ঝালকাঠিতে নলছিটি উপজেলা পরিষদের পরিত্যক্ত একটি ভবনের (এরশাদ ভবন) কলাপসিবল গেট চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার গোরস্থান রোডের একটি ভাঙারির দোকানে গেটটি বিক্রি হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় কলাপসিবল গেটটি বিক্রেতাকে (চোর) ফেরত দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভাঙারি ব্যবসায়ী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইফতারির পর এক যুবক ভ্যান গাড়িতে করে কলাপসিবল গেটটি
ওই ভাঙারির দোকানের বিক্রির জন্য নিয়ে আসে। দোকানদার ওজন করে গেটটি দোকানে তুলে রাখেন। ওই যুবক বিক্রির টাকা নিয়ে চলে যায়। এর কিছু সময় পর পরিত্যক্ত সরকারি ভবনের কলাপসিবল গেট চুরির বিষয়টি জানাজানি হয়।

কুষ্টিয়া থেকে নলছিটি এসে ভাঙারি ব্যবসা করা মো. মুনসুর বুধবার সকালে সাংবাদিকদের জনান, একজন অপরিচিত যুবক সন্ধ্যার দিকে চুরি করা কলাপসিবল গেটটি বিক্রির জন্য দোকানে নিয়ে আসেন।গেটটি ওজন করে দোকানে রাখা হয়। সেটি পরিত্যক্ত সরকারি ভবনের চুরি করা গেট; এমন তথ্য জানার পর কলাপসিবল গেটটি তাকে (বিক্রেতা) ফেরত দেয়া হয়েছে। তবে বিক্রেতার নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি ওই ভাঙারি ব্যবসায়ী।

নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, এ বিষয়টি সম্পর্কে এখনও কিছু জানি না৷ তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলি আহম্মেদ বলেন, ভাঙারি ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

চাঁদপুরে আলোচিত ধর্ষণ ঘটনা মামলার প্রধান আসামি আমজাদ মাহমুদ নিলয়কে (২১) বরিশালের ভোলা জেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ মে) ভোরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীকে ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল গৃহকর্মী কারও কাছে কোনো প্রতিকার না পেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করলে চাঁদপুর সদর মডেল থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পরে ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়ে শারীরিক নির্যাতনের দায়ে ধর্ষকের মা শাহানাজ বেগমকে (৪৫) আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। ওই সময় ধর্ষক আমজাদ মাহমুদ নিলয় ও তার বাবা আব্দুল মাজেদ (৫৪) পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, আব্দুল মাজেদ ও শাহানাজ দম্পতি চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এ কর্মরত। তারা ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার চরশফী গ্রামের বাসিন্দা। চাঁদপুর ওয়ারলেছ বাজার সিরাজ বরকান্দাজের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে আসছিলো।

সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা গৃহকর্মীর মা অন্যত্র বিয়ে করে চলে যায়। দীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ এই দম্পতি তাকে দিয়ে বাসার কাজ করে আসছিল। এই চার বছরে তারা ধর্ষিতার কোন টাকা পয়সা পরিশোধ করেনি। লকডাউনের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় তাদের ইউনিভাসিটিতে পড়ুয়া ছেলে আমজাদ মাহমুদ নিলয় বাড়িতে চলে আসে। এ সময় বাবা-মা কর্মস্থলে চলে গেলে সে তাদের কাজের মেয়েকে ১ বছর যাবৎ বাসার মধ্যে একা পেয়ে ধর্ষণ করে আসছিল। ভিকটিম বিষয়টি বাবা মাকে অবহিত করলেও তারা বিষয়টি কর্নপাত না করে ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে চুপ থাকতে বাধ্য করে।

পুলিশ জানায়- সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল দুপুর ১২ টার সময় ধর্ষকের বাবা-মা আব্দুল মাজেদ দম্পতি অফিসে গেলে এই সুযোগে তাদের ছেলে আমজাদ মাহমুদ নিলয় ভিকটিমকে আবারও ধর্ষণ করে। ভিকটিম সর্বশেষ ঘটনার বিষয়টি আব্দুল মাজেদ দম্পতিকে জানিয়ে প্রতিকার চাইলে শাহনাজ বেগম ও তার ছেলে আমজাদ মাহমুদ নিলয় ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ভিকটিম তাদের দীর্ঘদিনের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ৩০ এপ্রিল আত্মহত্যার উদ্দেশে বাসা হতে রাস্তায় বের হয়।

এই বিষয়টি থানা পুলিশ জানতে পেরে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এবং তার কাছ থেকে বিষয়টি পুরোপুরি অবহিত হয়। পরে ওই দিন শাহনাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এবং এই সংক্রান্তে তাদের বিরুদ্ধে ভিকটিমের আবেদনের প্রেক্ষিতে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা রুজু করে শাহনাজ বেগমকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, ভোরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভোলা থেকে আসামীকে আটক করা হয়েছে। আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে।

