ভোলায় বিয়ের দাবিতে বিষের বোতল নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন মুক্তা বেগম (১৫) নামের এক কিশোরী। এ ঘটনায় বাড়ি থেকে পালিয়েছেন প্রেমিক খজবুল্লাহ ওরফে আদলু (২৫)।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এওয়াজপুর গ্রামের জুলফিকার আলী ভূট্টর বাড়িতে গিয়ে ওই কিশোরী অনশন শুরু করে।

এওয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহাবুব আলম খোকন জানান, ওই গ্রামের জুলফিকার আলী ভূট্টর ছেলে খজবুল্লাহ ওরফে আদলুর সঙ্গে নাকি ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

তাই ওই কিশোরী মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বিয়ের দাবিতে একটি বিষের বোতল নিয়ে ওই বাড়িতে অবস্থান করছে। তার প্রেমিক তাকে বিয়ে না করলে সে বিষপান করে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকিও দিচ্ছে।

তিনি জানান, বিষয়টি শুনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও চৌকিদারকে পাঠিয়েছি। ওই কিশোরীর বাবা-মা ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের আসতে বলেছি। কিন্তু রাত ১০টা পর্যন্ত তারা কেউ আসেনি।

শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান পাটওয়ারী জানান, বিষয়টি শুনে আমরা কিশোরীর বাড়ির ঠিকানা নিই। তার বাড়ি বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমহনী গ্রামে।

আমরা কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা কিশোরীকে ফেরত নেওয়ার জন্য আসছেন বলে জানিয়েছেন।

শামীম আহমেদ: বরিশালের এতিহ্যবাহী উপমহাদেশের একমাত্র শ্মশান দিপালী উৎসব সুষ্ঠ ও শান্তি পূর্ণভাবে অনুষ্ঠান করার জন্য নিরাপত্তা চাদরে থাকবে ঢাকা নগরীর কাউনিয়া নতুন বাজার আদি শ্মশান দিপালী অনুষ্ঠান।

আজ (৩ই) নভেম্বর বুধবার চতুদ্দর্শী পূণ্য তিথিতে উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী, সর্ববৃহৎ দিপালী উৎসবের দিনে শ্মশান দিপালী এলাকায় ২০টি সিসি ক্যামেরার নজরে থাকবে পুরো এলাকা। সেই সাথে ৪ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত বারটা এক মিনিটে কালী পূজা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডিপালী উৎসব শেষ হবে।

শ্মশান দিপালী উৎসব এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত ও পূর্ণার্থীদের ধর্মীও অনুষ্ঠান নিবিঘেœ পালনের নিরাপত্তা দায়ীত্বে নিয়োজিত থাকবে শতাধিক পোষাকী (বিএমপি) পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি টহলে থাকবে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব, গোয়েন্দা ও নিজস্ব সদস্য।

সেই সাথে এবারেই প্রথম শ্মশান দিপালী কমিটি উৎসবে সকলকে স্বস্থ্যবিধি মেনে আসার জন্য আহবানের পাশাপাশি শ্মশান দিপালী অনুষ্ঠানে যারাই আসবেন তাদের মধ্যে কারো মাক্স না থাকলে তাদেরকে মাক্স দিয়ে সহযোগীতা করা হবে।

এমনকি প্রবেশ পাথে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেই সাথে মাদক সেবন করা হলে বা সেবন করে শ্মশান এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করা হলে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাছে সোপর্দ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে শ্মশান রক্ষা কমিটি। এতথ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাধারন সম্পাদক তমাল মালাকার।

এছাড়া মাদকাশক্তদের চিহ্নিত করার জন্য শ্মশান এলাকার প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে মাদক চিহ্নিত করন মেসিন যা সাথে সাথে মাদকাশক্তকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হবে।

অন্যদিকে শ্মশান রক্ষা কমিটির নিজস্ব ১ শত জন স্বেচ্ছাসেবক সদস্য দায়ীত্ব পালনে থাকবে তারা উক্ত এলাকা জুড়ে। এদিকে এনএসআই ও সিটি এসবি সহ গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল পুরো এলাকার দায়ীত্বে নিয়োজিত থাকবে।

