নিজস্ব প্রতিবেদক||বরিশাল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনা প্রতিরোধে ও নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে বরিশাল জেলা প্রশাসনেরৎ পক্ষ থেকে আজ বুধবার সকালে ৩টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত হোসেন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত ফারাবী ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রয়া ত্রিপুরা। বরিশাল নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে গীর্জা মহল্লার মোবাইল বাজার দোকান সহ ২৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কে ২৪ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং তাদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হয় যাতে করে ভবিষ্যতে সরকারি আইন অমান্য না করে। একটি সূত্র জানান,বরিশাল নগরীর গির্জামহল্লা মোবাইল বাজার মোবাইলের দোকান টি দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি আইন অমান্য করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দোকানের একটি শাটার খুলে রেখে দোকানের বেচাকিনা করে আসছে।ব্যবসায়ী সমিতির লোকজন তাকে নিষেধ করলো কারো কোন কথায় কর্ণপাত না করে নিজের ইচ্ছা খুশিমতো ব্যবসা করে আচ্ছে।লোক সমাগম করে তার প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করছে সকাল থেকে রাত অবধি।লোকের সমাগম করে দ্রুত করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের মালিক।স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান,দোকানের এক শাটার খুলে রেখে দোকানের সামনে একজন কর্মচারী রেখে সে এবং তার কর্মচারীরা ভিতরে বসে মোবাইল সহ বিভিন্ন মালামাল ও বিক্রি করছে।সামনের ওই কর্মচারী, ম্যাজিস্ট্রেট দেখলে দোকানের ওই শাটার বন্ধ করে দেয় এবং ম্যাজিস্ট্রেট চলে গেলে দোকানের শাটার টি খুলে ফেলে।বরিশাল শহরের গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান গীর্জা মহল্লা।গীর্জা মহল্লার আশেপাশেই বসে প্রশাসনের একাধিক চেকপোস্ট।কোন ক্ষমতার বলে প্রশাসনের সামনে সে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান খোলা রাখে।স্থানীয় বাসিন্দাদের একটাই দাবি সরকারি আইন অমান্য করলে ওই দোকান মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।সরকারি আইন আইন অমান্য করায় আজ ম্যাজিস্ট্রেট তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা খুশি হয়েছেন একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
মো:রাজিবুল হক (বরগুনা জেলা সংবাদদাতা):
সারাদেশের ন্যায় বামনায় ও করোনা পজেটিভ ব্যাপক হারে বাড়ছে। নমুনা পরীক্ষার ৫০% ই পজেটিভ। গত এক সপ্তাহে বামনায় মোট আক্রান্ত ৩৮ জন। এ দিকে ঘরে ঘরে করোনা উপসর্গ নিয়ে মানুষ মনগড়া চিকিৎসা নিচ্ছে। তারপর টেস্ট করাতে অনিহা।তবে যাদের করোনা উপসর্গ আছে তাদের অবশ্যই বামনা হাসপাতালে গিয়ে টেষ্ট করানো উচিত এবং হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা গ্রহন করা উচিত।বামনা হাসপাতালে করোনা রুগীর যথেষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্হা রয়েছে।সরকারের নির্দেশনা একটা লোকও যেন বিনাচিকিৎসায় মারা না যায়।
বামনা হাসপাতালের আরএমও ডাঃ রিয়াজুল ইসলাম বলেন আতংকিত না হয়ে হাসপাতালে এসে টেষ্ট করান এবং সেবা নিন।প্রয়োজন হলে ভর্তি হন।আমাদের সেবা দেওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্হা রয়েছে।টেষ্ট করালে আপনী বাসায় চিকিৎসা নিলেও আলদা আইসোলেশনে থাকতে পারবেন নিজও নিরাপদে থাকতে পারেন পরিবারকে ও নিরাপদে রাখতে পারেন।
উপজেলা স্বাস্হ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী অসহায়দের ফ্রি টেষ্ট সহ ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্হা রয়েছে।তাই বাসায় না থেকে লক্ষন দেখা দিলেই হাসপাতালে আসুন।আমরা আপনাদের শতভাগ সেবা দিতে প্রস্তুুত আছি। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ এবং আমরা স্বাস্হ্য বিভাগ বামনাকে করোনা মুক্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিবেক সরকার বলেন বামনার সকল মানুষের সহযোগিতায় আমরা লকডাউনের ৫ম দিন অতিবাহিত করলাম এবং অনেকটাই সফল হয়েছি।তবে মানুষ আর একটু সচেতন হলে বামনাকে করোনার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবো বলে আশা করছি।
করোনাভাইরাসের (Coronavirus) উর্ধ্বগতি না কমায় সর্বাত্মক লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। আজ সোমবার (০৫ জুলাই) চলমান কঠোর বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
