বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সমাজকল্যান বিভাগ ভাঙচুর এবং কম্পিউটার অপারেটর মিজানুর রহমান বাচ্চুকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় চার ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, আলিফ হোসেন, আশিক ফকির, শাকিল খান ও পনি। এরা সকলেই ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের ওসি নুরুল ইসলাম।

তিনি জানান, সকাল ৯টার দিকে ব্রজমোহন কলেজের সামনে থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়। এরা সকলেই কলেজের আশপাশ এলাকার বাসিন্দা।

হামলার ২১দিন পর প্রথম এই চারজনকে গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১টার দিকে ২৫-৩০ জন মুখোশধারী যুবক বিএম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের হামলা চালিয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কক্ষসহ অন্যান্য কক্ষগুলো তছনছ করে। হামলাকারীরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে সমাজকল্যান বিভাগের বিভাগীয় কম্পিউটার অপারেটর মিজানুর রহমান বাচ্চুকে। এ ঘটনায় বাচ্চু অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

বরিশালের বাকেরগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার ৪ নাবালক শিশুকে অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ইতোমধ্যে এ নির্দেশ বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।

বৃহষ্পতিবার রাতে হাইকোর্টের নির্দেশে বরিশালের শিশু আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই নির্দেশ প্রদান করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান।

তিনি আরো জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে বরিশাল শিশু আদালত ওই শিশুদেরকে তাদের পরিবারের কাছে পৌছে দেয়ার আদেশ দেন। সেই নির্দেশ বাস্তবায়নে রাতেই কাজ শুরু করেছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। যশোর জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করে পুলের হাট শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে ওই চার শিশুকে বরিশাল আনার ব্যবস্থা করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিকে ওই চার শিশুর মুক্তির আদেশ ইতোমধ্যে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এই মুক্তির আদেশ রাতেই যশোরের পুলের হাট কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পৌছে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য গত ৪ অক্টোবর বরিশালের বাকেরগঞ্জের রঙ্গশ্রী ইউনিয়নে এক কন্যা শিশু চার ছেলে শিশুর সাথে খেলাধুলা করছিলো। এরপর কন্যা শিশুর বাবা গত ৬ অক্টোবর বাকেরগঞ্জ থানায় ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৪ নাবালক শিশুকে গ্রেফতার করে ৭ অক্টোবর আদালতে সোপর্দ করে। আদালত ওই শিশুদের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ গনমাধ্যমে বৃহষ্পতিবার প্রচারিত হলে এটি উচ্চ আদালতের দৃষ্টি গোচর হয়, তারই প্রেক্ষিতে আদালত স্ব-প্রণোদিত হয়ে নাবালক ৪ শিশুকে পিতা-মাতার পৌছে দেয়ার নির্দেশ দেন।

৪ শিশু হলো, সাইদুল ইসলাম, সোলাইমান ইসলাম তামিম, মোঃ হাফিজুল ইসলাম লাবিব, মোঃ শাওন হাওলাদার।

 

বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রদবদল করা হয়েছে। তারা হলেন- ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার ও আফজাল হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আ. রব হাওলাদার এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এক আদেশে গৌরনদী মডেল থানায় কর্মরত ওসি মো. গোলাম ছরোয়ারকে আগৈলঝাড়া থানায় এবং আগৈলঝাড়া থানার ওসি আফজাল হোসেনকে গৌরনদী মডেল থানায় বদলি করা হয়েছে।

অপরদিকে, দায়িত্বপ্রাপ্ত থানায় যোগদানের পরপরই থানা এলাকার আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণ ও জনমানুষের সেবায় নিজেদের আত্ম নিয়োগ করতে সব নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।

দেশব্যাপী অব্যাহত নারী ও শিশু নির্যাতন ও ধর্ষনের প্রতিবাদে বরিশালে পৃথক প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে অশ্বিনী কুমার হল সংলগ্ন বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে বরিশাল মহানগর বিএনপি। প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও নগর বিএনপি’র সভাপতি এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার।