বরিশালের একমাত্র উপমহাদেশের ২ শত ৪ বছরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শ্মশান দিপালী উৎসব অনুষ্ঠানে এবার অন্যান্য বারের মত ভারত, নেপাল সহ কোন বিদেশ থেকে আসার কোন সংবাদ কমিটির কাছে নেই।

তবে দেশের বিভিন্নস্থানে থাকা স্বর্গবাসী হওয়া আপনজন তারা আসতে পারে বলে এখন পর্যন্ত মনে করা হচ্ছে। তবে গতবারের চেয়ে এবার লোকের চাপ একটু বেশি হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।

শ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি মানিক মূখার্জী কুডু ও সাধারন সম্পাদক তমাল মালাকার বলেন, দিপালী উৎসবকে ঘিড়ে মৃতদের স্মৃতিচিহ্ন রাখার সমাধীগুলো ধোয়া মোছা সহ নতুন করে নির্মাণ এবং রং তুলির ছোয়ায় ভিন্ন রুপ ধারন করেছে।

একটি পরিচ্ছন্ন ও পবিত্রতার পূর্ণ পরিবেশ দিপালী উৎসব বরিশালে প্রতি বছর এই দিনটি পালন করে যাচ্ছে আপন জন ও আত্বীয়-স্বজনরা।

শ্মশান দিপালী অনুষ্ঠানটি একটি সার্বজনীন উৎসবে পরিনত হয়ে উঠে। বরিশালের প্রাচীন এই উৎসবে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল জেলা উপজেলা সহ প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল ছাড়াও প্রথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে দেখতে আসে।

এদের মধ্যে কেহ আসে স্বজনদের সমাধীতে, আবার কেহ আসে উৎসবে অংশ নিতে। শেষ সময়ে দিপালী উৎসবকে সুষ্ঠভাবে সম্পূন্ন করতে প্রস্তুতি এক রকম শেষ প্রর্যায়ে রয়েছে।

দিপালী উৎসব পালন অনুষ্ঠানের জন্য ইতি মধ্যে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা সহ পুলিশ কমিশনারের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে। উৎসবের রাতকে শ্মশান এলাকা মমের প্রজ্জলনের আলোয় রাতকে দিনের আলোতে নিয়ে আসা হয় হবে।

দেশের আটটি প্রশাসনিক বিভাগের একটি বরিশাল বিভাগ। ১৯৯৩ সালে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ছয়টি জেলা নিয়ে এই বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। বিভাগ হওয়ার কারণে বরিশাল নগরীতে সরকারি অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও বিভিন্ন সংস্থার বিভাগীয় কার্যালয় চালু হয়েছে। বেড়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা। তবে বিভাগ প্রতিষ্ঠার ২৮ বছর পরও বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সরকারি আবাসনের ব্যবস্থা হয়নি।

এমনকি নিজস্ব স্থাপনা না থাকায় ভাড়া বাসায় চলছে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রম। নিজস্ব স্থাপনা ও আবাসন-সংকটের কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। বিশেষ করে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যদের এ সমস্যা প্রকট।

সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ১০ জন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরিশাল নগরীতে ভাড়া বাসায় চলছে মেট্রোপলিটন পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, পরিসংখ্যান অফিস, বিভাগীয় তথ্য অফিস, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরসহ অন্তত সরকারি ২০টি বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম।

barisal1

ওই কর্মকর্তারা বলেন, বরিশাল নগরীতে অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও বিভিন্ন সংস্থার জেলা কার্যালয় রয়েছে প্রায় ১০০টি। বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয় রয়েছে অর্ধশতাধিক। বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের এসব সরকারি দপ্তরে কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। তবে এই বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ৩০০টির মতো সরকারি বাসা বা ফ্ল্যাট রয়েছে যার ২৫০টিই বসবাসের অনুপযোগী।

