বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় বিয়ে করাতে দেরি হওয়ায় ছেলের হাতে খুন হয়েছেন বৃদ্ধ বাবা। এ ঘটনায় ছেলে নেপাল শীল (২৬) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুর ২টার দিকে হাতেমপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

নিরঞ্জন শীল (৬০) পাথরঘাটার উত্তর হাতেমপুর এলাকার বাসিন্দা।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরে নিরঞ্জন শীলের ছেলে নেপাল শীলের (২৫) বিয়ের কথা চলছিল। এর মধ্যে কয়েকধাপে বেশ কয়েকজন পাত্রী দেখা হলেও বিয়ে করা হয়নি নেপালের। এতে নেপাল পরিবারকে দোষারোপ করতে থাকেন। এরই জেরে আজ (৭ জুন) সকাল ১০টার দিকে বাড়িতে বসে কথা কাটাকাটি হয় নিরঞ্জন শীল ও তার ছেলে নেপালের মধ্যে। একপর্যায়ে নেপাল খাটের তক্তা দিয়ে বাবা নিরঞ্জন শীলের মাথায় আঘাত করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় নিরঞ্জনকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্বজনেরা।

নিরঞ্জন শীলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বরিশালে রওয়ানা হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাথরঘাটার তালতলা বাজারে পৌঁছালে নিরঞ্জনের মৃত্যু হয়।

নিরঞ্জন শীলের স্ত্রী রাধা রানী বলেন, আমার ছেলে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। সে তার ফুফু বিউটি রানীর প্ররোচনায় এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ আছে। আমি এর বিচার চাই।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত নেপাল শীলকে ঘরে আটকে রেখেছিল স্থানীয়রা। পুলিশ গিয়ে তাকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। নিহতের মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।’

 

কলেজ ছাত্রীকে অব্যাহত যৌণ হয়রানীর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জেলার গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ দুই বখাটে যুবককে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরনদী মডেল থানার এসআই মোঃ গাফ্ফার জানান, গ্রেফতারকৃতরা হলো-উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের ফয়সাল খান (২৮) ও বেল্লাল খান (২১)।

এজাহারে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন থেকে ওই কলেজ ছাত্রীকে যৌণ হয়রানী করে আসছিলো। এরইমধ্যে গত ৩ জুন দিবাগত রাতে কলেজ ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাহিরে বের হলে ওৎপেতে থাকা বখাটে ফয়সাল ও বেল্লাল ছাত্রীকে ঝাঁপটে ধরে যৌণ নির্যাতন করে।

এসময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রী।

 

হাসান ফকির (৩০) নামের দুই সন্তানের জনক এক মাহেন্দা চালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বিষয়টি রহস্যজনক বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার দুপুরে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ বাটাজোর গ্রামের।

নিহতের পিতা জলিল ফকির জানান, মঙ্গলবার সকালে গ্রামীণ ব্যাংকের এক কর্মী এসে হাসানকে ফোন দিয়ে না পেয়ে আমাকে জানায়। পরবর্তীতে তার (হাসান) বসতঘরের দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখে চিৎকার শুরু করি।

এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। তিনি আরও জানান, গত তিনদিন পূর্বে হাসানের সাথে তার স্ত্রী ঝুমুর বেগমের দাম্পত্য কলহের কারণে সন্তানদের নিয়ে ঝুমুর তার এক নিকট আত্মীয়র বাড়িতে অবস্থান করছে।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

বরিশালের গৌরনদীতে এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গৌরনদী উপজেলার বেজগাতি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী শিশুর নানি বলেন, আমার মেয়ে ও জামাই ঢাকায় গার্মেন্টর্সে চাকরি করে। আমার ১১ বছর বয়সী নাননি আমাদের কাছে থাকে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘরের পিছনে থাকা নলকুপের পানি দিয়ে সে গোসল করতে যায়। তখন প্রতিবেশী মেনাজউদ্দিনের ছেলে (সম্পর্কে শিশু কন্যার চাচাতো মামা) হাফিজউদ্দিন গামছা দিয়ে আমার নাতনির মুখ বেঁধে পাশের একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে হত্যাসহ নানা ভয়ভীতি দেখায়। কিন্তু ঘরে আসার পর নাতনির রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। তখন বিষয়টি নাতনি জানিয়েছেন। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় নাতনিকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শেবাচিম হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মারুফ হোসেন জানান, ভুক্তভোগী শিশুকে কিছুক্ষণ আগে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের বেডে দেওয়া হয়েছে। শিশুর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এছাড়াও স্পর্শকাতর অঙ্গ গুরুতর জখম হয়েছে।