করোনা নিয়ন্ত্রণে গত ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে সারা দেশে। লকডাউনের চুতর্থ দিন রোববার চলমান কঠোর লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। আর আজ লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এলো সরকারের পক্ষ থেকে।
এর আগে কমিটির সুপারিশের আলোকে ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন তিন দিন সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।
এরপর ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ। যা শেষ হবে ৭ জুলাই। নতুন করে ৭ দিন সময় বাড়ানো হলে ১৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই কঠোর বিধিনিষেধ।
গত ৩০ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে লকডাউনের বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে।
লকডাউনে জরুরি সেবা দেয়া দপ্তর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে শিল্প-কারখানা খোলা থাকলেও জনসমাবেশ হয় এমন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না এই সময়ে।
বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী। বিনা প্রয়োজনে বের হলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। গত চারদিনে শুধু ঢাকায়ই সহস্রাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বরগুনায় মায়ের কাছে চিঠি লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সামিরা (১৪) নামের এক কিশোরী। সোমবার (০৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ভাড়া বাসার বাথরুম থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগে জামাল হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা ।
নিহতের মা সুমী বেগম জানান, সামিরা তার প্রথম স্বামী রফিকের সন্তান এবং অস্টম শ্রেণির ছাত্রী। সুমী তার বর্তমান স্বামী রাশেদের অন্য সন্তানদের সঙ্গে নিয়েই পৌরসভার কলেজ রোডে আবুল বাশারের বাসায় ভাড়া থাকেন। আবুল বাশারের ছেলে জামাল হোসেন স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও কিশোরী সামিরাকে উত্ত্যক্ত করতেন। একাধিকবার সামিরাকে শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করেন তিনি।
গত কয়েকদিন ধরে সামিরা ও জামালকে জড়িয়ে প্রতিবেশীরা অনৈতিক সম্পর্কের কথা বলাবলি করছিল। গতকাল রোববার রাতে বাসার মালিক আবুল বাশারকে ফোন করে তার ছেলের কর্মকাণ্ডের কথা জানান সুমী বেগম। আবুল বাশার গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরে এসে জামালকে শাসন করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। জামালের সঙ্গে সামিয়ার কোনো ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ নেই, এ কথা তার মা ছাড়া অন্য কেউ মেনে নিচ্ছিলেন না। মা ছাড়া সবাই সামিরাকে গালমন্দ করছিল। আত্মহত্যার আগে সামিরা তার মায়ের কাছে চিঠি লিখে রেখে যায়।
ওই চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘মা, আমার নামে তারা যে বদনাম উঠিয়েছে, তাতে আমি এ পৃথিবীতে থাকতে পারছি না। আমি একটা খারাপ মেয়ে। আমি নাকি খুব খারাপ। মা তুমি ভালো থেকো। আমাকে কেউ বিশ্বাস করে না। কেউ না তুমি ছাড়া। ইতি তোমার সামিরা।’
এ বিষয়ে বরগুনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম জানান, জামালকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে। সামিরার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
কঠোর লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় গত ৫ দিনে বরিশাল জেলায় ৫৮৮ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ৭ লাখ ৮০ হাজার ৪৫০ টাকা। বরিশাল মহানগর এবং জেলার ১০টি উপজেলায় এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। বরিশাল জেলা প্রশাসনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সোমবার রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়- লকডাউনের পঞ্চম দিনে সোমবার (০৫ জুলাই) জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের নেতৃত্বে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৮৯টি অভিযান পরিচালনা হয়। এ সময় ৮৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারার পৃথক মামলায় ৭৫ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে বরিশাল মহানগরে ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে ৪৬ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অপরাধে ৩০ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। পাশাপাশি জেলার ১০টি উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করেন ৯ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)। তারা ৪৩ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পৃথক মামলায় ৪৪ হাজার ৯৫০ টাকার জরিমানা আদায় করেন।