প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর চার কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরিশাল নগরীতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বিশেষ করে মাঠ প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যদের আবাসন সংকট দীর্ঘদিনের। বিভাগ প্রতিষ্ঠার ২৮ বছর পেরিয়ে গেলেও অবকাঠামোগত উন্নয়ন নেই বললেই চলে।

উল্টো বিভাগ হওয়ার কারণে সরকারি-বেসরকারি অনেক বিভাগীয় কার্যালয় চালু হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সেই তুলনায় আবাসনের সুযোগ খুবই সীমিত। বরিশাল নগরীতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। বাসা পাওয়ার যোগ্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন ৮ সহস্রাধিক। কিন্তু সরকারি বাসা পেয়েছেন ৭০-৮০ জনের মতো।

barisal1

কর্মকতারা আরও জানান, গত কয়েক বছরে বরিশাল নগরীতে প্রচুর মানুষের বসতি গড়ে উঠেছে। বিভাগীয় শহর হওয়ার কারণে একটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বেড়েছে শহরের লোকসংখ্যাও। বরিশাল ছাড়া বিভাগের অন্য জেলাগুলোতে তেমন একটা ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকার কারণে অনেক অভিভাবক এখানে বাসা ভাড়া নিয়ে সন্তানের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছেন। এসব কারণে বাড়ি ভাড়াও আগের চেয়ে এখন প্রায় দ্বিগুণ। ফলে সরকারি কর্মকর্তারা বেতনের সঙ্গে যে টাকা বাড়িভাড়া হিসেবে পান তা দিয়ে তাদের সামাজিক মর্যাদা অনুযায়ী বাসা পাওয়া দুরহ ব্যাপার।

মাঠ প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে একজন অতিরিক্তি সচিব (বিভাগীয় কমিশনার), একজন যুগ্ম সচিব (অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার), দুইজন সিনিয়র সহকারী সচিব (সিনিয়র সহকারী কমিশনার) ও পাঁচ জন সহকারী সচিব (সহকারী কমিশনার) পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন। তবে বিভাগীয় কমিশনার ছাড়া আর কোনো কর্মকর্তার জন্য সরকারি আবাসনের ব্যবস্থা নেই।

অন্যদিকে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও সহকারী কমিশনার মিলিয়ে ২২ জন প্রশাসনের ক্যাডার রয়েছেন। তাদের মধ্যে জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ছাড়া অন্য কর্মকর্তাদের সরকারি কোয়ার্টারের ব্যবস্থা নেই।

barisal1

নাম না প্রকাশের শর্তে মাঠ প্রশাসনের তিনজন কর্মকর্তা জানান, সরকারি আবাসন সুবিধা না থাকায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে কর্মকর্তাদের বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হচ্ছে। এক সঙ্গে থাকার উপায় নেই। এতে ঝুঁকি রয়েছে। কারণ ভাড়া বাসায় নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। এতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

তারা বলেন, মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাছাড়া গত ১৮ জুলাই বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে।

তারা আরও বলেন, ঝুঁকি বিবেচনা করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি আবাসনের ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবি। কর্মস্থল থেকে ফিরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপদ একটি জায়গায় থাকতে পারেন সে বিষয়ে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০০৯ সালে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে সদস্য সংখ্যা দুই সহস্রাধিক। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অধীনে ৪টি থানা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি থানার কার্যক্রম ভাড়া বাসায় চলছে। শুধু তাই নয়, ভাড়া বাসায় চলছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরসহ বেশিরভাগ ইউনিটের কার্যক্রম। নেই আলাদা পুলিশ লাইন্স। সদস্যদের জেলা পুলিশ লাইন্সের ব্যারাকে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। সরকারি আবাসনের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।

