TT Ads

 

আসাদুজ্জামান শেখ//বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কলস গ্রামে সাবেক প্রেমিকার মোবাইলে প্রেমিকের গোপন তথ্য থাকায়,চক্রান্ত করে তুলে এনে বন্ধুর বাসায় ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতা নারী মরিয়ম আক্তার নিশী (ছদ্মনাম) ।

অভিযোগ সুত্রে জানাযায়,বরিশালের লাকুটিয়া এলাকার ফারুকুল ইসলাম এর ছেলে অন্তু (৩০) সাথে উজিরপুর উপজেলার মরিয়ম আক্তার নিশী নামের একটি মেয়ের অনলাইনে সম্পর্ক হয়।কিছুদিন পরে নিশী জানতে পেরে ছেলেটির চরিত্র ভাল নয়,মাদকাসক্ত ও লম্পট।এমন তথ্য জানার পরে নিশী সম্পর্ক ছিন্ন করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।কিন্তু অন্তু ভিবিন্ন ভাবে নিশীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়।

বরিশালের আলোচিত-সমালোচিত ল্যাডি টিকটকার মারিয়া আক্তারকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করে। মারিয়া অন্তুর সোর্স হিসেবে নিশীর সাথে ফেইসবুকে বন্ধুর সম্পর্ক তৈরী করে।গত ৪ নভেম্বর মারিয়া অন্তুর হৃদয় উজিরপুর জান। হৃদয়ের বাসা কাশিপুর ইউনিয়নের কলস গ্রামে। নিশীর উজিরপুরের বাড়িতে গিয়ে মোবাইল করে অনুষ্ঠানের কথা বলে বাসা বের হতে বলেন মারিয়া।

নিশী বের হলে মারিয়া,অন্তু ও রিদয় মিলে ছক করে বরিশালের এয়ারপোর্ট থানাধীন কাশিপুর ইউনিয়নের কলস গ্রামের অন্তুর বন্ধু রিদয়ের বাসায় আটকে রেখে মারধর করে,এবং কৌশলে নেশা খাইয়ে দেয়া হয় ও ধর্ষণ করে।
পরের দিন ৫ ই নভেম্বর দুপুরের দিকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি সুজোক বুজে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী এয়ারপোর্ট থানায় এসে অভিযোগ করেন।

এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন মহিলা পুলিশ দিয়ে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করে মামলা রুজু করতে বলেন এবং আসামীদের গ্রেফতার করার আদেশ দেন।যার মামলা নং ০৯/০৫নবেম্বর ২৫।
অভিযোগকারী মেয়ে মরিয়ম আক্তার নিশীকে সাথে নিয়েই বিমানবন্দর থানার এস আই আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযানে নামে।প্রথমে ভিকটিমের তথ্য অনুযায়ী অন্তুর বন্ধু ও যেই বাসায় ধর্ষণ করা হয়েছে সেই বাসা থেকে রিদয়কে গ্রেফতার করেন,পরে রিদয়ের স্বীকারোক্তি অনুসারে অন্তুকে হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা হতে গ্রেফতার করে বিমানবন্দর থানা পুলিশ।এই ঘটনার সাথে জড়িত অন্যতম সদস্য মারিয়া আক্তার এখনো পালাতক রয়েছে।

এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,নিশী নামের একটি মেয়ে থানায় এসে ধর্ষণ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন,আমরা ঘটনাটি আমলে নিয়ে মামলা নেই,এবং ধর্ষক সহ দুইজন আমরা গ্রেফতার করি এবং এর সাথে জড়িত অপর একজন মারিয়া আক্তারকেও গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এ বিষয়ে ভিকটিমের এক ভাই(কাজিন) তুষার জানান,অন্তু নামের ছেলের পুর্বে এক স্ত্রী ও সন্তান আছে,একাধিক মামলার আসামি। সেই স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হয়ে যায়।ডিভোর্স হয়ে যাওয়া স্ত্রীর খোজ এবং সন্তানের কাছে যেতে নিশীর সাথে পরিচয় হয়,এবং নিশীও ডিভোর্স প্রাপ্ত জেনে সেই সুজোক কাজে লাগিয়ে ভিবিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিশীর সাথে সম্পর্ক করেন অন্তু।নিশী যখন জানতে পারে অন্তু একজন মাদকাসক্ত তখন অন্তুর থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।তখন অন্তুর একটি গোপন ভিডিও নিশীর মোবাইলে ধারন করা ছিলো।সেই গোপন ভিডিও নেওয়ার জন্য এত পরিকল্পনা করে নিশীকে তুলে আনে,এবং ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে অন্তুর বন্ধু রিদয়ের মা জেসমিন বেগম জানান,ঘটনার দিন তিনি এবং তার ছোট ছেলে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলো।ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না,তবে তার ছেলে ধর্ষনের সাথে জড়িত নন বলে দাবী করেন রিদয়ের মা।
এদিকে ধর্ষকদের ছারাতে বেশ কয়েকটি মহল ভিবিন্ন ভানে তদবির চালাচ্ছে।সাংবাদিকদের উপস্থিতির কারনে তাদের সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়।

এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন আসামীদের সকালেই চালান করে দেওয়া হবে।এটা সমাজের জন্য একটা বেদী। কোন অসাধুচক্রকে তদবির কিংবা ছারানোর সুযোগ দেওয়া হবে না।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভিকটিমকে শেরই বাংলা মেডিকেলে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে মেডিকেল টেষ্টের জন্য।এবং আসামীদের ডিএন এ টেষ্ট করানো হবে,যাদের প্রমান মিলে যাবে তাদের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানান ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

TT Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *