বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় গত সেপ্টেম্বর মাসে ২৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩২ জন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরো ২৫ জন।
এর আগে আগস্ট মাসে এই বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ২২টি। এতে মারা গেছেন ১৯ জন। আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে দুর্ঘটনার পাশাপাশি বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে, বরিশাল জেলায় ৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১২ এবং আহত হয়েছেন ১০ জন। দুর্ঘটনার মধ্যে কাভার্ডভ্যান, এ্যাম্বুলেন্স-বাস মুখোমুখি সংঘর্ষ, মোটরসাইকেল, ট্রলি, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক রয়েছে। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে মহাসড়কে সাতটি আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কে একটি করে দুইটি।
ভোলায় সাতটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাত এবং আহত হয়েছেন পাঁচজন। দুর্ঘটনার মধ্যে মোটরসাইকেল, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও বাস রয়েছে। জেলার মহাসড়কে একটি, আঞ্চলিক সড়কে দুইটি ও গ্রামীণ সড়কে চারটি দুর্ঘটনা ঘটে।
পটুয়াখালীতে পাঁচটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছয় এবং আহত হয়েছেন চার জন। বিভাগের আরেক জেলা ঝালকাঠিতে, তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিন এবং আহত হয়েছেন চারজন। এছাড়া বরগুনায় তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। পিরোজপুরে গ্রামীণ সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়।
বরিশাল বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যার বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান জানান, বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে একের পর এক ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। সড়কগুলোতে পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহনের বেপরোয়া গতি এবং মোটরসাইকেল ও স্বল্পগতির যানবাহনের অবাধ চলাচলের জন্যই এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ এবং গণ-পরিবহন খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করছেন এই নির্বাহী পরিচালক।