এছাড়াও মামলার অপর আসামি বাবা আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে।’

বরিশালের বাকেরগঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় পুলিশের সার্জেন্ট মো. আসাদ ও টিএসআই আইয়ুব আলী আকনকে জেলা পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে। পুলিশ বলছে তারা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে।

বুধবার (৫ মে) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন সরদার। তিনি বলেন, গত শনিবার দুপুরে এক সার্জেন্টের একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক পর্যায়ে ২ জনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। তদন্তের পর তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে সার্জেন্ট আসাদ এবং আইয়ুব আলী টিআই ফিরোজকে লাঞ্ছিত করেছে। যে কারণে তাদের ক্লোজড করা হয়েছে

 

আজ ৪ মে মঙ্গলবার  বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাহসী সংবাদ পত্রিকায় ” বাকেরগঞ্জ ৮ নং নলুয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলেদের চাল আত্মসাতের অভিযোগ ” শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূন্য মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
আমি কোন জেলেদের চাল আত্মসাৎ করে নি।
প্রকৃত জেলেদের আমি চাল বিতরণ করেছি
এলাকায় থাকেন না,অন্য পেশাজীবী, জনপ্রতিনিধি,এবং আমার নির্বাচন করেছে যারা, দলের লোকজনের, আত্মীয়-স্বজন,একটি চাল আমি দেইনি। তবে জেলেদের জাল আমি সম্বনয় করে দিয়েছি। কারণ হল জেলে আছে ৩৭৫ জন অন্যদিকে বরাদ্দ এসেছে ১৩০ জনের নামে। তাই ১৩০ জনের বরাদ্দ ৩৭৫ জনের মধ্যে সমন্বয় করে ভাগ করে দিয়েছি।যা এলাকায় খোঁজ নিলি সবাই জানতে পারিবে।
আমার নামে কাবিখা, কাবিটা, অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচি, এলজিএসপি কোন অভিযোগ নেই।
এলাকায় আমি এবং আমার পরিবারের সুনাম রয়েছে।চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে এলাকায় আমি সুনাম এর সহিত কাজ করে যাচ্ছি।

প্রকৃত পক্ষে এক শ্রেনীর কূচক্রী মহল আমার ও আমার পরিবারের দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট করতে সাংবাদিক ভাইদেরকে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

নিবেদক-

ফিরোজ আলম খান চেয়ারম্যান
বাকেরগঞ্জ ৮ নং নলুয়া ইউনিয়ন।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ||বাকেরগঞ্জ ৮ নং নলুয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম খান এর বিরুদ্ধে জেলেদের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় থাকেন না,অন্য পেশাজীবী, জনপ্রতিনিধি,তার নির্বাচন করেছে যারা, দলের লোকজনের আত্মীয়-স্বজন, ও তার স্বজনদের নাম দিয়ে চাল আত্মসাত করেছেন। এছাড়া এক ব্যক্তির নামে একাধিকবার চাল উত্তোলন দেখিয়েছেন তিনি। প্রকৃতপক্ষে তারা চাল পাননি।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, নদীতে দুই মাস (মার্চ-এপ্রিল) জাতীয় মাছ ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ। এ কারণে সরকার বেকার হতদরিদ্র জেলেদের প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে ২ কিস্তিতে ৮০ কেজি চাল প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়।
বাকেরগঞ্জ ইউনিয়ন মোট নিবন্ধিত জেলে যারা আছে তাদের চাল না দিয়ে অন্যদের চাল বিতরণ করছে চেয়ারম্যান । চলতি অর্থবছরে নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করা ১৩০ জন জেলের জন্য চাল বরাদ্দ করেন।
অতিদরিদ্র প্রত্যেক জেলে ৮০ কেজি চাল পাওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান একজনকে ২০ কেজির বেশি চাল দেননি।
এব্যাপারে নামপ্রকাশে ২ নম্বর ওয়ার্ডের এক মেম্বার প্রার্থী জানান , এলাকায় থাকেন না, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, নামে-বেনামে, একই ব্যক্তির নামে চাল তুলেছেন।
যে সমস্ত ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানের নির্বাচন এবং চেয়ারম্যানের কথায় উঠবস করে ওই সমস্ত ইউপি সদস্যর লোকজন এই জেলেদের জাল পেয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে জানান, অনেক নিবন্ধিত জেলে চাল পায়নি। সেই সমস্ত চাল দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চেয়ারম্যান ভাগ করে দিয়েছে।
চেয়ারম্যান, মেম্বার, তার স্বজন ও ক্যাডার বাহিনী চাল পেয়েছে। অনেক নিবন্ধিত জেলেকে চাল না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
এ ছাড়া চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাবিখা, কাবিটা, অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচি, এলজিএসপি অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এক জেলের স্ত্রীর জানান, জেলের চাল জেলেকে না দিয়ে আত্মসাতের ঘটনা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে আমরা অভিযোগ করব। আমাদের প্রত্যেককে ৮০ কেজি করে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও, দিয়েছে ২০ কেজি করে।এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।
ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম খান তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ২০ কেজি করে দিয়েছি তা ঠিক আছে।বরাদ্দ এসেছে ১৩০ জনের নামে কিন্তু মোট জেলে আছে ৩৭৫ জন।আমি সবাইকে সম্বনয় করে ভাগ করে দিয়েছি। চেয়ারম্যানের নিজের লোকদের ৩০ থেকে ৪০ কেজি করে চাল দিয়েছেন এ ব্যাপারে আরও জানতে চাইলে সে জানান,যারা ১২ মাস মাছ ধরে তাদের একটু বেশি দিয়েছে।আর যারা সিজনাল ব্যবসা করে তাদের কম দিয়েছি।৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার জাকির মোল্লা জানান,চাল কম দেওয়ার কারণে ৭ নম্বর ওয়ার্ড কোন জেলে চাল নেয়নি।আমাকে পাঁচটি কার্ড দিয়েছে তাও আমাকে লাঞ্ছিত করে নিয়ে নিয়েছে তার দলের ক্যাডার আজিম।১৩০ জনের বরাদ্দ আসলেও প্রত্যেকের কাছ থেকে ৬০ কেজি করে চাল আত্মসাৎ করেছেন এই চেয়ারম্যান। ১৩০ জন কে চাল না দিয়ে চাল দিয়েছে ১১০ জন কে।প্রত্যেকের সাথে কথার (রেকর্ড রয়েছে)। সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের (প্রমান সহ) বিস্তারিত আসছে দ্বিতীয় পর্বে।