এর আগে রোববার (০৪ জুলাই) জেলায় ২১টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১৫০টি মামলায় ১৫০ জনকে ২ লাখ ২৫ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে ৩ জুলাই লকডাউনের তৃতীয় দিনে বরিশালে ২১টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১৮০টি মামলায় ১৮০ জনকে ৩ লাখ ২২ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ২ জুলাই লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বরিশালে ২০টি অভিযানে ১১১ মামলায় ১১৩ জনকে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। ১ জুলাই লকডাউনের প্রথম দিনে ২০টি অভিযানে ৫৬টি মামলায় ৫৬ জনকে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। বরিশাল নগর এবং জেলার সব কটি উপজেলায় লকডাউন কার্যকর করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। এ অভিযান আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।’
রিমান্ডে নিয়ে হত্যা মামলার নারী আসামি মিনতি বিশ্বাস ওরফে মিতু অধিকারীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বরিশালের উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ তথ্য বরিশালটাইমসকে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেন ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান।
এদিকে সোমবার (০৫ জুলাই) আদালতের নির্দেশনা অনুসারে নির্যাতিতা নারী বাদী হয়ে প্রত্যাহার হওয়া দুই কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
সোমবার দুপুর ১টায় প্রত্যাহারকৃত ওসি হলেন- জিয়াউল আহসান এবং পরিদর্শক (তদন্ত) মাইনুল ইসলাম। পরিদর্শক ওই নারী আসামির মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন।
বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান বরিশালটাইমসকে বলেন, দায়িত্বে অবহেলায় ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে বরিশাল পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। একইসাথে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুসারে নির্যাতিতা নারীর বর্ণনা অনুযায়ী প্রত্যাহারকৃত দুই কর্মকর্তাসহ নির্যাতিতা নারী মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। তবে অপর ৩ জনের নাম সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। এ কারণে গঠিত তদন্ত কমিটির দেয়া রিপোর্ট অনুসারে অপর ৩ জনকে শনাক্ত করে তাদেরও এই মামলায় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এদিকে আদালতের নির্দেশে রোববার দুপুরে শের ই বাংল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সাইফুল ইসলাম চিকিৎসাকালীন সময় আসামি মিতুর শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। ওই প্রতিবেদনে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত ২৬ জুন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জামবাড়ি এলাকা থেকে বাসুদেব চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার ভাই বরুন চক্রবর্তী ওইদিনই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় মিতুকে; যার সাথে তার ভাইয়ের পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো বলে দাবি করেন বরুন।
এই মামলার আসামি হিসেবে ওইদিন সেই মিতুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। থানা পুলিশের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উজিরপুর আমলী আদালত নারী আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ২ জুলাই ওই নারীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এ সময় তাকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটতে দেখে এর কারণ জানতে চান আদালত। ওই নারী আদালতের কাছে তাকে শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন পুলিশের বিরুদ্ধে। আদালত একজন নারী কনস্টেবল দিয়ে তার দেহ পরীক্ষা করে শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা পান।