কোতয়ালি মডেল থানা কম্পাউন্ডে রয়েছে মাত্র ৬টি কোয়ার্টার। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৪ শতাধিক কর্মকর্তাদের ভাড়া বাসায় থাকতে হচ্ছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গিয়ে এবং সন্ত্রাসী, অপরাধী, মামলার আসামি ধরতে গিয়ে মাঝে মধ্যে হুমকির শিকার হচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা। সতর্ক থাকতে হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের আবাসনসহ নানা সমস্যা রয়েছে। ভাড়া বাসায় থাকতে হচ্ছে। এতে ঝুঁকি রয়েছে।

barisal1

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান (পিপিএম) জাগো নিউজকে জানান, জনগণের নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে মোট্রোপলিটন পুলিশ। কিন্তু সেই পুলিশ সদস্যদের আবাসন সমস্যা দীর্ঘদিনের। তবে বরিশাল মোট্রোপলিটন পুলিশের জন্য নগরীর রূপাতলী এলাকায় পুলিশ লাইন্স নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। সেখানে পুলিশ সদস্যদের পরিবার নিয়ে থাকার জন্য বেশকিছু ফ্ল্যাট তৈরি হচ্ছে। ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করছি এরপর আবাসন সংকট অনেকাংশে দূর হবে।

এদিকে গণপূর্ত অধিদপ্তর বরিশাল কার্যালয়ের তথ্যমতে, ৮২টি সরকারি কোয়ার্টারের মধ্যে ৭৯টি খালি রয়েছে। কারণ সেগুলো বসবাসের অনুপযোগী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। দেয়ালে ছোট-বড় একাধিক ফাটল। বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পড়ে পানি। বিবর্ণ দেয়ালে জমেছে শ্যাওলা। দীর্ঘদিন পরিষ্কার না হওয়ায় বিল্ডিংগুলোর পাশে লতা-পাতা ও আগাছা জন্ম নিয়েছে। এ রকম ভবনেই হাতে গোনা কয়েকজন কর্মচারী বসবাস করছেন।

অন্যদিকে আবাসন সংকটের কারণে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বেশিরভাগ চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও কর্মচারীকে থাকতে হচ্ছে ভাড়া বাসায়।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে বর্তমানে চিকিৎসকের সংখ্যা ২৩৩ জন। সরকারি বাসার সংখ্যা মাত্র ৩৯টি। হাসপাতালে তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সংখ্যা ১১৬ জন। স্বাধীনতার আগে নির্মিত কর্মচারীদের অধিকাংশ বাসা বসবাসের অনুপযোগী। সেকারণে তাদের ভাড়া বাসায় থাকতে হচ্ছে।

এছাড়া বরিশাল আদালতের বিচারকদের আবাসন সংকট দীর্ঘদিনের। জেলা ও দায়রা জজ আদালত, বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মিলিয়ে বর্তমানে বিচারকের সংখ্যা ৪৬ জন। তবে আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে মাত্র ১৩ জনের।

এসব বিষয়ে বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জেরাল্ড অলিভার গুডা জানান, বরিশাল নগরীতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা অপ্রতুল। আবার অনেক সরকারি কার্যালয়ের নিজস্ব ভবন নেই। নগরীতে এ ধরনের ১৮টি দপ্তরের কার্যালয় নির্মাণে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থার জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পরবর্তীতে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে।

এফএ/এমএস

॥ পুস্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে বরিশালে পালিত হয়েছে জেল হত্যা দিবস।

