বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। আর ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যাও ১১ লাখ ছাড়িয়েছে।
এক বছরেরও কম সময় আগে চীনে প্রথম এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় ও তা দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের বিভিন্ন বস্তি ও ব্রাজিলের বিভিন্ন জঙ্গল এলাকা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম নগরী নিউইয়র্কের জনজীবনে এর ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
গত বছরের ডিসেম্বেরর শেষের দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে তাণ্ডব চালাচ্ছে এই ভাইরাস। সংক্রমণ শুরুর দেড় মাসের মধ্যে এন্টার্কটিকা বাদে সব মহাদেশেই ধরা পড়ে রোগী।
পরে গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
জরিপ পর্যালোচনাকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের আজ সোমবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টার তথ্য অনুসারে, বৈশ্বিক এ মহামারিতে আক্রান্তের হার দ্রুত বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে চার কোটি ২ লাখ ৮১ হাজার ৫৬২ জন। আর বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৩২৬ জনে। ভাইরাসটিতে আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে তিন কোটি এক লাখ ১৬ হাজার ৩৫৫ জন।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় সবার উপরে যুক্তরাষ্ট্র। সবচেয়ে বিপর্যস্ত এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭৯৯ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ২৪ হাজার ৭৩০ জনের।
বিশ্বে মৃতের দিক থেকে এর পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ব্রাজিল, ভারত, মেক্সিকো ও ব্রিটেন।
করোনায় আক্রান্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি করোনার ভয়াবহতার শিকার হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার জনবহুল এ দেশটি। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ২৭৩ জন ও মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৬৪২ জনের।
করোনায় বিশ্বে মৃতের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে ভাইরাসে এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৫২ লাখ ৩৫ হাজার ৩৪৪ জন ও মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৫৩ হাজার ৯০৫ জনের।