সভাপতি’র বক্তব্যে সরোয়ার বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনা সরকার সম্পূর্ন রুপে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। নিশি রাতের ভোটে সরকার গঠন করে দেশে দূর্নীতি, লুটপাট, খুন, ধর্ষন এর রাজত্ব কায়েম করে চলছে। তারা সর্বত্র দখল দারিত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে গনতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তিনি বলেন ফ্যাসিবাী সরকার পরিবর্থন ছাড়া দেশের মানুষ শান্তি পাবেনা। তাই বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে মানুষের ভোটের অধিকার আর গনতন্ত্রকে ফিরিয়ে দেওয়ার জোরদার আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার আহবান জানান সরোয়ার।

আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দরা বলেন, এতদিন আমরা জনগনের ভোটের অধিকারের জন্য রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আজ আমরা আন্দোলন করছি মা বোনদের ইজ্জতের জন্য। নির্যাতন , ধর্ষনের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীকে হুকুমের আসামী করা হবে। জনগনের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে শেখ হাসিনাকে। নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, ঐই সৈরাচারি সরকার বিএনপি নেতৃবৃন্দের উপর একের পর এক মামলা দিয়ে আন্দোলন দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু এখন আর বসে থাকলে হবেনা সকল নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

প্রতিবাদ সমেবেশে বক্তব্য রাখেন, জাতীয়তাবাদী ল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট আবুল হোসেন খান , বরিশাল মহাগর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সিকদার, এ্যাডভোকেট আলী হায়দার বাবুল, মহানগরের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবুল কালাম আদাজ, যুবদল মহানগরের সাধারন সম্পাদক মাসুদ হাসান মামুন, শ্রমিক লের মহানগরের সাধারন সম্পাক ফয়েজ খান সহ  অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।

এদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে একই দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বরিশাল উত্তর ও ক্ষিন জেলা বিএনপি। উত্তর জেলা বিএনপি’র সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জাতীয়তাবাদী  বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট আবুল হোসেন খান, উত্তর জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস ছত্তার খান, জেলা যুবদলের সভাপতি পারভেজ আকন বিপ্লব প্রমুখ।

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন ৪ টি বিমান আসা যাওয়া করে। বিমানে যাতায়াতরত যাত্রিদের আসতে হয় বিভিন্ন যানবাহনে। আর এইসব যানবাহন থেকে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য সরকার নির্ধারিত চার্জের চেয়ে দ্বিগুণ টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রতিদিন প্রায় কয়েকশত যানবাহন মাইক্রো, প্রাইভেট কার, মটর সাইলেল, মাহিনদ্র থেকে সরকার নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে দ্বিগুণ টাকা নিচ্ছে।

সরকারের চোখকে ফাকি দিয়ে এভাবে দিনের পর দিন জনগন কে ঠকিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলি। সরকারি রেট অনুযায়ী মোটর সাইকেল, নেওয়ার কথা ১৫ টাকা সেখানে তারা নিচ্ছে ২০ টাকা। বাস,মনিবাস,ট্রাক থেকে নেয়ার কথা ৬০ টাকা সেখানে নিচ্ছে ৮০ টাকা, মাইক্রো থেকে নেয়ার কথা ৩০ টাকা সেখানে নিচ্ছে ৫০ টাকা, এমনি ভাবে সব যানবাহন থেকে বেশিকরে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এ বিষয়ে জানতে ইজারাদার মানু মিয়া বলেন আমারা ৩ জন শেয়ারে ইজারা নিছি ভাই এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না আরো ২ জন আছে তাদের সাথে কথা বলেন। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক উজ্জল এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন,আমি তাদের সরকারি রেট অনুযায়ী টাকা নিতে বলেছি কিন্তু তারা যদি বেশি নেয় সে ব্যাপারে আমি অবহিত নয় আপনারা নিউজে যা লেখার লিখতে পারেন। বিমান বন্দরের ম্যানেজার রথিন্দ্রনাথ চৌধুরী বলেন, এটা তেমন কোন বিষয় না তবে অভিযোগ পেলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তিনি জানাবেন এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন।