গৌরনদী থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে ৩৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি ওয়ান শুটারগান এবং দুই রাউন্ড গুলিসহ সজীব সরদার নামে একজনকে আটক করেছেন র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে র‌্যাবের ডিএডি আনসার আলী বাদী হয়ে মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন।

সজীব সরদারকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার (০১ জুন) আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৮ এর অভিযানে উপজেলার গৈলা বাজার সংলগ্ন প্রভাতি ভবনের নিজ বাসা থেকে সজীব সরদারকে আটক করা হয়।

 

এ সময় তার কাছ থেকে ৩৯০ পিস ইয়াবা, একটি ওয়ান শুটারগান, দুটি ওয়ান শুটারগানের কার্তুজ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের মাধ্যমে গ্রেফতার সজীব সরদারকে বুধবার সকালে বরিশাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

 

 

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (০১ জুন) সকালে তাদের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলো- আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের পূর্ব সুজনকাঠি গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে জিহাদ হোসেন এবং একই উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আস্কর গ্রামের নারায়ণ হালদারের নীলয় হালদার(৮)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, জিহাদ হোসেন সকালে খেলতে গিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়। এছাড়া মৃগী রোগে আক্রান্ত নীলয় হালদারও খেলতে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়।

পরে বাড়ির লোকজন পুকুর থেকে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুর্শিদা আক্তার বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই শিশু দুটির মৃত্যু
হয়।

বরগুনার পাথরঘাটায় এক কিশোরের বিরুদ্ধে ৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে।

বুধবার (২৫ মে) সকালে পাথরঘাটা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিশুর নানা। ধর্ষণের শিকার এই শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়েছে।

পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, রোববার (২২ মে) বিকেলে বাড়ির সামনের ক্ষেতে ভুক্তভোগী শিশুর মা-বাবা বাদাম তুলছিলেন। এ সময় অভিযুক্ত কিশোর অন্য এক শিশুর মাধ্যমে ভুক্তভোগী শিশুকে খেলাধুলার কথা বলে বাড়ির পেছনে খালপাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য ভুক্তভোগী শিশুকে হুমকি দেয়। পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগী শিশু তার মাকে ঘটনাটি বলে।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য ভুক্তভোগী শিশুকে বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আবুল বাশার জানান, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত কিশোরকে আটকের চেষ্টা চলছে।

ভারের আশুলিয়ায় একটি ই-কর্মাস ব্যবসায় বিনিয়োগের নামে প্রায় ৬০০ জনের কাছ থেকে প্রতারণা করে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনায় সেই প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৪ মে) সকালে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সুব্রত রায়।

 

এরআগে, মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকেলে আশুলিয়ার জামগড়ায় অবস্থিত স্বাধীন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গত সোমবার (২৩ মে) চক্রটির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সাজু মিয়া নামে একজন ভুক্তভোগী।

গ্রেফতাররা হলেন- মাদারীপুর জেলার সদর থানার পাঁচখোলা গ্রামের  আলী হোসেনর ছেলে ইলিয়াস মৃধা (৩৬)। তিনি প্রতষ্ঠানের স্বত্ত্বাধীকারী ও অপরজন ঝালকাঠি জেলার সদর থানার দক্ষিণ মানকশা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম (৩২)। তিনি প্রতিষ্ঠানের ডিলার ছিলেন।

মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী সাজু মিয়া বলেন, একজনের মাধ্যমে তাদের প্রতিষ্ঠানে কয়েক ধাপে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করি। তারা বলেছিলেন অনলাইনে তারা ওষুধ বিক্রি করেন। তাদের একটি ওয়েবসাইট আছে। একটি আইডি নম্বরও খুলে দেন। লাভের একটি অংশ প্রতিদিন আমার সেই অনলাইন আইডিতে জমা হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন চলে গেলেও কোনো টাকা আসে না। জানতে চাইলে তারা তালবাহানা শুরু করেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তারা অনলাইনে কোরো ব্যবসা করেন না। অনলাইন সাইট খুলে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছেন। টাকা চাইতে গেলে হুমকি দেন তারা। এরপরই তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

