মাত্র পাঁচশত টাকার জন্য চিকিৎসা পায়নি কিশোর মৎস শ্রমিক ইয়ামুন মুন্না। ঘটনাটি গতকাল বরিশাল সদর হাসপাতালের চিত্র।
সূত্রে জানা যায়, নগরীর পলাশপুর ৭নং এম হোসন গলির সিরাজ হাওলাদারের ছেলে কিশোর মুন্না পোর্ট রোডে বিভিন্ন মৎস আড়তে নিয়মিত শ্রমিকের কাজ করে। গতকাল বুধবার সকালে কাজ করার সময় অসাবধানবশত তার শরীরের পেটের বামপাশে একটি মাছের কাঁটা ঢুকে যায়। অনেক চেষ্টা করেও মুন্না’র পেটের কাঁটা বের করা সম্ভব হয়নি। একপর্যায়ে কাঁটাটির একমাথা ভেঙ্গে তার পেটের ভিতর থেকে যায়। পরে কাঁটার ব্যাথায় অবস্থা গুরুতর হলে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় তাকে বরিশাল সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে কর্তব্যরত ব্রাদার চঞ্চল জানায়, পাঁচ শত টাকা না হলে কাঁটা উঠানো সম্ভব নয়। মৎস্য শ্রমিক মুন্না জানায় তার কাছে কোন টাকা পয়সা নেই। এতে ব্রাদার চঞ্চল তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যেতে বলে। আমি গরীব, টাকা পয়সা নাই তাই সরকারি হাসপাতালে এসেছি বলে অনুরোধ করার পরও মন গলেনি ব্রাদার চঞ্চল’র। ব্রাদার চঞ্চল পুনরায় তাকে চলে যাওয়ার হুমকি দিতে থাকে।
তখন অসহায় দরিদ্র মৎস শ্রমিক কিশোর মুন্না কাঁটার ব্যাথায় কাঁদতে থাকলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি ব্রাদার চঞ্চলকে চিকিৎসার জন্য টাকার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের এতো মায়া লাগলে টাকা আপনারা দেন। এখানে টাকা ছাড়া তার কাঁটা উঠানো সম্ভব নয়।
এদিকে পুরো ঘটনাটি স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী তার মুঠোফোনে ভিডিও ধারন করেন।
ব্রাদার চঞ্চল’র এহেন সেচ্ছাচারিতা বরিশাল সদর হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। পরে কিশোর মুন্নাকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার পেটের ভিতর ঢুকে যাওয়া মাছের কাটাটি বিনামূল্যে উঠিয়ে দেন।