মো:রাজিবুল হক(বরগুনা প্রতিনিধি)
বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার দক্ষিণ রামনা এলাকার খেয়াঘাট থেকে তৌহিদুজ্জামান (২৭) ও আবুল কালাম ( ৩৮) নামের দুই যুবককে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।রোববার সন্ধ্যা রাতে ডিবি পুলিশের পাঁচ সদস্যের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার দক্ষিণ রমনা খেয়াঘাট এলাকা থেকে ২০০পিচ ইয়াবাসহ তৌহিদুজ্জামান ও আবুল কালাম নামের ওই দুই যুবককে আটক করে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল। আটক তৌহিদুজ্জামান সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার চেওটিয়া গ্রামের শেখ আব্দুল জলিলের ছেলে ও আবুল কালাম পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর গ্রামের বাদশা ফকিরের ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোসলে উদ্দিনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোসলেম উদ্দিন আটকদের নামে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করছেন।
এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আবুল বাশার বলেন, আটকরা সাতক্ষীরা জেলা থেকে ইয়াবা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করত। বামনা উপজেলার দক্ষিণ রামনা খেয়াঘাটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকদের নামে মামলা করা হয়েছে।

শামীম আহমেদ ॥ বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলা বন্দর বাজরের কাজী মার্কেটের সামনে বসে মাদক বেচা-কেনা করাকালীন সময়ে বরিশাল র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র‍্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।

 

এসময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হলেন শরিয়রতপুর জেলার পালং থানার গুড়িপাড়ার মোঃ হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ নাঈমুর রহমান (৩৪) ও মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার উত্তর চর আইরকান্দি গ্রামের মৃত্যু আলমগীর সরদারের ছেলে মোঃ রছিকুল ইসলাম রাব্বি(২৪)।

 

এসময় স্থানীয় জন সাধারনের সামনে তল্লাশী করে আটককৃতদের কাছ থেকে ১শত৯০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ইয়াবা বিক্রির নগদ ২ হাজার ২শত পাঁচশ টাকা সহ একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করেন।

 

বরিশাল র‍্যাব কার্যালয় থেকে আজ সোমবার (৩ই) মে সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, রবিবার রাতে জেলার গৌরনদী উপজেলার টরকি বন্দরের কাজী মার্কেটের সামনে মাদক বেচা কেনা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাবের অভিযানিক দলটি ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।

 

এসময় র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে র‌্যাব সদস্যরা ঘেড়াও করে দুই মাদক ব্যবসায়ী যুবককে আটক করেন।

 