অনলাইন ডেস্ক :: ধর্ষণের শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করে সংশোধিত ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ এর খসড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) এ তথ্য জানান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, এখন ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবির মধ্যে সরকার এই পদক্ষেপ নিল।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনের জন্য একটি প্রস্তাব আগামী মন্ত্রিসভা বৈঠকে যাচ্ছে। মূলত আইনের ৯(১) ধারায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এই ধারায় ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করে প্রস্তাব দেয়া হবে। এই আইনের আরও কয়েকটি স্থানেও ছোট ছোট পরিবর্তন আনা হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আইন সংশোধনের এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।’

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে। এর মধ্যে গত ৪ অক্টোবর নোয়াখালীতে গৃহবধূকে (৩৭) বিবস্ত্র করে নির্যাতনের এক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। যদিও গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটেছিল।

এই ঘটনা জানাজানির পর ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আন্দোলনকারীরা ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানিয়েছে।

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর গ্রামের এক শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরী (১৫) ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম (৫০) উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাটাজোর গ্রামের আরজ বেপারীর ছেলে। তিনি এ পর্যন্ত তিনটি বিয়ে করেছেন। সিরাজুল ইসলাম চার সন্তানের জনক। তবে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে সব স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন।

স্থানীয়রা জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা দিনমজুর। প্রতিদিন সকালে দিনমজুর বাবা কাজে বেরিয়ে যান। এই সুযোগে প্রতিবেশী সিরাজুল ইসলাম কয়েক মাস ধরে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

কিশোরীর বাবা অভিযোগ করেন, আমার মেয়ে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। কয়েকদিন আগে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বুধবার তাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাই। চিকিৎসক বলেন আপনার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা।

চিকিৎসকের কাছ থেকে বাড়ি ফিরে মেয়ের কাছে বিষয়টি জানতে চাই। তখন সিরাজুল ইসলামকে দেখিয়ে দেন। মেয়ে জানায় টাকা দেয়ার কথা বলে সিরাজুল তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এ ঘটনা জানার পর মামলা করার উদ্যোগ নিলে বিষয়টি গোপন রাখার জন্য সিরাজুল ইসলাম ও তার লোকজন দিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। এলাকার প্রভাবশালী কয়েকজন সিরাজুলের পক্ষে থাকায় এবং আমরা গরিব হওয়ায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছি না।

বাটাজোর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, বিষয়টি আমার কানে এসেছে। বর্তমানে আমি এলাকায় নেই। দুপক্ষকে অপেক্ষা করতে বলেছি। এলাকায় ফিরে এসে উভয়পক্ষের কথা শুনে মীমাংসা করা হবে।

বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল রব হাওলাদার বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ সালিশে মীমাংসার যোগ্য নয়। এটি আইন আদালতের বিষয়। এ ধরনের ঘটনা সালিশ করে মীমাংসা করা যাবে না।

গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের ওসি আফজাল হোসেন বলেন, আমি দুপুরে এ থানায় যোগদান করেছি। এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। তারপরও যখন শুনলাম, বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

অনলাইন ডেস্ক :: প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গোলজার হোসেন (৩৫) নামে নাটোরের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ অক্টোবর) রাতে পাবনার চাটমোহর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) গোলজারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চাটমোহর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।

গ্রেফতার গোলজার নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে ও জোনাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের ওই প্রবাসী দুই বছর আগে ইরাকে পাড়ি জমান। সেখান থেকে তিনি তার স্ত্রীর কাছে নিয়মিত টাকা পাঠাতেন। এরই মধ্যে পাশের নাজিরপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা গোলজার হোসেন ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তা প্রচারের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন গোলজার হোসেন।