আজ বুধবার সকাল নয়টায় নগরীর সোহেল চত্বরস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় চার নেতার অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং সিটি কর্পোরেশনের নেতৃবৃন্দরা পুস্পস্তবক অর্পন করেন।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস, মহানগর সভাপতি এ্যাডভোকেট কেএম জাহাঙ্গীর হোসেন, বিসিসি প্যানেল মেয়র এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগ ও তার সকল সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়।একইদিন বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে অলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কাউনিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ হলেন অভিক্ষ ও দক্ষ পুলিশ অফিসার এ আর মুকুল (পিপিএম)। বাংলাদেশ সরকারের বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ হেটকোয়াটার্সের লিখিত বরাতে এ খবর প্রকাশিত হয়। তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি এর আগে অফিসার ইনচার্জ ক্রাইম এন্ড ডাটা পোষ্টে ছিলেন। এয়ারপোর্ট থানার তদন্ত ওসি হিসেবে নিয়োজিত ছিলেণ। তার দক্ষ কর্মকান্ডের জন্য তিনি সর্বমহলে সুনাম অর্জন করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পিপিএম পদক লাভ করেন । করোনা মহামারিতেও তিনি ছিলেন অটল প্রহরি। এই মহামারিতে তিনি তার কর্মস্থলে থেকে জনগনের সেবায় সবসময় নিয়োজিত ছিলেন। এতে তিনি করোনায়ও আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি করোনা থেকে আরোগ্য লাভের পর আবারও জনগনের কল্যানে নিজেকে নিয়োজিত করেন। তার কাউনিয়া থানার ওসি হওয়ার খবরে তার সহকর্মীসহ সকলের মাঝে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কাউনিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ হলেন অভিক্ষ ও দক্ষ পুলিশ অফিসার এ আর মুকুল (পিপিএম)। বাংলাদেশ সরকারের বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ হেটকোয়াটার্সের লিখিত বরাতে এ খবর প্রকাশিত হয়। তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি এর আগে অফিসার ইনচার্জ ক্রাইম এন্ড ডাটা পোষ্টে ছিলেন। এয়ারপোর্ট থানার তদন্ত ওসি হিসেবে নিয়োজিত ছিলেণ। তার দক্ষ কর্মকান্ডের জন্য তিনি সর্বমহলে সুনাম অর্জন করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পিপিএম পদক লাভ করেন । করোনা মহামারিতেও তিনি ছিলেন অটল প্রহরি। এই মহামারিতে তিনি তার কর্মস্থলে থেকে জনগনের সেবায় সবসময় নিয়োজিত ছিলেন। এতে তিনি করোনায়ও আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি করোনা থেকে আরোগ্য লাভের পর আবারও জনগনের কল্যানে নিজেকে নিয়োজিত করেন। তার কাউনিয়া থানার ওসি হওয়ার খবরে তার সহকর্মীসহ সকলের মাঝে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

 

মোঃরাজিবুল হক(বরগুনা প্রতিনিধি):
বরগুনার বামনা উপজেলার ৫৬ নং চলাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আঃ হাই শিক্ষক পরিচিতি বোর্ড সহ বিভিন্ন জায়গায় লিখেন প্রধান শিক্ষক। তার প্রভাবে অতিষ্ট শিক্ষক, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরাও। আজ শনিবার ৩০ অক্টোবর বিদ্যালয় হল রুমে ম্যানেজিং কমিটির সভা চলাকালিন সভাপতি মোসাঃ আসমা আক্তার আর্থিক হিসাব জানতে চাইলে সভাপতি সহ সকল সদস্যদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচারন করে সভা পন্ড করে দেন প্রধান শিক্ষক এবং হুমকি দিয়ে বলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমার কোন কাজে লাগে না। আপনী সভাপতি আর বিদ্যালয়ে আসবেন না।
এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৫৬ নং চলাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিচিতি বোর্ডে আঃ হাই এর পদবী হিসেবেপ্রধান শিক্ষক লেখা আছে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত ২,৪৫০০০ টাকার খরচের কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া বিগত চার বছরে বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত অর্থও ব্যয় না করে আত্মসাত করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় বিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করে আঃ হাই নিজ ব্যাংক হিসাবে জমা রেখে ইচ্ছে মত খরচ করেছেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোসাঃ আসমা আক্তার জানান আজকে মিটিং এ ২০২০-২১ অর্থ বছরের ক্ষুদ্র মেরামত ও স্লিপের বরাদ্দকৃত টাকার খরচের হিসাব জানতে চাইলে হিসাব না দিয়ে সে সকল সদস্যদের সামনে আমার সাথে উত্তেজিত হন। তার ব্যবহারকৃত ডাইরী ও খাতা ছুড়ে ফেলে দেন এবং মিটিং পন্ড করে দেন।তিনি আরো বলেন আমাকে বাদ দিয়ে বে আইনী ভাবে সহ সভাপতিকে দিয়ে কাজ করেন। আমি বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের কথিত প্রধান শিক্ষক মোঃ আঃ হাই বলেন আর্থিক কোন অনিয়ম হয়নি এবং আজকে বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভা সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। স্কুল শুরু থেকে আমি অনেক অর্থ ব্যয় করেছি তাই পরিচিতি বোর্ডে আমার নামের সামনে প্রধান শিক্ষক লিখেছি।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্র শীল বলেন আমি বিষয়টি শুনেছি খতিয়ে দেখবো। তবে সহকারী শিক্ষক হয়ে প্রধান শিক্ষক লিখতে পারে না এটা প্রতারনার শামিল।