এব্যাপারে র‍্যাবের ডিএডি মোঃ আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে গৌরনদী থানায় মাদক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা কেদারপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেমম্বার প্রার্থী (মোরগ মার্কা) জুয়া খেলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষদের মধ্যে শুরু হয় কানাঘুশা।

সূত্রে জানা যায়, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার প্রার্থী (মোরগ মার্কা) জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে লঞ্চঘাট এলাকা সংলগ্ন বাগানে চলছে জুয়া। এ আড্ডায় অংশ গ্রহণ করে জেলার বাহির থেকে আগতরাও।

৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আ: রহিম বলেন ‘শুনছি, জসিম বিদেশে জুয়া খেলতো, দেশে এসে না কি খেলেনা, ভিডিও দেখে বুঝতে পারছি সে এখানেও খেলে। এলোক যদি মেম্বার হয়, দেশের ১২টা বাজবে’

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা জসিম তার দলের প্রভাব দেখিয়ে জুয়ার আসর টি পরিচালনা করে, তাই কেউ এর প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। দীর্ঘদিন জুয়ার কারণে অত্র এলাকায় ছিনতাই ও চুরির ও ব্যবসায়ী ও সেবকদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

তবে, অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বিকার করেন।

বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ জুয়া সহ বিভিন্ন অপরাধে বিরুদ্ধে কঠোর বাবুগঞ্জ পুলিশ। অভিযান এখন আরো জোরদার করা হবে।’

ঝালকাঠি-বরিশাল অঞ্চলিক মহাসড়কের ষাইটপাকিয়া নামকস্থানে পণ্যবাহী ট্রাকের চাপায় সুফিয়া বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছে। সোমবার দুপুর ১ টার দিকে বরিশাল থেকে আসা দ্রুতগতির একটি মালবাহী ট্রাক নলছিটির ষাইটপাকিয়া আনযার ফিলিং ষ্টেশনের সামনে পথচারী ওই মহিলাকে চাপা দেয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম। খবর পেয়ে নলছিটি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃদ্ধা নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নলছিটি থানার সেকেন্ড অফিসার মফিজুর রহমান পাভেল বলেন, নলছিটির পাওতা গ্রামের আব্দুর রহমানের স্ত্রী একই উপজেলার ষাইটপাকিয়া গ্রামে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে মহাসড়ক হেটে পার হওয়ার সময় তাকে ট্রাক চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই সুফিয়া মারা যায়। পুলিশ ট্রাকটি আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

বরিশালে বিভাগে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা কমলেও বেড়েছে আক্রান্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২ জনের করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এ সময় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ২৬৭ জন।

সোমবার (০৩ মে) বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর ও শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, মৃত‌দের ম‌ধ্যে ব‌রিশাল জেলায় একজন ও ঝালকা‌ঠি‌তে একজন র‌য়ে‌ছেন। নতুন আক্রান্ত‌দের ম‌ধ্যে ব‌রিশাল জেলায় ২৩ জন, পটুয়াখালী‌তে ১৩ জন, ভোলায় ৯ জন, পি‌রোজপু‌রে ৩ জন, বরগুনায় ৬ জন ও ঝালকা‌ঠি‌তে ৮ জন। এ নি‌য়ে গত বছ‌রের ১১ মার্চ থে‌কে চল‌তি বছ‌রের ৩ মার্চ পর্যন্ত বিভা‌গে মোট মৃত্যুবরণ ক‌রে‌ছেন ২৬৭ জন।
এর ম‌ধ্যে শুধু ব‌রিশাল জেলায় ১১৩ জ‌নের মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে। একই সম‌য়ে ব‌রিশাল বিভা‌গে মোট আক্রান্ত হ‌য়ে‌ছে ১৪ হাজার ৬৬৮ জন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ব‌রিশাল জেলায় মোট নতুন আক্রা‌ন্তের সংখ্যা ২৩ জন, এর ম‌ধ্যে শুধু সি‌টি কর‌পো‌রেশন এলাকায় ১৫ জন র‌য়ে‌ছেন।

এদিকে ব‌রিশাল শেরেবাংলা মে‌ডি‌কেল কলেজ হাসপাতা‌লের ক‌রোনা ওয়া‌র্ডে মোট চি‌কিৎসাধীন আছেন ৭৮ জন, এর ম‌ধ্যে ক‌রোনা প‌জিটিভ ২৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতা‌লের আর‌টি পি‌সিআর ল্যা‌বে মোট নমুনা জমা প‌ড়েছে ১৯১টি। এর ম‌ধ্যে ৫৩টির নমুনা ক‌রোনা প‌জিটিভ হয়। প‌জিটি‌ভের হার শতকরা ২৭ দশ‌মিক ৭৪।