গত এক মাস আগে ওই প্রবাসী দেশে ফিরে আসেন এবং টাকা-পয়সার হিসাব চান। তার স্ত্রী জানান- গোলজারের কাছে পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা রাখা আছে। তিনি টাকা চাইলে গোলজার তালবাহানা করতে থাকেন। গত ২ অক্টোবর তার স্বামী আবারও টাকা চাইতে গেলে গোলজার ও তার লোকজন তাকে পিটিয়ে আহত করেন। এ নিয়ে থানায় তিনি একটি অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

তিনি আরও জানান, বুধবার বিকেলে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সালিশে ওই গৃহবধূ ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ করেন। কিন্তু ধর্ষণের বিষয়টি আপসযোগ্য না হওয়ায় সালিশ ভন্ডুল হয়ে যায়। পরে ওই গৃহবধূ থানায় ধর্ষণের মামলা করলে রাতেই পুলিশ আসামি গোলজার হোসেনকে গ্রেফতার করে। পরে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

জোনাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, গোলজার যে কাজ করেছে তাতে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরা তাকে দল থেকে বহিষ্কারের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

 

অনলাইন ডেস্ক :: পাথরবোঝাই ট্রাকের ভেতর ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল পাচারের সময় জোহরুল মন্ডল (২৪) নামে এক ভারতীয় ট্রাকচালককে আটক করেছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক ট্রাকচালক জোহরুল মন্ডল ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগোনা জেলা সদরের ইটিন্ডা আথাপুরপূর্ব গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে।

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার জানান, ভোমরা বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার মো. শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা একটি পাথরবাহী ট্রাকের চালকের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে তল্লাশি চালিয়ে ট্রাকের ভেতর থেকে ৯১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, ভারতীয় ট্রাকচালক জোহরুল মন্ডলকে আটক, ট্রাক ও পাথর জব্দ করে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন সহ সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষন ও নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো বিক্ষুব্ধ বরিশালবাসী।

৮ ই অক্টোবর বৃহঃবার সকাল ১১টায় সম্মিলিত সেচ্ছাসেবী সংগঠন ঐক্যের ব্যানারে নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে গনঅবস্থান ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মিলিত সেচ্ছাসেবী ঐক্য পরিষদের সংগঠন গুলো হলো বরিশালের লাভ ফর ফ্রেন্ডস,বন্ধু মহল ব্লাড ডোনার্স ক্লাব,সবুজ বাংলা সোসাইটি,ব্লাড ডোনেশন গ্রুপ বরিশাল,মোঃ নজরুল ইসলাম পলি বেগম সোসাইটি,বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বরিশাল জেলা ইউনিট,ফ্রেন্ডস সার্কেল ব্লাড ডোনার্স ক্লাব বরিশাল,রত্নপুর ব্লাড ডোনার্স ক্লাব,জি এম গ্রুপ অর্গানাইজেশন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন সেচ্ছাসেবী সংগঠন লাভ ফর ফ্রেন্ডসের প্রতিষ্ঠাতা পারভেজ সিকদার,চৈতি খানম সহ-সভাপতি ব্লাড ডোনেশন গ্রুপ,মেহেদী হাসান লাবু পরিচালক ফ্রেন্ডস অফ ব্লাড,রবিউল ইসলাম শান্ত,দীপ্তি রানী ঘোষ প্রভাষক অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়,ফারিয়া রেজা ফ্রেন্ডস সার্কেল ব্লাড ক্লাব,তানভীর চেয়ারম্যান জি এম গ্রুপ অফ অর্গানাইজেশন।

গনঅবস্থান ও মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীদের একটি শান্তিপূর্ন মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।

মানববন্ধনে সম্মিলিত সেচ্ছাসেবী সংগঠনের আহ্বায়ক হিসেবে সভাপতিত্ব করেন এইচ এম নকিকুল ইসলাম সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম পলি বেগম সোসাইটি।

বক্তারা সারা দেশে অব্যাহত নারী ধর্ষন ও অমানবিক নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানান। তারা ধর্ষন ও নারী নির্যাতনে অভিযুক্তদের সনাক্ত করে গ্রেফতার সহ দৃস্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।