 

দুই সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন চিকিৎসার অভাবে শয্যাশায়ী ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা। ঐ বৃদ্ধা নিজে আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলা করতে না পারায় বিচারক নিজে বৃদ্ধার বাসায় গিয়ে মামলা গ্রহণ করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বরিশাল অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ মামলাটি গ্রহণ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। মামলায় বরিশাল নগরীর বৈদ্যপাড়ার জোড়াপুকুর এলাকার জাহানুর বেগম তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও মেয়ে সাবিনা আক্তারকে বিবাদী করেছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, খুলনায় আমি স্বামীর ঘরে থাকতাম। আমার চিকিৎসার খরচের জন্য আমি খুলনার সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই। ক্রেতা বরিশালে এলে তাদের সঙ্গে কথাও বলি। ২২ অক্টোবর আসামিরা বরিশাল এসে সম্পত্তি বিক্রি করতে দেবেন না বলে জানায় এবং আমি অসুস্থ, ভরণ পোষণ দরকার বললেও তারা আমার ভরণ পোষণ দিতে পারবে না বলে জানায়। কোনো টাকা পয়সাও দিতে পারবে না এ কথা স্পষ্ট বলে। এরপর আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে তারা চলে যায় ও এখন পর্যন্ত কোনো খোজ নেয়নি। আমার স্বামী ২০১৪ সালের ১৪ নভেম্বরে মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে আমি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হই। সর্বশেষ ব্রেইন স্ট্রোক, মেরুদণ্ড অচল এবং পিঠে ক্ষত ও প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হই। মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও ভরণ পোষনের আবেদন করা হয়।

বরিশাল সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ জানান, জাহানুর বেগম পিতা মাতার ভরণ পোষণ আইন ২০১৩ এর ৫ ধারা মোতাবেক মোস্তাফিজুর রহমান ও সাবিনা আক্তারের বিরুদ্ধে ওকালতনামাসহ নালিশি দরখাস্ত বাহক মারফত আদালতে প্রেরণ করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী ও নালিশী দরখাস্তের বাহককে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিচারক জানতে পারেন বাদী শয্যাশায়ি, যার কারণে তিনি আদালতে আসতে পারেননি। এই অবস্থায় প্রকাশ্যে বাদীকে পরীক্ষা করা যায়নি। তবে এজলাসের কার্যক্রম শেষে আমাকে সঙ্গে নিয়ে বিচারক নালিশী দরখাস্তের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বাদীর বাসায় যান। বাদী বৃদ্ধার আইনজীবী ও আমার উপস্থিতিতে বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন বিচারক।

বাদীর অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হওয়ায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করা হয়। বিচারক মাসুম বিল্লাহ সমন জারির পাশাপাশি আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে আসামিদের আদালতে স্ব শরীরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন। জাহানুর বেগম বর্তমানে তার ছোট মেয়ে সাহিদার সঙ্গে বসবাস করছেন।

এদিকে এই জাতীয় পদক্ষেপ মানুষের দোরগোড়ায় বিচার পৌছে দেওয়ার ক্ষেত্রে যুগান্তকারি পদক্ষেপ বলে মনে করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক বিশ্বাস।

