপায় নেই। তিনি এক কেজি কেনার ইচ্ছা থাকলেও পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ার করনে কিনেছেন দু’শ ৫০ গ্রাম।
বাঙালির রান্নার একটি অন্যতম প্রধান উপকরণ এই পেঁয়াজের দাম যে ভাবে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে এতে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছি।