বরিশালে পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির মামলায় জেল হাজতে যাওয়ার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মোল্লা লিটনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান।
বহিষ্কার হওয়া কামাল হোসেন মোল্লা লিটন সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল জেলা টেম্পু মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি।
ইউএনও মুনিবুর রহমান বলেন, পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলা এবং ওই মামলায় তাকে জেল হাজতে প্রেরণের ঘটনায় ৩ নভেম্বর কামাল হোসেন মোল্লা লিটনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এছাড়া আগামী ১০ দিনের মধ্যে কেন তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না সেই কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। আমাদের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের জবাব মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর পরিবহন কাউন্টারগুলোতে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে কামাল হোসেন মোল্লা লিটনের বিরুদ্ধে। সেই সূত্র ধরেই গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাস কাউন্টার থেকে চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে গত ২২ জুলাই রাতে কাউন্টার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম বাসায় যাবার পথে লিটন মোল্লার নির্দেশে অনুসারীরা চাঁদার টাকা দাবি করে মারধর করে।
এ সময় লিটন মোল্লার লোকজন ইনচার্জের সঙ্গে থাকা ২ লাখ ৪৩ হাজার ৯শ’ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় লিটন মোল্লাকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা করে কাউন্টার ইনচার্জ। এদিকে ৯ আগস্ট বিএমএফ কাউন্টারে চাঁদাবাজিকালে কামাল হোসেনের শ্যালক কামরুলকে আটক করে পুলিশ।
পরে ওই ঘটনায় মামলাও আসামি করা হয় কামাল হোসেনকে। ওই দুই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ সেপ্টেম্বর বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কামাল হোসেন আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।