তিনি আরও বলেন, আমার মতো প্রায় ৬০০ জন এভাবে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন। একটি আইডির জন্য নূন্যতম ১৫০০ টাকা দিতে হয়। একেক জনের কাছ থেকে নূন্যতম ১০ হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত তারা হাতিয়ে নিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এস আই সুব্রত রায় বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে মঙ্গলবার রাতে দুজনকে আটক করি। পরে প্রতারণার মামলা তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। আজ আদালতে পাঠানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, এখানে ৬০০জন বিনিয়োগকারী রয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে চক্রটি।

তিনি আরও বলেন, টাকা হাতিয়ে নিতে অনলাইনের ব্যবসার ফাঁদ পেতেছিল। তারা এখানে গত দুইবছর আগে প্রতিষ্ঠান চালু করেছিলেন। নতুন করে পাশের উপজেলা ধামরাইয়েও অফিস খোলার পরিকল্পনাও ছিল তাদের।

 

ব‌রিশা‌লের মুলাদী‌ উপজেলায় ম‌নির হাওলাদার (৩২) না‌মে এক যুব‌কের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ জামাল মৃধা ও আলম হো‌সেন না‌মে দুইজন‌কে আটক করেছে। আটককৃতরা একই এলাকার বা‌সিন্দা বলে জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে ম‌নি‌রের বা‌ড়ি সংলগ্ন আবুল সরদা‌রের বা‌ড়ির জ‌মির সীমানার ওপর থে‌কে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

মৃত ম‌নির হাওলাদার মুলাদী উপ‌জেলার কা‌জিরচর এলাকার চরক‌মিশনারের ছালাম হাওলাদা‌রের ছে‌লে। তিনি মুলাদী বাস কাউন্টারের কেরানি প‌দে চাকরি করতেন।

ম‌নি‌রের ছোট ভাই পা‌ভেল হা‌ওলাদার জানান, ম‌নির দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার কামাল সরদা‌রের গরুর খামা‌রে কাজ কর‌তেন। ত‌বে তাকে কো‌নো টাকা দেয়‌া হয়নি। এই নি‌য়ে দ্বন্দ্ব চ‌লছিলো তাদের ম‌ধ্যে। একা‌ধিকবার টাকা চে‌য়েও পায়‌নি ম‌নির বরং তাকে হুম‌কি দেয়া হ‌য়ে‌ছি‌লো জেল খাটা‌নোর।

পাভেল বলেন, গত সোমবার রাত ৯টায় আমার কাছ থে‌কে ম‌নির ৫০ টাকা চে‌য়ে নি‌য়ে‌ছি‌লো। এরপর আর দেখা হয়‌নি। মঙ্গলবার সকা‌ল ৯টায় খবর পাই ম‌নি‌রের মরদেহ পাওয়া গে‌ছে।

মুলাদী থানা পু‌লি‌শের অফিসার ইনচার্য (ও‌সি) এস এম মাকসুদুর রহমান জানান, সকা‌লে খবর পে‌য়ে ঘটনাস্থ‌ল থে‌কে ওই যুব‌কের গলাকাটা মৃত‌দেহ উদ্ধার ক‌রা হ‌য়ে‌ছে।

ময়নাতদ‌ন্তের জন‌্য ব‌রিশাল শের-ই-বাংলা মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে প্রেরণ করা হ‌বে। এই ঘটনার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এর সা‌থে কেউ জ‌ড়িত র‌য়ে‌ছে কি না সে‌টি তদন্ত চল‌ছে।

গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার ভোররাতে
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা

ইউনিয়নের পাশের্^মারী গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় স্বামীকে আটক করেছে গ্রামবাসী। নিহত আশরাফুন্নেছা বেগম (৩০) পাশের্^মারী গ্রামের শফিকুল গাজীর (৪৫) স্ত্রী।

শ্যামনগর থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মুর্শিদ জানান, শফিকুল গাজীর দুই স্ত্রী। মাঝেমধ্যে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। দ্বিতীয় বউয়ের পরামর্শে তিনি প্রথম স্ত্রীকে চার মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দেন। রাজি না হওয়ায় তাকে বেদম মারধর করেন। এরপর সোমবার (২৩ মে) তাকে মারধরে করে চলে যান। রাতে আবারও প্রথম স্ত্রী আশরাফুন্নেছার কাছে আসেন শফিকুল। ভোররাতের দিকে প্রথমে মারধর করে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করেন। তারপর বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন। এলাকাবাসী শফিকুল গাজীকে আটক করে রেখে পুলিশে খবর দেয়।

শফিকুল এভাবে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সবার সামনে হত্যার কথা স্বীকার করে বলে জানান গাবুরা ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য মশিউর রহমান।

ওসি কাজী ওয়াহিদ মুর্শিদ বলেন, স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।