গৃহবধূকে নিজ ঘরে ধর্ষণ চেষ্টা ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাড়া অন্যরা হলেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মফিজুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ও চৌকিদার আলী আসগর।ঘটনাটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, অনীক আর হক ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। রায়ের বিষয়ে ব্যারিস্টার অনিক আর হক বলেন, তৎকালীন ওসি, একজন এসআই ও এএসআইকে বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং চৌকিদারকে বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে এলজিআরডি সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে গত বছরের ৫ অক্টোবর ঘটনাটি আদালতের নজরে আনার পর বিবস্ত্র করার ফুটেজ বিষয়টি অনলাইন ফ্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এ সময় সিডি বা পেনড্রাইভে কপি রেখে ভিডিও ফুটেজ সরাতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া ওই নারীর পরিবারকে সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের বক্তব্য নিতে পুলিশের কোনো অবহেলা আছে কিনা, তা অনুসন্ধান করতে একটি কমিটি করে দিয়েছিলেন আদালত। কমিটিকে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।পরে আদালতের নির্দেশে কমিটির প্রধান ছিলেন চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাশার। সদস্য ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসরাত সাদমীন এবং জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।

আদালতে ওই কমিটির দেয়া প্রতিবেদনে অবহেলা পাওয়ায় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ কর্মকর্তা ও স্থানীয় চৌকিদারের বিষয়ে আদালত যৌক্তিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিতে পারে বলে মত দেওয়া হয়। এরপর সেই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দিলেন হাইকোর্ট।

 

মহানগরীতে জেলা ও মহানগর যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে। এসময় ব্যানার ছিনিয়ে নেয়ারও চেষ্টা করে পুলিশ। বুধবার দুপুরে এ ঘটনা সম্পর্কে নেতৃবৃন্দ জানিয়েছে, যুবদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলা দক্ষিণ শাখার নেতৃবৃন্দ দলীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করে।

বিভিন্ন উপজেলা থেকে যুবদলের নেতা-কর্মীরা কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ ব্যানার নিয়ে মিছিল না করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু নেতাকর্মীরা বাধা উপেক্ষা করলে পুলিশ ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। এসময় নেতা কর্মীরা বাধা দিলে পুলিশ লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয় বলে নেতৃবৃন্দ জানিয়েছে।

অপরদিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন। জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন রেজা খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক এ্যাড. এইচএম তছলিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. হাফিজ আহমেদ বাবলু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মাওলা রাব্বি শামীম, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন নাহিদ, এ্যাড. শফিকুল ইসলাম পলাশ, যুগ্ম সম্পাদক বেলায়েত হোসেন ও কোতয়ালী শাখার আহবায়ক কবির হোসেন প্রমুখ।

এর আগে মহানগর যুবদলের উদ্যোগে মহানগর যুবদলের সভাপতি এ্যাড. আকতারুজ্জামান শামীম-এর সভাপতিত্বে একই মঞ্চে সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক এ্যাড. মাজহারুল ইসলাম জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান পলাশ, সহ-সভাপতি মাকসুদুর রহমান মাকসুদ ও আসাদুজ্জামান মারুফ প্রমুখ।

এ সভার আগেও পুলিশ বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ব্যানারসহ মিছিল নিয়ে আসা নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়। নেতা কর্মীরা বাধা উপেক্ষা করতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। তবে মহানগর সভাপতি আখতারুজ্জামান শামীমের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সকালে বরিশাল উত্তর জেলা যুবদল আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উত্তর জেলা যুবদলের আহবায়ক সালাউদ্দিন পিকলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন হিজলা উপজেলার প্রতিষ্ঠাতাকালীন যুবদল সাধারন সম্পাদক দেওয়ান মোঃ শহিদুল্লাহ, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন দিপেন ও যুবদল সদস্য সচিব গোলাম মোর্শেদ মামুন প্রমুখ।