মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ-ফরিদপুর-বরিশাল-কুয়াকাটা রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহন বাস ও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ইটভাঙা মেশিনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ২জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। নিহতরা হলো মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের বদরুদ্দিনের ছেলে ওয়াসিম (২৮) এবং তারই অপর এক আত্মীয় চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে জাফর (৩২)। তবে নিহত জাফর বর্তমানে আমঝুপি গ্রামেই বসবাস করতো। বৃহস্পতিবার (১৫ই অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি এলাকার একটি মাঠের নিকট এ দুর্ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে আমঝুপি গ্রামের আব্দুল জব্বারের শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ইটভাঙা মেশিন নিয়ে গাড়িটির চালক ও ১জন শ্রমিক গাড়িটি মেরামত করার জন্য যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়৷ পথিমধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি এলাকায় পৌঁছালে কুয়াকাটা থেকে ছেড়ে মেহেরপুরগামী রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহন বাস (ঢাকা মেট্রো ব ১৫-৩৮৬৩) এর সাথে ইটভাঙা মেশিন গাড়িটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই গাড়িতে থাকা দু’জন নিহত হন। ইটভাঙ্গা মেশিনের সাথে সংঘর্ষের পর বাসটি সড়কের পাশের একটি গাছের সাথে ধাক্কা মারে। এতে বাসের ও কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। আহতদের নেওয়া হয় হাসপাতালে। তবে দুর্ঘটনার পরপরই বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার পালিয়ে যায়।দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহনের অতিরিক্ত গতি এবং ইটভাঙা গাড়িতে হেডলাইট না থাকার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া একইদিনে যশোরের চৌগাছা টু ঢাকা রুটে চলাচলকারী রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহনের অপর একটি বাস ফরিদপুর এলাকায় একটি আলমসাধুর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের পর সড়ক থেকে বাসটি ছিটকে মাটিতে পড়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কোন নিহত বা আহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ বাজারে রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহন বাসের ধাক্কায় ১০জন নিহত হওয়ার পর থেকে দুর্ঘটনা কোনভাবেই বাস কোম্পানিটির পিছু ছাড়ছে না।